কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৮) : বজ্রপাত সম্পর্কে ইসলামিক ব্যাখ্যা কী এবং বজ্রপাতের সময় আমাদের করণীয় কী?

উত্তরমহান আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি নিদর্শন হলো তিনি মেঘের মাঝে বিদ্যুৎ চমকান। আর এ বিদ্যুতের মাঝে আশা ও নিরাশা দুটোই বিদ্যমান। কেননা, এই বজ্রপাতের মাধ্যমে অনেক বনী আদম ‍দুনিয়া ত্যাগ করে। আবার অনেক মানুষ বিদ্যুৎ চমকে আশার আলো দেখতে পায়, তারা মনে করে, এই তো বুঝি রহমতের ঝর্ণা ধারা বয়ে যাবে এবং সিক্ত হবে খরতাপে চৌচির হওয়া পৃথিবী। গাছ-গাছালী, তরুলতা ও ঘাস ফিরে পাবে নতুন জীবন। ফুলে-ফলে ভরে উঠবে কৃষকের জমিন। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। উৎকট ও ভ্যাপসা গরম থেকে রক্ষা পাবে সকল মানুষ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই সত্ত্বা যিনি ভয় দেখানোর জন্য ও আশা সঞ্চারের জন্য মেঘের মাঝে তোমাদের বিদ্যুৎ চমক দেখান, তিনি ভারী মেঘমালা সৃষ্টি করেন। মেঘের গর্জন ও ফেরেশতারা প্রশংসাসহ তাঁর ভয়ে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করে, তিনি বজ্রপাত করান, অতঃপর যাকে চান তাকে বজ্রাঘাত করেন, অথচ তারা (কাফেররা) আল্লাহর অস্তিত্ব বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়, তিনি তার কৌশলে ও মাহাত্ম্যে অনেক বড়’ (আর-রা‘দ, ১৩/১২-১৩)। বিপদাপদে নিম্নের দু‘আ পাঠ করা যায়। যথা-

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

অর্থ: আপনি ছাড়া কোনো প্রকৃত মা‘বূদ নেই, আপনি পবিত্র, নিশ্চয় আমি যালিমদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম (আম্মিয়া, ২১/৮৭)।

রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বজ্রপাতের সময় বিশেষভাবে এই দুআটি পাঠ করতেন- ‌سُبْحَانَ ‌الَّذِي ‌يُسَبِّحُ ‌الرَّعْدُ ‌بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ

নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ঝড়ো হাওয়া বইতো, তখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু‘আ পাঠ করতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণ, এতে নিহিত কল্যাণ ও প্রেরিত কল্যাণ কামনা করছি। আমি আপনার নিকট এর অনিষ্ট, এতে নিহিত অনিষ্ট ও প্রেরিত অনিষ্ট হতে আশ্রয় গ্রহন করছি। আশেয়া রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আর যখন তিনি আকাশে মেঘ দেখতে পেতেন, তখন তার চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে যেত, আর ঘর হতে বের হতেন ও ঘরে প্রবেশ করতেন। বৃষ্টিপাত হলে, তাঁর সকল চিন্তা দূর হয়ে যেত… (ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯৯)।

প্রশ্নকারী : মো. রোকনুজ্জামান

শিবগঞ্জ, বগুড়া।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৭) : ছালাতের জন্য কখন আযান দিতে হবে? ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেও নাকি আযান দিলে তা যথেষ্ট হবে?

প্রশ্ন (৮) : দুই সিজদার মাঝখানে যে দুআ পড়া হয়, সেটি ওয়াজিব, না-কি সুন্নাত?

প্রশ্ন (৯) : দুই সিজদার মাঝখানের দুআ পড়েছি কি পড়িনি এরূপ সন্দেহ হলে অথবা পড়তে ভুলে গেলে করণীয় কী, সাহু সিজদা দিতে হবে কি?

