কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

মাহে শাওয়ালে করণীয়

post title will place here

আরবী ক্যালেন্ডার অনুসারে দশম মাস হলো ‘শাওয়াল’ মাস। রামাযানের পরপরই আগমন ঘটে শাওয়াল মাসের। এ মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে শাওয়াল মাস ও শাওয়ালের ছয়টি ছিয়াম নিয়ে আলোচনা করা হলো।

‘শাওয়াল’ নামকরণের কারণ ও এ মাসেরবৈশিষ্ট্য :

তাফসীর ইবনু কাছীরে এসেছে, শাওয়াল অর্থ উঠানো। আরবরা এ মাসে শিকার করার উদ্দেশ্যে কাঁধে অস্ত্র উঠাত। এজন্য এর নামকরণ করা হয়েছে ‘শাওয়াল’। এ মাসটি কিছু বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার দাবি রাখে। তা হলো শাওয়াল মাসেই মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিত্বর পালিত হয়। শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জ এ তিনটি মাস জুড়ে হজ্জের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর হজ্জ সম্পাদনের তিনটি মাসের প্রথম মাসই হলো শাওয়াল মাস। এ মাসে অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ছয়টি নফল ছিয়াম রয়েছে।

শাওয়াল মাসে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা :

শাওয়াল মাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। যেমন হিজরতের প্রথম বছরে উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা-এর সাথে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবাহ সংঘটিত হয়েছিল, বনূ কাইনুকার যুদ্ধ, আবূ আফাককে হত্যা করার জন্য সালেম ইবনু উমাইরের অভিযান, উহুদের যুদ্ধ, হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের শাহাদাত এবং হিজরতের তৃতীয় বছরে হামরা আল-আসাদের যুদ্ধ।

শাওয়াল মাসের ছিয়ামের ফযীলত :

শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফযীলতপূর্ণ। নিচে কিছু ফযীলত তুলে ধরা হলো। 

(১) মহান আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার লাভ করা যায়। হাদীছে এসেছে, আবূ আইয়ূব আল-আনছারী রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ ‘রামাযানের ছিয়াম পালন করে শাওয়াল মাসে ছয় দিন ছিয়াম পালন করলে সারা বছর ছিয়াম পালন করার সমতুল্য হবে’।[1] আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا﴾ ‘যে কেউ কোনো নেক আমল করবে তাকে তার ১০ গুণ ছওয়াব প্রদান করা হবে’ (আল-আনআম, ৩/১৬০)

অতএব, রামাযান মাসের ছিয়ামের ১০ গুণ ছওয়াব দেওয়া হলে তা হবে ৩০০ দিন আর শাওয়ালের ৬ ছিয়ামের ছওয়াব ১০ গুণ হলে তা হবে ৬০ দিন। আর মোট ৩৬০ দিনে আরবী বছর পূর্ণ হয়ে যায়।

(২) এই ছিয়ামের মাধ্যমে বান্দা তার রবের নৈকট্য লাভ ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ «مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنِ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيْذَنَّهُ».

আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কোনো বন্ধুর সাথে শত্রুতা করবে, তার বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধের ঘোষণা রইল। আমার বান্দা যে সমস্ত জিনিস দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করে, তার মধ্যে আমার নিকট প্রিয়তম জিনিস হলো তা, যা আমি তার উপর ফরয করেছি (অর্থাৎ ফরযের দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করা আমার নিকটে বেশি পছন্দনীয়)। আর আমার বান্দা নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে, পরিশেষে আমি তাকে ভালোবাসি। অতঃপর যখন আমি তাকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই, যার দ্বারা সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই, যার দ্বারা সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই, যার দ্বারা সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই, যার দ্বারা সে চলে। আর সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তাহলে আমি তাকে দেই এবং সে যদি আমার আশ্রয় চায়, তাহলে আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় দেই’।[2]

(৩) ছিয়াম পরাক্রমশালী আল্লাহর জন্য এবং এর পুরস্কার তিনি নিজ হাতে দিবেন। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ لَهُ الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللهُ سُبْحَانَهُ إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِى وَأَنَا أَجْزِى بِهِ ‘আদম-সন্তানের প্রতিটি কাজের ছওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বর্ধিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তবে ছিয়াম ব্যতীত। কেননা তা শুধু আমার জন্য এবং আমিই তার পুরস্কার দিব’।[3]

