কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

ঈমান ভঙ্গের কারণ (পূর্ব প্রকাশিতের পর)

(৫) ইসলামের কোনো বিধানকে অপছন্দ করা :

কোনো ঈমানদার ইসলামের কোনো বিধান অপছন্দ করলে সাথে সাথে তার ঈমান চলে যাবে। কোনো অবস্থাতেই কেউই ইসলামের কোনো বিধানকে অপছন্দ করতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি’, অথচ তারা মুমিন নয়’ (আল-বাক্বারা, ২/৮)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘আর যারা কাফের তাদের জন্য রয়েছে দুর্গতি এবং তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দিবেন। এটা এজন্য যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তারা তা পছন্দ করে না। অতএব তাদের কর্মসমূহ আল্লাহ ব্যর্থ করে দিবেন’ (মুহাম্মাদ, ৪৭/৮-৯)। 

উক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, ঈমান এনে বা না এনে আমলসমূহ বাতিল হওয়ার অন্যতম কারণ আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয় অপছন্দ করা। এ বিষয়ে ঈমানদার হয়ে আমল করলেও অপছন্দ করার কারণে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ কারো পর্দার বিধান ভালো লাগে না যদিও সে পর্দা করে অথবা কারো জিহাদের কথা ভালো লাগে না অথবা পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতিও ভালো লাগে না। যদি কারো বিশ্বাস এমন হয়, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। 

(৬) দ্বীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা :

কোনো ঈমানদার ইসলামকে নিয়ে বা ইসলামের কোনো বিধিবিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করলে তার ঈমান চলে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যদি আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করেন, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম। বলুন, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলের সাথে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে?’ (আত-তওবা, ৯/৬৫)। অন্যত্র আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা ওযর পেশ করো না। তোমরা তোমাদের ঈমানের পর অবশ্যই কুফরী করেছ। যদি আমি তোমাদের থেকে একটি দলকে ক্ষমা করে দেই, তবে অপর দলকে আযাব দেব। কারণ, তারা হচ্ছে অপরাধী’ (আত-তওবা, ৯/৬৬)

উপরিউক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ স্পষ্ট করে দিলেন যে, আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল ও তাঁর আয়াত নিয়ে কেউ যদি খেল-তামাশা, বিদ্রুপ, মজা ইত্যাদি করে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। যেমন— অনেকে দাড়ি রাখা, টাকনুর উপর প্যান্ট পরা, বিভিন্ন বিদআতী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়া নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে, যা কখনোই উচিত নয়। আল্লাহ আরও বলেন, ‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামিতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস, ১০/১১)

তারা আল্লাহ না চাইলে কখনোই হেদায়াত পাবে না। দুষ্টুমিতেই জীবন পার হবে। সুতরাং তাদের সাথে চলাফেরা করা ও যোগাযোগ রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘আর (আল্লাহ) কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মতো হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক্ব ও কাফেরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (আন-নিসা, ৪/১৪০)। 

তাদের বন্ধুরূপেও গ্রহণ করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্য কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় করো, যদি তোমরা মুমিন হও। আর যখন তোমরা ছালাতের জন্য আহ্বান কর, তখন তারা একে উপহাস ও খেলা মনে করে। কারণ তারা নির্বোধ’ (আল-মায়েদা, ৫/৫৭-৫৮)

সুতরাং দ্বীন নিয়ে যারাই হাসি-ঠাট্টা করবে, তাদের থেকে তৎক্ষণাৎ দূরত্ব সৃষ্টি করতে হবে। কেননা দ্বীন নিয়ে তামাশাকারীরা হচ্ছে মুনাফিক্ব। আর মুনাফিক্বদের জায়গা হচ্ছে জাহান্নামে।

(৭) জাদুটোনা বা কুফরী কালাম করা :

আল্লাহর উপর বিশ্বাসের পরিবর্তে কেউ যদি জাদুটোনা বা শয়তানী কুফরী কাজের মাধ্যমে কিছু পেতে চায় বা কারো ক্ষতি করতে চায়, তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ ঈমান বিধ্বংশের কাজ। কুফরী কাজের দ্বারা যত ভালো কাজই হোক না কেন, ইসলামে সকল প্রকার জাদুটোনা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলায়মানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলায়মান কুফরী করেনি; বরং শয়তানরা কুফরী করেছে। তারা মানুষকে জাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষাস্বরূপ, সুতরাং তোমরা কুফরী করো না। এরপরও তারা এদের কাছ থেকে শিখত, যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোনো ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর তারা শিখত যা তাদের ক্ষতি করত, তাদের উপকার করত না এবং তারা অবশ্যই জানত যে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করবে, আখেরাতে তার কোনো অংশ থাকবে না। আর তা নিশ্চিতরূপে কতই-না মন্দ, যার বিনিময়ে তারা নিজদেরকে বিক্রয় করেছে। যদি তারা জানত’ (আল-বাক্বারা, ২/১০২)