প্রশ্ন (১০) : আমি যে এলাকায় থাকি সে এলাকার অধিকাংশ মানুষ হানাফী মাযহাবের অনুসারী। তাদের মসজিদে শুক্রবারে আযানের অনেক পর জুমআর খুতবা শুরু হয়। প্রশ্ন হলো- শুক্রবারে মসজিদে আগে যাবার যে ফযীলত, হানাফী মসজিদে কোন সময় গেলে আমি তা অর্জন করতে পারব?

প্রশ্ন (১১) : ছালাতের প্রথম বৈঠকে ভুলে দরূদ ও দুআ মাসূরা পাঠ করলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

প্রশ্ন (১২) : টি শার্ট পরে ছালাত পড়া মাকরূহ অনুরূপ গুল খাওয়া, বিড়ি খাওয়া। আসলে মাকরূহ শব্দের অর্থ কি? আল-কুরআনে কিংবা ছহীহ হাদীছে এমন শব্দ আছে কি?

প্রশ্ন (১৩) : আমরা জানি যে, দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া সুন্নাত। কিন্তু জনৈক আলেমকে এক সম্মেলনে বসে খুতবা দিতে দেখলাম। এটা শরীআতসম্মত কি?

প্রশ্ন (১৪) : কেউ যদি যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা'র ছালাত যথা সময়ে জামা‘আতে আদায় করে। কিন্তু ফজরের ছালাতে নিয়মিত জামাআত ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে যোহরের আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোনো সময়ে তা আদায় করে নেয়; তবে তার বিধান কি হবে?

প্রশ্ন (১৫) : পরে পড়ব ভেবে বিতর ছালাত রেখে দেওয়ার পর আদায়ের আগে মাসিক আরম্ভ হলে করণীয় কী? মাসিক শেষে কি ক্বাযা আদায় করতে হবে। ক্বাযা করতে হলে পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (১৮) : মোহরানার টাকা বিবাহের সময় কার কাছে দিতে হবে এবং কখন দিতে হবে?

প্রশ্ন (১৯) : যে পুরুষের স্ত্রী নেই সে হল, মিসকিন আর যে নারীর স্বামী নেই সে হল, মিসকিনা এ হাদীছটি কি ছহীহ?

প্রশ্ন (২০) : এক ব্যক্তি বড় বোনকে বিবাহ করার এক বছর পর স্ত্রীর ছোট বোনকে বিবাহ করে। তাহলে বড় বোন কি অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে, না-কি ছোট বোন তালাক হবে?

প্রশ্ন (২১) : মেয়ের বাবার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কিন্তু মেয়ের বাবা ছেলের অভিভাবক ছাড়া বিবাহ দিতে রাজি হচ্ছে না। আবার ছেলের অভিভাবকও ছেলেকে এই সময়ে বিয়ে দিতে চাচ্ছে না, তাদের অজুহাত হলো, ছেলের ইনকাম কম, বিবাহের বয়স হয়নি, পড়াশুনা শেষ করে তারপর বিবাহ করাবে ইত্যাদি। যদিও ছেলে বিবাহের উপযুক্ত (বয়স ২৩+) এবং আর্থিকভাবে কিছুটা হলেও সামর্থ্যবান, ভাল ইনকামের চেষ্টা করছে। আমরা জানি, মেয়ের অভিভাবক ছাড়া বিবাহ বিশুদ্ধ হয় না। এরকম অবস্থায় ঐ ছেলের করণীয় কি হতে পারে?। এক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে কিভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে?

প্রশ্ন (২২) : নতুন বউ দেখতে এসে টাকা দেওয়ার বিধান কি?

