লায়লাতুল ক্বদর বনাম মধ্য শা‘বান
শেখ আব্দুল্লাহ আস-সালাফী হাজিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, চাঁদপুর।
লায়লাতুল মুবারাক মহিমান্বিত রাত,
নহে এটি কথিত শবে বরাত।
অর্থে ফযীলতে তা লায়লাতুল ক্বদর,
মধ্য শা‘বানের বরাত দিতে হবে ক্ববর।
কুরআন নাযিল হয় ক্বদরের রাতে,
ক্বদর নামক এক সূরা নাযিল করেছেন এতে।
ক্বদর রাত রামাযানে খুলে দেখো কুরআন,
রামাযানের শেষ দশকে হবেই না মধ্য শা‘বান।
আদম শিশুর ভাগ্য তিনবারে পর পর,
সৃষ্টির পূর্বে, মায়ের পেটে ও রজনী ক্বদর।
ভাগ্য রজনী মধ্য শা‘বান তুমি পেলে ভাই কই?
কুরআন হাদীছ পড়ে দেখো তাহা মধ্য শা‘বান নয়।
জানালে কেন শুধু আল্লাহ এক রাতেই আসে দুনিয়ার আকাশে?
সত্য তো আল্লাহ প্রত্যেক রাতেই আসেন রাতের শেষ-তৃতীয়াংশে।
লায়লাতুল ক্বদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম,
বছর মাসে চুরাশি বছর চার মাস অধিক সম।
অল্প সময় অল্প ইবাদতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে,
দিলেন আল্লাহ হাজার মাসের উত্তম ভাগ্য রজনীকে।
রাসূল (ছাঃ) বললেন, যদি পেতে চাও ক্বদর,
খুঁজো রামাযানের শেষ দশকে রাত্রি হবে বিজোড়।
ইবাদত করি মহান প্রভুর সম্মানিত রাত ক্বদর,
ছালাত, তাসবীহ আদায় করি মাগরিব হতে ফজর।
হে আল্লাহ! হে ক্ষমাশীল! করি তোমায় আবেদন,
সুমহান রাত্রিতে আমাদের গোনাহ করে দেও মোচন।