(৪) একজন ছিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে কস্তুরীর ঘ্রাণের চেয়েও উত্তম। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ছিয়াম ঢালস্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায় অথবা তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি ছিয়াম পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! অবশ্যই ছিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুগন্ধির চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য পানাহার ও কামাচার পরিত্যাগ করে। ছিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরস্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় ১০ গুণ’।[4]

(৫) ছিয়াম জাহান্নামের আগুন থেকে ঢালস্বরূপ।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الصِّيَامُ جُنَّةٌ».

আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ছিয়াম ঢালস্বরূপ’।[5]

শাওয়াল মাসে বিয়ে করার বিধান :

আজকাল অনেককে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় শাওয়াল মাস আসলেই বিয়ে নিয়ে বেশ মাতামতি শুরু করে দেয়। তারা শাওয়াল মাসে বিবাহ করাকে সুন্নাত বলে প্রচার করে থাকে। অনেকে এই মাসে বিবাহ করবে বলে অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে। তাই আজ প্রকৃত বিষয়টি জানার চেষ্টা করব ইনশা-আল্লাহ। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ কোনো মাস বা দিনে বিয়ে করতে উৎসাহিত করেননি বা এজন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়কে উত্তম বলেননি। তবে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, তিনি আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা-কে শাওয়াল মাসে বিয়ে করেছেন। যেমন উরওয়া রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন,تَزَوَّجَنِى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِى شَوَّالٍ وَبَنَى بِى فِى شَوَّالٍ فَأَىُّ نِسَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّى قَالَ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَسْتَحِبُّ أَنْ تُدْخِلَ نِسَاءَهَا فِى شَوَّالٍ ‘রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসে আমার সাথে প্রথম মিলিত হন। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন স্ত্রী তাঁর নিকট আমার চাইতে অধিক সম্ভোগ্য ছিলেন? আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা তাঁর বংশের মেয়েদের শাওয়াল মাসে বাসর ঘরে পাঠানো উত্তম মনে করতেন’।[6]

জেনে রাখা উচিত যে, জাহেলী যুগের মানুষের এই ধারণা ছিল যে, শাওয়াল মাসে বিবাহ-শাদির অনুষ্ঠান অশুভ ও অকল্যাণকর। তিনি বিবাহ করার মাধ্যমে জাহেলী যুগের এ ভিত্তিহীন ধারণাকে খণ্ডন করেছেন।[7] বাস্তবতা হলো প্রিয় নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা-কে যেমন শাওয়াল মাসে বিয়ে করেছেন, তেমনি অন্যান্য মাসে অন্যান্য স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন। যদি শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নাত হতো, তাহলে সবগুলো বিয়ে তিনি এ মাসে করার চেষ্টা করতেন বা উম্মতকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। আর ছাহাবীগণও এ মাসেই বিয়ে করার চেষ্টা করতেন, যেহেতু তারা ছিলেন সুন্নাহ পালনে সবচেয়ে অগ্রগামী। কিন্তু হাদীছে এমন কিছু সাব্যস্ত হয়নি। সুতরাং কেবল শাওয়াল মাসেই বিবাহ করা সুন্নাত এমনটি বলা উচিত না।

পরিশেষে বলতে চাই, শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে পালন করেছেন। তাই আমাদেরও উচিত এই ছয়টি ছিয়াম পালন করা। আর রামাযানের ৩০টি ছিয়াম পালনের পর এই ছয়টি ছিয়াম একদমই সহজ হয়ে যাওয়ার কথা। তাই এই ছয়টি ছিয়াম পালনে আরও সচেষ্ট হওয়া দরকার। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শাওয়ালের ছয়টি ছিয়াম পালনের মাধ্যমে নেকীর পাল্লা ভারী করার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

এ. এস. এম. মাহবুবুর রহমান

শিক্ষার্থী, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া;
দাওরায়ে হাদীছ, মাদরাসা মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, ঢাকা।


[1]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬৪; মিশকাত, হা/২০৪৭।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৫০২; মিশকাত, হা/২২৬৬।

[3]. ইবনু মাজাহ, হা/৩৮২৩, হাদীছ ছহীহ।

[4]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮৯৪।

[5]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫১।

[6]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৪২৩।

[7]. শরহে মুসলিম, ৯/২০৯।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (১) : প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তিই যদি জান্নাতে যায়, তাহলে তো ঈমান আনলেই যথেষ্ট হবে, আমল করার প্রয়োজন কি?

