কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৯) : ওযূর পরে উটের গোশত খেলে পুনরায় ওযূ করতে হয়। এর মৌলিক কোনো কারণ আছে কি?

উত্তর : জাবের ইবনু সামুরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি উটের গোশত খেয়ে ওযূ করব? রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ, উটের গোশত খেয়ে ওযূ করবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৬০; মিশকাত, হা/৩০৫)। কিন্তু উটের গোশত খেলে কেন ওযূ করতে হয় এই ব্যাপারে মতের ভিন্নতা রয়েছে। ইমাম আলাউদ্দীন মারদাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, এর কোনো কারণ নেই। বরং বিষয়টি তাআব্বুদী তথা ইবাদতধর্মী ব্যাপার। ওযূর আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাই করতে হবে (আল-ইনছাফ, ১/৩৫৫)। অপরদিকে কেউ কেউ বিষয়টিকে তাআল্লুলী বা কারণভিত্তিক বলে মত দিয়েছেন। তাদের মতে ওযূর আদেশ দেওয়ার কারণ হলো, উটের মধ্যে শয়তানী প্রবৃত্তি আছে (আবূ দাঊদ, হা/১৮৪; ইবনু মাজাহ, হা/৭৬৯)। তাই ওযূর মাধ্যমে শয়তানী প্রবৃত্তি ও শয়তানী শক্তিকে বিনাশ করে দিতে হবে। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ এমনই মত ব্যক্ত করেছেন (শারহু উমদাতিল ফিক্বহ, ১/১৮৫; মাজমূআতুল ফাতাওয়া, ২০/৫২৩)। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, উটের গোশত শিরা-উপশিরায় প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে এবং রক্ত গরম করে দেয়। আর ওযূ তা ঠান্ডা করতে সাহায্য করে (এ‘লামুল মুওয়াক্কিঈন, ২/৪০)। কোনো কোনো বিদ্বান মনে করেন যে, এখানে ওযূ দ্বারা হাত-মুখ ধৌত করা উদ্দেশ্য, শারঈ ওযূ নয়। সর্বোপরি, ওযূ করা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ। তাই কোনো হিকমত না জানা গেলেও তার প্রতি আমল করা জরুরী (আল-আহযাব, ৩৩/৩৬)।

প্রশ্নকারী : শাকিল হোসাইন

চরগগনপুর, জামালপুর সদর।


সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (১০) : ইমাম সাহেব তাবীয বিক্রি করে ও নবীকে হাযির-নাযির বলে বিশ্বাস করেন তার পিছনে কি ছালাত আদায় করা যাবে?

প্রশ্ন (১১) : তারাবীহর ছালাত সর্বনিম্ন দুই রাকআত পড়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১২) : পিছনের কাতারে কোনো মুছল্লী ছালাত আদায় করলে তার সামনের কাতার দিয়ে চলে যাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : জামাআতে ছালাতের ইক্বামত দেওয়ার সময় ইক্বামতের শব্দগুলো দুই দুই বার করে বলে। এমতাবস্থায় উক্ত জামাআত ছেড়ে একাকী ছালাত আদায় করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৫) : ইমামের পিছনে প্রথম কাতার থেকে শুরু করে শেষ কাতার পর্যন্ত ডান দিকে পুরুষ এবং বাম দিকে মহিলাদের ছালাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে যদিও বাইরে পুরো বারান্দা ফাঁকা রয়েছে। এভাবে মহিলাদের ছালাতের ব্যবস্থা করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৬) : জামাআতে ছালাত আদায়ের সময় সামনের কাতার থেকে কাউকে পিছনের কাতারে টেনে নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৭) : সফরে থাকা অবস্থায় মুক্বীমদের জামাআত পেলে তাদের সাথে ফরয ছালাত পূর্ণ আদায় করব, না-কি ক্বছর আদায় করব?

প্রশ্ন (১৮) : হাফ হাতাবিশিষ্ট কাপড়ে ছালাত আদায় করলে কি নেকী বা ফযীলত কম হবে?

প্রশ্ন (২৩) : কোন দু‘আ পড়লে ও কী কাজ করলে শয়তান আমাদেরকে ধোঁকায় ফেলতে পারবে না ও আমাদের থেকে দূরে পালাবে?

প্রশ্ন (২৫) : পুরাতন মসজিদ বদলি করার জন্য অন্য স্থানে নতুন করে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এখন পুরাতন মসজিদের স্থানে বসতবাড়ি স্থাপন বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে কি? আর পুরাতন মসজিদের কোনো মাটি নতুন মসজিদে দিতে হবে কি?

