কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১৫) : অনেকেই দু‘আ কবুলের আশায় ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে বেশি বেশি দু‘আ করে থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ ঐ সময়ে বান্দার দু‘আ কবুল করে থাকেন। উক্ত দাবী কি সঠিক?

উত্তর : ‘ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে দু‘আ কবুল হয়’ মর্মে যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (যঈফ ইবনু মাজাহ, হা/১৭৫৩)। বরং রামাযান মাসের পুরো সময়টাই দু‘আ কবুলের সময়। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রামাযান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্ট জিনদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং এর দরজাও তখন আর খোলা হয় না, খুলে দেওয়া হয় জান্নাতের দরজাগুলো এবং এর একটি দরজাও তখন আর বন্ধ করা হয় না। (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেন, হে কল্যাণ অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর বহু লোককে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে’ (তিরমিযী, হা/৬৮২, ইবনু মাজাহ, হা/১৬৪২; মিশকাত, হা/১৯৬০)। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রামযান মাস উপস্থিত হলে রহমতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৮৯৯, ৩২৭৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৭৯; মিশকাত, হা/১৯৫৬)। তাই শুধু ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে নয়, বরং রামাযান মাসের যে কোনো সময় দু‘আ করলে আল্লাহ তা কবুল করবেন, ইনশা-আল্লাহ।

আহমাদ

কাটাখালী, রাজশাহী।


সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (১) : রামাযান মাসের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। কথাটি কি ঠিক?

প্রশ্ন (৩) : অনেকেই বলেন, রামাযান মাসে জাহান্নামের শাস্তি বন্ধ থাকে। একথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৪) : মানুষকে সাহারীর সময় জাগানোর জন্য মাইকে গযল গাওয়া, কুরআন তেলাওয়াত করা, বক্তব্য দেওয়া ও সাইরেন বাজানো যাবে কি?

প্রশ্ন (৫) : ছিয়াম অবস্থায় দিনের বেলা উত্তেজনাবসত মযী নির্গত হলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (৬) : ছিয়াম অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (৭) : ছিয়াম অবস্থায় ইনজেকশন নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৮) : ছিয়াম অবস্থায় কাঁচা ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা কিংবা পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৯) : ছিয়াম অবস্থায় কোনো রোগীকে রক্ত দিলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (১০) : কোনো ব্যক্তি যদি রামাযানের রাত্রিতে স্ত্রী সহবাস করে ঘুমিয়ে যায় এবং অপবিত্র অবস্থায় সাহারী খেয়ে ছিয়াম রাখে, তাহলে উক্ত ছিয়াম শুদ্ধ হবে কি?

প্রশ্ন (১১) : ছিয়াম অবস্থায় তরকারির স্বাদ কীভাবে ও কতটুকু নেওয়া যেতে পারে?

প্রশ্ন (১২) : ওযূ করার সময় যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে সামান্য পানি গিলে ফেলা হয় তাহলে কি ছিয়াম ভঙ্গ হবে?

প্রশ্ন (১৩) : ছিয়াম পালনকারীর নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ দিলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : কেউ যদি বাংলাদেশে ছিয়াম ধরে এবং অন্য দেশে পৌঁছে দেখে যে তাদের ইফতারীর সময় হয়েছে তাহলে তিনি কি তাদের সময়েই ইফতার করবেন, না-কি বাংলাদেশ সময়ে ইফতার করবেন?

প্রশ্ন (১৫) : অনেকেই দু‘আ কবুলের আশায় ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে বেশি বেশি দু‘আ করে থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ ঐ সময়ে বান্দার দু‘আ কবুল করে থাকেন। উক্ত দাবী কি সঠিক?

প্রশ্ন (১৬) : রামাযান মাসে ইফতারির পূর্বে সম্মিলিতভাবে বা একাকী হাত তুলে দু‘আ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৭) : একটি বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় থাকি, এখন আযানের সাথে সাথে ইফতার করব, না-কি দেরি করে ইফতার করব?

প্রশ্ন (১৮) : আমার পিতা-মাতা মারা গেছেন। তাদের নামে ইফতার মাহফিল করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৯) : রাতে ঘুম ভাঙেনি এবং ছিয়াম পালনেরও নিয়্যত করতে পারেনি এ অবস্থায় সূর্য উঠে গেছে। এমতাবস্থায় করণীয় কী?

প্রশ্ন (২০) : অসুস্থতার কারণে গত বছর সব ছিয়াম রাখতে পারিনি। বর্তমানেও শারীরিকভাবে অসুস্থ। এখন করণীয় কী?

প্রশ্ন (২১) : সফর অবস্থায় ছিয়াম পালনের বিধান কী? মুসাফির যদি ছিয়াম রাখে তাহলে কি কোনো ক্ষতি আছে?

প্রশ্ন (২২) : গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী মহিলাদের ছিয়ামের হুকুম কী?

প্রশ্ন (২৪) : স্বামী অসুস্থতার কারণে রামাযান মাসে ছিয়াম রাখতে পারেনি। এমতাবস্থায় মারা গেছে। স্ত্রী কি তার পক্ষ থেকে ছিয়াম আদায় করতে পারে?

প্রশ্ন (২৫) : কথিত আছে যে, উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু ২০ রাকআত তারাবীহ চালু করেছিলেন এবং মক্কা ও মদীনায় এখনোও তা চালু আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন।

প্রশ্ন (২৬) : তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়কারীদের জন্য রামাযান মাসে কোনটি উত্তম, তারাবীহ না-কি তাহাজ্জুদ?

প্রশ্ন (২৭) : রামাযান মাসে আট রাকআত তারাবীহ ও এক রাকআত বিতর পড়া যাবে কি?

প্রশ্ন (২৮) : এশার ছালাতের পরপরই তারাবীহর ছালাত শুরু করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩১) : রামাযান মাসে মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩২) : নির্ধারিতভাবে ২৭শে রামাযানের রাত্রিতে লায়লাতুল ক্বদর উদযাপন করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৩) : লায়লাতুল ক্বদরে সারা রাত জেগে ছালাত আদায় করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৫) : ই‘তিকাফকারী যে মসজিদে আছেন তিনি কি অন্য মসজিদে গিয়ে তারাবীহর ছালাত পড়াতে পারেন?

প্রশ্ন (৩৭) : ই‘তিকাফে বসার সময় কখন? মহিলারা কি বাড়িতে ই‘তিকাফ করতে পারে?

Magazine