প্রশ্ন (২) : যে ব্যক্তি মুতআ বিবাহকে হালাল মনে করবে, সে মুসলিম থাকবে, নাকি সে ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে?

প্রশ্ন (৩) : গণক ও জ্যোতিষীদের বইপত্র পড়া জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৪) : মিরাজের রাত্রিতে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন জান্নাত ও জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখেছিলেন, তেমনভাবে তিনি কি আল্লাহ তাআলাকে স্বচক্ষে দেখেছিলেন?

প্রশ্ন (৫) : মসজিদের এরিয়ার মধ্যে কবর থাকলে সেই মসজিদে কি ছালাত শুদ্ধ হবে? যদি ছালাত শুদ্ধ না হয় তাহলে উপায় কী?

প্রশ্ন (৬) : আমাদের সমাজে অনেকেই রাশিচক্রের প্রভাব নিয়ে কথা বলে। তারা দাবী করে যে, এই রাশিচক্রের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জানা যায়। এই রাশিচক্রের কোনো প্রভাব আছে কি-না তা জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (৭) : যারা তাক্বদীরকে অস্বীকার করে, ইসলামে তাদের বিধান কী?

প্রশ্ন (৮) : ইমামের পিছনে মুক্তাদী ছালাত আদায় করার সময়ে ইমাম আমীন বলার পরেও মুক্তাদীর ফাতিহা শেষ না হয় তাহলে তখন মুক্তাদী কী করবে? ইমামের সাথে আমীন বলবে না ফাতিহা শেষে আমীন বলবে?

প্রশ্ন (৯) : একাকী ছালাত আদায়ের সময় জাহরী ছালাতে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ না করলে ছালাত হবে কি?

প্রশ্ন (১০) : সফরে মুসাফিরের জন্য কছর করা কি ফরয? কেউ যদি ইচ্ছাকৃত কছর না করে তবে কি সে গুনাহগার হবে?

প্রশ্ন (১১) : কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে কি বাড়িতে ছালাত জমা ও কছর করতে পারবে?

প্রশ্ন (১২) : দাঁড়াতে পারে, রুকূ করতে পারে কিন্তু পা ভাজ করে বসতে পারে না এক্ষেত্রে কীভাবে ছালাত আদায় করা উচিত আর এমন ব্যক্তি চেয়ারে বসে সম্পূর্ণ ছালাত আদায় করতে পারবে কি-না?

প্রশ্ন (১৩) : ঈদের ছালাত আদায়ের পূর্বে কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : একই ইমাম ঈদের জামাআতে একাধিক বার ইমামতি করতে পারে কি? ছাহাবায়ে কেরামের জীবনে এরূপ কোনো আমল আছে কি?

প্রশ্ন (১৫) : মহিলারা পৃথকভাবে ঈদের জামাআত করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (২৫) : কোনো মেয়েকে বিবাহ করতে চাইলে তার কোন কোন অঙ্গ দেখা বৈধ হবে?

প্রশ্ন (২৬) : জনৈক ব্যক্তি তার মেয়েকে এক ছেলের সাথে জোর করে বিবাহ দিতে চায়। এক্ষেত্রে শরীআতের বিধান কী?

প্রশ্ন (২৭) : বিয়ে পড়ানোর পর স্বামী-স্ত্রীর দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার আগেই যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, তাহলে স্ত্রী কি মোহর পাওয়ার অধিকার রাখে?

প্রশ্ন (২৮) : স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করেছে বলে কি প্রথম স্ত্রীর তালাক চাওয়া বৈধ, যদিও বৈধভাবে শরীআত সম্মত বিবাহ হয়?