প্রশ্ন (২৬) : একই ব্যক্তি মসজিদের ইমাম, মুআযিযন ও খাদেমের কাজ করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (৩২) : মেয়ে নেই এমন এক ভদ্র লোক ও তার স্ত্রী আমাদের বিবাহের পূর্বে আমার স্বামীকে যথেষ্ট সহযোগিতা করতেন, ভালোবাসতেন এবং তাকে জামাই বলে সম্বোধন করে আসছেন। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে আমাকেও তাদেরকে বাবা-মা বলে সম্বোধন করতে হয়। এভাবে তাদেরকে বাবা-মা বলে সম্বোধন করা যাবে কি? কেননা আমি জানি নিজ পিতা-মাতা ব্যতীত কাউকে বাবা-মা বলে ডাকা জায়েয নয়। এক্ষেত্রে করণীয় কী?

প্রশ্ন (৩৩) : একজন গরীব মহিলা সন্তান নষ্ট করতে চাইলে জনৈক ব্যক্তি সন্তানবাবদ সকল খরচ বহন করে তাকে দত্তক নেয়। এখন সন্তানটির আইডিকার্ড তৈরি করতে কোন পিতা-মাতার নাম দিবে? আসল পিতা-মাতাকে খুঁজে পেতে কষ্টসাধ্য। এখন করণীয় কী?

প্রশ্ন (৩৪) : স্বামীর উপার্জন কত, তা স্ত্রী জানে না; আর তিনিও স্ত্রীকে জানান না। এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি তার উপার্জন সম্পর্কে জানতে চায় আর স্বামী যদি সঠিক হিসাব না দেয়, তাহলে কি স্বামী পাপী হবে?

প্রশ্ন (৩৫) : আমার বিয়ে হয়েছে হানাফী পরিবারের এক মেয়ের সাথে। বিয়ের দিন বিয়ে পড়ানো নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। অর্থাৎ নিয়মানুযায়ী মেয়ের বাবাকে বিয়ে পড়াতে হবে। কিন্তু তাতে মেয়ের নানা, মামা, খালুরা নারায৷ অনেক চেষ্টা করে বুঝিয়েও তাদের মানাতে পারিনি। তারপর এক রকম বাধ্য হয়েই আমার চাচা মেয়ের বাবার সম্মতিক্রমে তার উপস্থিতিতে সাক্ষীসমেত আমার বিয়ে পড়ান। এখন বিয়েটা কি সম্পূর্ণ হয়েছ, না-কি মেয়ের বাবাকেই পড়াতে হবে?

প্রশ্ন (৩৬) : জন্মের সময় মা অসুস্থ থাকায় যে শিশু (একবার) তার মামীর দুধ পান করেছে, সে কি তার মামাতো বোনকে বিবাহ করতে পারবে?

প্রশ্ন (৩৭) : আমাদের সমাজে কোনো মেয়ের বিয়ে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ২০ কেজি খাগড়ায়/বাতাসা দিতে হয়। সমাজের ৮৪টি পরিবারের সবাইকে যে কোনো একদিন দুপুরে ভাত, মাছ, আলুঘন্ট ও ডাল দিয়ে খেতে দিতে হয়। যদি কোনো ছেলে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে তাহলে তাকেও ঐ নিয়ম মানতে হয়। সমাজে প্রচলিত এই প্রথার শারঈ কোনো অনুমোদন আছে কি?

প্রশ্ন (৩৮) : আমার বিয়ের মোহরানা এক লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা আমি এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। এমতাবস্থায় যদি আমি মারা যাই তবে কি পাপ হবে?

প্রশ্ন (৩৯) : আমার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। আমি জীবদ্দশায় আমার টাকা-পয়সা এই দুই ছেলে-মেয়েকে ভাগ করে দিতে পারব কি? পারলে কীভাবে ভাগ করে দিব?

প্রশ্ন (৪০) : দাদার আগে পিতা মারা গেলে নাতি-নাতনিরা দাদার সম্পদের ভাগ না পাওয়ার কারণ কী?

প্রশ্ন (৪১) : আমরা জানি পিতার আগে ছেলে মারা গেলে নাতি-নাতনিরা দাদার সম্পদের ভাগ পায় না। কিন্তু যদি ছেলের স্ত্রী থাকে তাহলে সে কি সম্পদ পাবে?

Magazine