অতএব, যারাই এসব করে, তাদের আর ঈমানের অস্তিত্ব থাকে না। আজ উপমহাদেশের বহু মানুষই জাদুটোনা ও কুফরী কালামে লিপ্ত। 

(৮) ইসলামের বিপক্ষে কাফেরদের সাহায্য করা :

কোনো ঈামানের দাবিদার যদি ইসলামের বিপক্ষে কাফের-মুশরিকদের সাহায্য-সহযোগিতা করে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীকে প্রিয় মনে করে। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারাই যালেম’ (আত-তওবা, ৯/২৩)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে তাদের (বিধর্মীদের) সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তাআলা যালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না’ (আল-মায়েদা, ৫/৫১)

অতএব, কখনোই বিধর্মীদের আন্তরিক বন্ধু করা যাবে না। সেই সাথে যারা ইসলামের বিপক্ষে বা কোনো মুসলিমের বিপক্ষে বিধর্মীদের সাহায্য-সহযোগিতা করবে, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।

(৯) কাউকে দ্বীন ইসলাম এবং শরীআতের ঊর্ধ্বে মনে করা :

কেউ যদি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত শরীআতের বিধিবিধান মানার চাইতে অন্য কোনো পীর-বুজুর্গের দেওয়া (শরীআত বহির্ভূত) কাজ করে বা করাকে জায়েয মনে করে তাহ‌লে তাঁর ঈমান থাকবে না। কেননা শরীআতের ঊর্ধ্বে কেউ নেই। ইসলামে যা কিছু চলবে সবই রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ এবং সম্মতিতে।

এখন কেউ যদি পীর-ওলী-আউলিয়াকে শরীআতের উৎস ধরে (স্বপ্নের বার্তা, কাশফ) সেইমতো বিভিন্ন বিধিবিধান চালু এবং পালন করে, তাহ‌লে তার ঈমান থাকবে না। কেননা ইসলামে একমাত্র অনুসরণ হবে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে রাসূল! আপনি) বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ করো; তাহলেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল, দয়ালু’ (আলে ইমরান, ৩/৩১)। অন্য আয়াতে আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ করো এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের (শরীআত বহির্ভূত কারোর) অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর’ (আল-আ‘রাফ, ৭/৩)

অর্থাৎ আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাইলে একমাত্র রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করতে হবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রদর্শিত পথ ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করা যাবে না। 

(১০) শরীআতের বিধিবিধানে কম-বেশি বা নতুনত্ব সৃষ্টি করা :

কেউ যদি মনে করে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল কর্তৃক আনীত ইসলামের বিধানে নতুন করে কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করলে ভালো হবে। অথবা কেউ যদি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেওয়া শরীআতের নির্ধারিত বিধিবিধানে (ঈমান, আক্বীদা, আমলে) কম-বেশি বা নতুনত্ব (বিদআত) সৃষ্টি করে বা জায়েয মনে করে এবং সেইমতো আমলও করে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। 

নতুনত্ব আনা বা বাদ দেওয়ার মধ্যে তারা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রিসালাতকে অস্বীকার করে। এর দ্বারা আল্লাহ যে তাঁর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বারা ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেটা মিথ্যা হয়ে যাওয়া। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘যে কেউ রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলিমের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিকে সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থল’ (আন-নিসা, ৪/১১৫)

এটা দ্বারা সুস্পষ্ট যে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মানুষকে একমাত্র রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণে দ্বীন ইসলামে জীবনযাপন করতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (আল-মায়েদা, ৫/৩)

(১১) ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম তালাশ করা :

কেউ যদি আল্লাহর দ্বীন ইসলামকে ছেড়ে অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, তাদেরও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মকে গ্রহণ করবে, তার কোনো আমল গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে ইমরান, ৩/৮৫)

অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম ছাড়া আর কোনো ধর্মই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ পালন করলে তাকে অবশ্যই জাহান্নামের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। 

(১২) দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া :

