মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু দুটি লিঙ্গ পুরুষ এবং নারীকে স্বীকৃতি দেবে, যা অপরিবর্তনীয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এমনই মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত জানুয়ারি মাসে শপথ নেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেখানে ট্রান্সজেন্ডারদের বিষয়টি তোলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত বিভিন্ন নীতিমালা দ্রুত বাতিল করার জন্য নির্দেশ দেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, নতুন এই নির্বাহী আদেশের ফলে ফেডারেল সরকারকে ‘জেন্ডার’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সেক্স’ শব্দটি ব্যবহার করতে হবে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে পাসপোর্ট, ভিসাসহ সরকারি নথিতে সঠিকভাবে লিঙ্গ প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আজকে, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতি হবে এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) শুধু দুই লিঙ্গের মানুষ আছেন— নারী ও পুরুষ’। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রাম্প দ্রুত বাইডেন প্রশাসনের প্রণীত নীতিগুলো প্রত্যাহারের প্রচারণার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এগিয়ে আসেন। ট্রাম্প জো বাইডেন স্বাক্ষরিত ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন, যার মধ্যে বর্ণগত সমতা সমর্থন, সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য মোকাবেলায় কমপক্ষে ১২টি ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২২ সালে মার্কিনদের পাসপোর্টে ট্রান্সজেন্ডারদের লিঙ্গ হিসেবে ‘এক্স’ লেখার সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প এবার তার নির্বাহী আদেশে লিঙ্গ হিসেবে শুধু নারী ও পুরুষকে স্বীকৃতি দেওয়ায়; এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য যেসব সরকারি কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলোতেও অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক, আদিবাসী আমেরিকান, এশিয়ান আমেরিকান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের সাহায্য করার লক্ষ্যে অন্যান্য আদেশও বাতিল করেছেন। গত বছরই নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ট্রাম্প জানিয়ে রেখেছিলেন, নারীদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অ্যাথলেটরা সাধারণত নারীদের ইভেন্টে অংশ নিয়ে থাকেন। এদিকে, এলজিবিটিকিউ আমেরিকানদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী নাগরিক অধিকার সংস্থা ল্যাম্বডা লিগ্যালের প্রধান আইন কর্মকর্তা জেনিফার পাইজার বলেছেন, তার সংস্থা ও অন্যরা এই নির্বাহী পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।