ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের সময় দেশটি থেকে লুট করে নেওয়া প্রায় ১৭ হাজার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ফেরত দিচ্ছে দখলদার যুক্তরাষ্ট্র। ফেরত আসা এই নিদর্শনগুলো বেশিরভাগই সুমেরিয়ান যুগে বাণিজ্যিক লেনদেনের প্রমাণ। ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ১৮ বছর যুদ্ধ ও সহিংসতা চলে আসছে দেশটিতে। তবে আশার কথা হলো ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ইরাকী প্রধানমন্ত্রীর দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এই বছরের শেষে ইরাক থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। দীর্ঘ যুদ্ধে অস্থিরতার সুযোগে বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার কেন্দ্রভূমি এই দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধে দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় এবং বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন লুট করা হয়। বছরা জাদুঘরের পুরাতত্ত্ব ও ঐতিহ্য বিষয়ক সংস্থার তথ্যমতে, এটি গণনা করা অসম্ভব যে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহ থেকে কী পরিমাণ সম্পদ লুট করা হয়েছে। ফেরত আসা ইরাকী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে সুমেরীয় ভাষায় লিখিত প্রাচীন মহাকাব্য গিলগামেশের ছত্র লিপিবদ্ধ তিন হাজার পাঁচশ’ বছরের পুরনো একটি কাদামাটির ফলক রয়েছে। এর আগে এটি ওয়াশিংটনের মিউজিয়াম অব বাইবেলে প্রদর্শনের জন্য রাখা হলেও ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তা মিউজিয়ামটি থেকে বাজেয়াপ্ত করে নেয়।