কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৫) : কিছু লোক রয়েছে যাদের সালাম দেওয়া হলে তারা সালাম নিয়ে আবার সালাম দেয়। এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত আর এই অবস্থায় আমার করণীয় কি? আমি কি তার সালামের জবাব দেব নাকি চুপ থাকব?

উত্তর: সালাম দেওয়ার মাঝে সমাজে প্রচলিত অনেক ভুল লক্ষ করা যায়। যেমন: মুসাফাহার পর বুকে হাত দেওয়া, দুই হাতে মুসাফাহা করা, কোনো কিছু বলার পর সালাম দেওয়া ইত্যাদি। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, কেউ আগে সালাম দেওয়ার পর তার সালামের জবাব দেওয়ার পর তাকে পুনরায় সালাম দেওয়া। যেখানে কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেয়াই জরুরী। উত্তর দিয়ে পুনরার সালাম দেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। এভাবে পুনরায় কেউ সালাম দিলে পুনরায় তার উত্তর দিতে হবে না। এমন আমল অবশ্যই পরিত্যাজ্য। কেননা আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরীআতে এমন কিছুর নবউদ্ভাবন করল, যে ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা নেই, তা পরিত্যাজ্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮; মিশকাত, হা/১৪০)। বরং সর্বদা আগে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে সালাম প্রদানকারী ব্যক্তিকে উত্তম বলেছেন। আবূ উমামা রযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়’ (আবূ দাঊদ, হা/৫১৯৭; সিলসিলা ছহীহা, হা/৩৩৮২)। আর যে সালাম দিবে না তাকে রাসূল ছা. সবচেয়ে বড় কৃপণ বলেছেন (ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/২৬৬৩; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হা/৬৬৪৯)।

প্রশ্নকারী : সিয়াম

আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।

 

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৭) : ছালাতের জন্য কখন আযান দিতে হবে? ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেও নাকি আযান দিলে তা যথেষ্ট হবে?

প্রশ্ন (৮) : দুই সিজদার মাঝখানে যে দুআ পড়া হয়, সেটি ওয়াজিব, না-কি সুন্নাত?

প্রশ্ন (৯) : দুই সিজদার মাঝখানের দুআ পড়েছি কি পড়িনি এরূপ সন্দেহ হলে অথবা পড়তে ভুলে গেলে করণীয় কী, সাহু সিজদা দিতে হবে কি?

প্রশ্ন (১০) : আমি যে এলাকায় থাকি সে এলাকার অধিকাংশ মানুষ হানাফী মাযহাবের অনুসারী। তাদের মসজিদে শুক্রবারে আযানের অনেক পর জুমআর খুতবা শুরু হয়। প্রশ্ন হলো- শুক্রবারে মসজিদে আগে যাবার যে ফযীলত, হানাফী মসজিদে কোন সময় গেলে আমি তা অর্জন করতে পারব?

প্রশ্ন (১১) : ছালাতের প্রথম বৈঠকে ভুলে দরূদ ও দুআ মাসূরা পাঠ করলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

প্রশ্ন (১২) : টি শার্ট পরে ছালাত পড়া মাকরূহ অনুরূপ গুল খাওয়া, বিড়ি খাওয়া। আসলে মাকরূহ শব্দের অর্থ কি? আল-কুরআনে কিংবা ছহীহ হাদীছে এমন শব্দ আছে কি?

প্রশ্ন (১৩) : আমরা জানি যে, দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া সুন্নাত। কিন্তু জনৈক আলেমকে এক সম্মেলনে বসে খুতবা দিতে দেখলাম। এটা শরীআতসম্মত কি?

প্রশ্ন (১৪) : কেউ যদি যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা'র ছালাত যথা সময়ে জামা‘আতে আদায় করে। কিন্তু ফজরের ছালাতে নিয়মিত জামাআত ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে যোহরের আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোনো সময়ে তা আদায় করে নেয়; তবে তার বিধান কি হবে?

প্রশ্ন (১৫) : পরে পড়ব ভেবে বিতর ছালাত রেখে দেওয়ার পর আদায়ের আগে মাসিক আরম্ভ হলে করণীয় কী? মাসিক শেষে কি ক্বাযা আদায় করতে হবে। ক্বাযা করতে হলে পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (১৮) : মোহরানার টাকা বিবাহের সময় কার কাছে দিতে হবে এবং কখন দিতে হবে?

প্রশ্ন (১৯) : যে পুরুষের স্ত্রী নেই সে হল, মিসকিন আর যে নারীর স্বামী নেই সে হল, মিসকিনা এ হাদীছটি কি ছহীহ?

প্রশ্ন (২০) : এক ব্যক্তি বড় বোনকে বিবাহ করার এক বছর পর স্ত্রীর ছোট বোনকে বিবাহ করে। তাহলে বড় বোন কি অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে, না-কি ছোট বোন তালাক হবে?