কেউ যদি দ্বীন ইসলামের বিধিবিধান বা আমলসমূহকে বোঝা মনে করে তা থেকে বিরত থাকে তাহলে তার ঈমান থাকবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তার চেয়ে বড় যালেম আর কে, যাকে স্বীয় রবের আয়াতসমূহের মাধ্যমে উপদেশ দেওয়ার পর তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। নিশ্চয় আমি অপরাধীদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী’ (আস-সাজদাহ, ৩২/২২)

অর্থাৎ যেসব ঈমানদারের আল্লাহর বিভিন্ন বিষয়ের উপর ঈমান এবং আমল করতে বলা হয়, তখন তারা দ্বীনের হুকুম-আহকামকে বোঝা মনে করে এবং তারা দ্বীনের বিভিন্ন বিধিনিষেধ এবং আমল থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখে। এসব ব্যক্তির ঈমান আর অবশিষ্ট থাকে না। আল্লাহ বলেন, ‘আমার স্মরণ (ঈমান, আমল, যিকির) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ (কষ্টে পতিত) হবে এবং আমি তাকে ক্বিয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? আমিতো চক্ষুষ্মান ছিলাম। আল্লাহ বলবেন, এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল। অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হবে’ (ত্ব-হা, ২০/১২৪-১২৬)

অতএব, দ্বীন ইসলাম থেকে কেউ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তার ঈমান বিনষ্ট হবে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামী আক্বীদা ও তাওহীদ গ্রহণের পর যদি কেউ উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোতে নিপতিত হয়, তবে সে ঈমানহারা হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে হিফাযত করুন।

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী

পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (১৩) : চার রাকআত বিশিষ্ট ছালাতে ইমাম প্রথম বৈঠক না করে তৃতীয় রাকআতে দাঁড়িয়ে যায়। এমতাবস্থায় ইমাম তৃতীয় রাকআত পড়ে বৈঠক করবে, না-কি চার রাকআত পড়ে শেষে সহো সিজদা দিবে?

প্রশ্ন (১৪) : ছালাতে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ পরে মনে পড়ল আমার ওযূ ছিল না।এমতাবস্থায় করণীয় কী?

প্রশ্ন (১৫) : আমি প্রায়ই ফজরের ছালাত জামাআতের সাথে আদায় করতেনা পেরে বাসায় শুধু ফরয ২ রাকআত ছালাত আদায় করি। ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে যখন এ ছালাত আদায় করি তখন প্রায় সূর্য উঠার কিছু সময় আগে এবং পরেহয়। এতে কি আমার কোনো পাপ হবে?

প্রশ্ন (১৬) : জামাআতে ছালাত আদায়ের সময় ইমাম যখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে, তখন পিছনেরমুছাল্লীরাও কি তাই বলবে?

প্রশ্ন (১৭) : বাড়িতেবা অন্যখানে একাকীছালাত আদায় করলে আযান ইক্বামত ছাড়াছালাত কবুল হবে কি?

প্রশ্ন (১৯) : বিতর ছালাতের পরে নির্দিষ্ট কোনো দু‘আ আছে কি?

প্রশ্ন (২০) : বিতর ছালাতে কি প্রতিদিন হাত তুলে দু‘আ কুনূত করা যাবে, না-কি এটি বিদআত বলে গণ্য হবে?

প্রশ্ন (২১) : একই ইমাম ঈদের জামাআতে একাধিক বার ইমামতি করতে পারে কি?ছাহাবায়ে কেরামের জীবনে এরূপ কোনো আমল আছে কি?

কুরবানীর ইতিহাস

কুরবানী

প্রশ্ন (২৭) : কুরবানী করা ওয়াজিব না-কি সুন্নাত?

প্রশ্ন (২৮) : যিলহজ্জের চাঁদ উঠার পর নখ,চুল,গোঁফ ইত্যাদি কাটা উচিত নয়। এই বিধান কি শুধু কুরবানীদাতার জন্য না-কি পরিবারের সকল সদস্যের জন্য?

প্রশ্ন (২৯) : কুরবানীর নিয়্যতে ক্রয়কৃত পশু ত্রুটিযুক্ত হলে সেই পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৩০) : ক্বিয়ামতের মাঠে কুরবানীর পশুর লোম,শিং ও খুরউপস্থিত হবে। একথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৩১) : কুরবানীর চামড়ার টাকা মসজিদ ও মাদরাসায় দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৩২) : একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বা করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৩) : কুরবানীর গোশত সমানভাবে তিন ভাগে ভাগ করা কি জরুরী?কুরআন-হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (৩৪) : প্রতিবেশীকে কুরবানীর গরুর গোশত দিয়ে সমপরিমাণ অথবা কম কিংবা বেশি করে ছাগলের গোশত নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৫) : কুরবানীর পশু যবেহকারীকে পারিশ্রমিক হিসাবে গোশত দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৬) : টাকা ধার নিয়ে কুরবানী দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৭) : সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা কুরবানী করেনি,তাদেরকে গোশত দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৮) : মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৯) : একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতটি পশু কুরবানী করতে পারে?

