উত্তর: হজ্জ হলো আর্থিক ইবাদত। যার সামর্থ্য রয়েছে, তাকেই হজ্জ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ্জ করা তার জন্য অবশ্য কর্তব্য। আর যে কেউ কুফরী করল সে জেনে রাখুক, নিশ্চয় আল্লাহ সৃষ্টিজগতের মুখাপেক্ষী নন’ (আলে ইমরান, ৩/৯৭)। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা দ্রুত মক্কার দিকে বেরিয়ে পড়ো, কারণ কেউ জানে না যে, কখন তার অসুস্থতা অথবা প্রয়োজন এসে পড়ে’ (ছহীহুল জামে, হা/৩৯৯০)। সুতরাং উচিত হবে আগে নিজ হজ্জ করা, তারপর পিতামাতাকে হজ্জে পাঠানো। কিন্তু কেউ চাইলে আগে তার পিতামাতাকে হজ্জে পাঠাতে পারে। তাদের হজ্জ হয়ে যাবে। কেননা ছেলের সম্পদ মূলত পিতারই সম্পদ। কিন্তু প্রেরণকারী ব্যক্তির থেকে হজ্জ মাফ হবে না। বরং পরে তাকে হজ্জ করতে হবে।
প্রশ্নকারী : রুবেল ইসলাম
রংপুর।