প্রশ্ন (২১) : মেয়ের বাবার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কিন্তু মেয়ের বাবা ছেলের অভিভাবক ছাড়া বিবাহ দিতে রাজি হচ্ছে না। আবার ছেলের অভিভাবকও ছেলেকে এই সময়ে বিয়ে দিতে চাচ্ছে না, তাদের অজুহাত হলো, ছেলের ইনকাম কম, বিবাহের বয়স হয়নি, পড়াশুনা শেষ করে তারপর বিবাহ করাবে ইত্যাদি। যদিও ছেলে বিবাহের উপযুক্ত (বয়স ২৩+) এবং আর্থিকভাবে কিছুটা হলেও সামর্থ্যবান, ভাল ইনকামের চেষ্টা করছে। আমরা জানি, মেয়ের অভিভাবক ছাড়া বিবাহ বিশুদ্ধ হয় না। এরকম অবস্থায় ঐ ছেলের করণীয় কি হতে পারে?। এক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে কিভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে?

প্রশ্ন (২২) : নতুন বউ দেখতে এসে টাকা দেওয়ার বিধান কি?

প্রশ্ন (২৩) : জনৈক ব্য‌ক্তির বিবা‌হের সময় না বুঝার কার‌ণে সা‌ধ্যের চে‌য়ে অনেক বে‌শি মোহরানা ধার্য করে। আজও তি‌নি ওই মোহরানা প‌রি‌শোধ কর‌তে পা‌রেননি। এখন স্বামী-স্ত্রীর সম্ম‌তিতে উক্ত মোহরানার প‌রিমাণ কম করা যাবে কি? যা‌তে স্বামী তা প‌রিশোধ কর‌তে সক্ষম হয়।

প্রশ্ন (২৪) : এমন কিছু কথা আছে যেগুলো বিবাহের আগে বললে নাকি বিবাহের পর স্ত্রী এমনিতেই তালাক হয়ে যায়। অর্থাৎ কেউ যদি বলে, আমি যতবার বিবাহ করব প্রত্যেকবার আমার বউ তালাক। এক্ষেত্রে কি বিবাহ করার সাথে সাথে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?

প্রশ্ন (১) : জনৈক ব্যক্তি একটি ঘরে বসবাস শুরু করার পর থেকেই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্ত হয়েছে আরো বড় বড় কয়েকটি মুছীবতে, যার কারণে সে এই ঘরে বসবাস করাকে অমঙ্গলের কারণ হিসাবে মনে করছে। তার জন্য কি ঘর ছেড়ে দেওয়া জায়েয আছে?

প্রশ্ন (২) : অনেকে কোনো বিপদে কিংবা কষ্টের মধ্যে পতিত হলে বলে থাকে যে, ‘আমার তাক্বদীর ভালো আছে, শুধু সময়টা খারাপ যাচ্ছে’ এরূপ কথা বলা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩) : বর্তমানে ফেসবুক টুইটারসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে। যেখানে পাঁচ তারকা বা পাক-পাঞ্জাতন নামে একটি টুপি দেখানো হচ্ছে আর বলা হচ্ছে- সমস্ত ইসলামকে টুপির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাথে অন্যান্য ফযীলতের কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি কুরআন সুন্নাহর আলোকে জানতে চাই।

প্রশ্ন (৪) : ফেসবুকে লাল-গাভী নিয়ে খুব পোস্ট করা হচ্ছে। এটা নাকি দাজ্জাল আগমনের আলামত। এ কথার সত্যতা কতটুকু?

ইসলামে শূকরের গোশত হারাম কেন

প্রশ্ন (২৫) : কোম্পানিতে প্রভিডেন্ড ফাণ্ডের যে টাকা দেওয়া হয়। তা মূলত বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কেটে নেওয়া টাকাসহ তার সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হয়। এ টাকা নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (২৬) : অনলাইনে খ্রিস্টধর্মের বই লিখে আয় করা কি হালাল হবে?

প্রশ্ন (২৭) : আমি এক ঠিকাদার থেকে কাজ চুক্তিতে নিয়েছি। আমাদের চুক্তি পত্র করা আছে। কিন্তু আমার লাভ বেশি হলে তিনি দেন না। এই রকম অবস্থায় আমি কি যেকোনো উপায়ে খরচ বেশি দেখিয়ে নিতে পারব? এটা কি আমার জন্য হালাল হবে?

প্রশ্ন (২৮) : আমি পুজায় যাই না; তবে প্রতিবেশী হিন্দুরা তাদের পুজা উপলক্ষে তৈরিকৃত নাড়ু বা মিষ্টান্ন বাসায় দিয়ে যায়। এসব খাদ্যবস্তু কি হালাল?

প্রশ্ন (২৯) : কবরস্থানে জন্মানো গাছ থেকে কিছু খাওয়া যাবে কি? কবরস্থানে বসবাস করে এমন প্রাণী খাওয়া যাবে কি? যেহেতু এসব খাদ্যের মূল উৎস মৃত মানুষ।

প্রশ্ন (৩০) : জনৈক ব্যক্তির পিতার সূদী ব্যাংকে ৩৯ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। পিতার মৃত্যুর পর তার সন্তান এই টাকার মালিক হবে। পিতার মৃত্যুর পর এই টাকা সন্তানের জন্য শরীআতের দৃষ্টিতে ভোগ করা জায়েয হবে কি?

Magazine