প্রশ্ন (৪০) : মহিলারা কি কুরবানীর পশু যবেহ করতে পারবে?

প্রশ্ন (৪১) : কুরবানীর জন্য একটি পশুতে সর্বোচ্চ কত জন অংশগ্রহণ করতে পারে?

প্রশ্ন (৪২) : একটি গরু বা উটে সাতজনের কম সংখ্যক লোক শরীক হয়ে কি কুরবানী দিতে পারবে?

প্রশ্ন (৪৩) : সবচেয়ে উত্তম কুরবানী কোনটি, উট, গরু নাকি ছাগল?

ঈমান ভঙ্গের কারণ (পূর্ব প্রকাশিতের পর)

প্রশ্ন (১) : প্রচলিত আছে যে, আল্লাহ তাআলার দুই হাতই ডান হাত। কিন্তু একটি হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহর ডান ও বাম হাত আছে। তাহলে কোনটি সঠিক?

প্রশ্ন (২) : জিন জাতির কি বংশ বিস্তার হয়? তাদেরও কি সন্তান-সন্ততি আছে?

প্রশ্ন (৩) : বড় শিরক করে মারা গেলে চিরস্থায়ীজাহান্নামী। কিন্তু কেউ যদি না জেনে ছোটশিরক করে মারা যায় তাহলে কি সে জাহান্নামে শাস্তির পর জান্নাতে প্রবেশ করবে, না-কি সেও চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে?

প্রশ্ন (৪) : কোনো ব্যক্তির আমলনামাতে নেকী ও গুণাহের পরিমাণ সমান সমান হয়ে গেলে, ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশকরবে, না-কি জাহান্নামে প্রবেশ করবে?

প্রশ্ন (৫) : কুরআনের কপি যদি অনেক পুরাতন হয় এবং তা থেকে যদি পৃষ্ঠা খুলে যায়, তাহলে সেগুলোর জন্য করণীয় কী?

প্রশ্ন (৬) : জনৈক আলেম বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করে তাকে কবরের আযাবথেকে মুক্ত রাখা হয়। এই কথার কেনো ভিত্তি আছে কি?

প্রশ্ন (৭) : কবরের আযাবের বিষয়টি কি কুরআন দ্বারা প্রমাণিত?

প্রশ্ন (৮) : জনৈক বক্তা বলেছেন যে, স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতীদেরকে সূরা আর-রহমান তেলাওয়াত করে শুনাবেন। এটি কি সঠিক বক্তব্য?

প্রশ্ন (৪৪) : স্মাটফোনে বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলা যায়। ইসলামী শরীআতে এগুলো কি হালাল?

প্রশ্ন (৪৫) : স্বামী-স্ত্রী যতবার মিলন করবে ততবার কি ফরয গোসল করতে হবে? যদিকরতেই হয় তাহলে শীতকালে কী করতে হবে?

প্রশ্ন (৪৬) : জনৈক ব্যক্তির ব্যাপারে পূর্বে অনেক গীবত করা হয়েছে।তবে তিনি এখন বেঁচে নেই।তার ব্যাপারে গীবত করার কারণে উক্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য বর্তমানে করণীয় কী?

প্রশ্ন (৪৭) : টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা অহংকারের লক্ষণ। প্রশ্ন হলো, কেউ যদিঅহংকার না করে টাখনুর নিচে কাপড় পরে তাহলে কী সমস্যা আছে?

প্রশ্ন (৪৮): আমাদের এলাকাতে পাঁচ বছরের অথবা দশ বছরের জন্য আগাম চুক্তিতে আম বাগান বর্গা দেওয়া হয়, যেখানে যিনি বর্গা নিচ্ছেন তিনিই সেই বাগানের দেখাশোনা করা, সেচ দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকেন। এখন প্রশ্ন হলো, এভাবে আগাম চুক্তিতে আম বাগান বর্গা দেওয়া কি জায়েয?

প্রশ্ন (৪৯) : বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাততালি দেওয়ার বিধান কী?

Magazine