প্রশ্ন (২৩) : জনৈক ব্য‌ক্তির বিবা‌হের সময় না বুঝার কার‌ণে সা‌ধ্যের চে‌য়ে অনেক বে‌শি মোহরানা ধার্য করে। আজও তি‌নি ওই মোহরানা প‌রি‌শোধ কর‌তে পা‌রেননি। এখন স্বামী-স্ত্রীর সম্ম‌তিতে উক্ত মোহরানার প‌রিমাণ কম করা যাবে কি? যা‌তে স্বামী তা প‌রিশোধ কর‌তে সক্ষম হয়।

প্রশ্ন (২৪) : এমন কিছু কথা আছে যেগুলো বিবাহের আগে বললে নাকি বিবাহের পর স্ত্রী এমনিতেই তালাক হয়ে যায়। অর্থাৎ কেউ যদি বলে, আমি যতবার বিবাহ করব প্রত্যেকবার আমার বউ তালাক। এক্ষেত্রে কি বিবাহ করার সাথে সাথে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?

প্রশ্ন (১) : জনৈক ব্যক্তি একটি ঘরে বসবাস শুরু করার পর থেকেই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্ত হয়েছে আরো বড় বড় কয়েকটি মুছীবতে, যার কারণে সে এই ঘরে বসবাস করাকে অমঙ্গলের কারণ হিসাবে মনে করছে। তার জন্য কি ঘর ছেড়ে দেওয়া জায়েয আছে?

প্রশ্ন (২) : অনেকে কোনো বিপদে কিংবা কষ্টের মধ্যে পতিত হলে বলে থাকে যে, ‘আমার তাক্বদীর ভালো আছে, শুধু সময়টা খারাপ যাচ্ছে’ এরূপ কথা বলা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩) : বর্তমানে ফেসবুক টুইটারসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে। যেখানে পাঁচ তারকা বা পাক-পাঞ্জাতন নামে একটি টুপি দেখানো হচ্ছে আর বলা হচ্ছে- সমস্ত ইসলামকে টুপির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাথে অন্যান্য ফযীলতের কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি কুরআন সুন্নাহর আলোকে জানতে চাই।

প্রশ্ন (৪) : ফেসবুকে লাল-গাভী নিয়ে খুব পোস্ট করা হচ্ছে। এটা নাকি দাজ্জাল আগমনের আলামত। এ কথার সত্যতা কতটুকু?

ইসলামে শূকরের গোশত হারাম কেন

প্রশ্ন (২৫) : কোম্পানিতে প্রভিডেন্ড ফাণ্ডের যে টাকা দেওয়া হয়। তা মূলত বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কেটে নেওয়া টাকাসহ তার সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হয়। এ টাকা নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (২৬) : অনলাইনে খ্রিস্টধর্মের বই লিখে আয় করা কি হালাল হবে?

প্রশ্ন (২৭) : আমি এক ঠিকাদার থেকে কাজ চুক্তিতে নিয়েছি। আমাদের চুক্তি পত্র করা আছে। কিন্তু আমার লাভ বেশি হলে তিনি দেন না। এই রকম অবস্থায় আমি কি যেকোনো উপায়ে খরচ বেশি দেখিয়ে নিতে পারব? এটা কি আমার জন্য হালাল হবে?

প্রশ্ন (২৮) : আমি পুজায় যাই না; তবে প্রতিবেশী হিন্দুরা তাদের পুজা উপলক্ষে তৈরিকৃত নাড়ু বা মিষ্টান্ন বাসায় দিয়ে যায়। এসব খাদ্যবস্তু কি হালাল?

প্রশ্ন (২৯) : কবরস্থানে জন্মানো গাছ থেকে কিছু খাওয়া যাবে কি? কবরস্থানে বসবাস করে এমন প্রাণী খাওয়া যাবে কি? যেহেতু এসব খাদ্যের মূল উৎস মৃত মানুষ।

প্রশ্ন (৩০) : জনৈক ব্যক্তির পিতার সূদী ব্যাংকে ৩৯ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। পিতার মৃত্যুর পর তার সন্তান এই টাকার মালিক হবে। পিতার মৃত্যুর পর এই টাকা সন্তানের জন্য শরীআতের দৃষ্টিতে ভোগ করা জায়েয হবে কি?

Magazine