প্রশ্ন (২৯) : স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর স্বামী হঠাৎ মারা যায়। ঐ স্ত্রীকে কি ইদ্দত পালন করতে হবে? ঐ স্ত্রী কি তার ওয়ারিছ হবে?

প্রশ্ন (৩০) : যে মহিলা স্বামী মারা যাওয়ার পরে ইদ্দত পালন অবস্থাতে আছে, সে মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া যায় কি?

প্রশ্ন (৩১) : স্ত্রী নিজ খেয়াল-খুশি মতো চলে, স্বামী বাধা দিলেও মানে না। এমতাবস্থায় স্বামী কি তাকে তালাক দিতে পারে?

প্রশ্ন (৩২) : একটা মেয়ে স্বামীকে বিয়ের ৩ মাস পরেই তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে আসে। আবার ওই দিনেই আমার বাড়িতে আসে আমাকে বিয়ে করার দাবি জানায়,, আমি বিয়ে করতে না চাইলে বিভিন্ন চাপে পরে বিয়ে করতে হয়। এখন বিয়ে কি জায়েয হয়েছে? আর ওই মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারছি না তাই তালাক দিতে চাচ্ছি সেটা কীভাবে দিব?

প্রশ্ন (৩৩) : আমার চাকরি করার যোগ্যতা আছে, কিন্তু সার্টিফিকেট নেই। নকল সার্টিফিকেট বানিয়ে চাকরি নিতে পারি কি?

প্রশ্ন (৩৪) : পুরোনো কবরস্থানে মাটি ভরাট করে পুনরায় সেখানে লাশ দাফন করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৫) : আমার বড় ভাই বিদেশ যাওয়ার সময় তার জন্য আমার বাবা জমি বিক্রি করে ইউরোপে পাঠান। তারপর আমার বাবা মারা যান। আমরা দুই ভাই, তিন বোন। এখন বড় ভাইয়ের কাছে সবাই জমি দাবি করছে, আর ভাইয়ের টাকাও আছে। এই দাবিতে ইসলাম কী বলে?

প্রশ্ন (৩৬) : ব্যাংকে জমা রাখা টাকার উপর যে সূদ হয় এই সূদের টাকা কোনো মাদরাসায় দান করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৭) : হারাম মাল দিয়ে যদি কেউ মসজিদ বানায় তা কি জায়েয হবে?

প্রশ্ন (৩৮) : পূর্ব চুক্তি ছাড়া ঋণ পরিশোধের সময় অতিরিক্ত কিছু অর্থ দিলে তা কি সূদ বলে গণ্য হবে?

প্রশ্ন (৩৯) : আমার প্রশ্ন হলো শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আব্বা-আম্মা বলে ডাকা যাবে কি? এ ব্যাপারে শরীআতের বিধান কী?

প্রশ্ন (৪০) : আমরা জানি যে, এশার ছালাত আদায়ের পরপরই ঘুমানোর কথা হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। তাহলে কি রাত জেগে পড়াশোনা করাও নিষেধ?

প্রশ্ন (৪১) : ঈদের দিনে কবর যিয়ারত করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৪২) : আমাদের সমাজে হজ্জ করলে ‘হাজী’ বা ‘আলহাজ্জ’ বলা হয়। এমনকি কাউকে আলহাজ্জ না বললে সে মন খারাপ করে। এখন আমার প্রশ্ন হলো তাহলে নিয়মিত ছালাত আদায়কারীকে ‘মুছল্লী’ বলা যাবে কি?

প্রশ্ন (৪৩) : কতদূর সফর করলে একজন মহিলার মাহরামের প্রয়োজন হবে?

প্রশ্ন (৪৪) : কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টের হিসাবরক্ষক হিসাবে চাকরি করলে কোনো পাপ হবে কি?

প্রশ্ন (৪৫) : আমি পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার প্রশ্ন হলো পান চাষ করা কি হালাল?

প্রশ্ন (৪৬) : সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে অন্য দেশ থেকে মোবাইল এনে বাংলাদেশে বিক্রয় করা হচ্ছে। এ ধরনের (চোরাই ব্যবসা) হালাল হবে কি?

Magazine