কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৮) : আমাদের সমাজে ঈদের পূর্বের দিন সন্ধ্যায় ফিতরার চাল হক্বদারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। এভাবে ফিতরার চাল ঈদের ছালাতের পূর্বে বণ্টন করা যাবে কি?

উত্তর : ছাদাক্বাতুল ফিতর ঈদের পূর্বে জমা করতে হবে এবং ঈদের ছালাতের পরে তা বণ্টন করতে হবে। এটাই সুন্নাতী ত্বরীক্বা (বিস্তারিত দ্র. ফাৎহুল বারী, হা/১৫১১ ‘যাকাত’ অধ্যায়, ৭৭ অনুচ্ছেদ, ৩/৪৩৯-৪০)। ছহীহ বুখারীতে নাফে‘-এর সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে ঈদের ছালাতের পূর্বে ছাদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে (ছহীহ বুখারী, হা/১৫১১ ‘যাকাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৭৭)। কিন্তু পরবর্তী অনুচ্ছেদে নাফে‘ রাহিমাহুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে ছাদাক্বাতুল ফিতর সংক্রান্ত আরেকটি হাদীছ বর্ণনার পর বলেন, وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُعْطِيْهَا الَّذِيْنَ يَقْبِلُوْنَهَا ‘ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা ছাদাক্বাতুল ফিতর জমাকারীদের নিকট ফিতরা প্রদান করতেন’ (ঐ, হা/১৫১২; ইবনু হাজার আসক্বালানী, ফাতহুল বারী, ৩/৪৭৯)। ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, كَانُوْا يُعْطُوْنَ لِلْجَمْعِ لاَ لِلْفُقَرَاءِ ‘তাঁরা জমা করার জন্য দিতেন, ফক্বীরদের জন্য নয়’। ছহীহ ইবনু খুযায়মাতে আব্দুল ওয়ারেছের সূত্রে আইয়ূব থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা ছাদাক্বাতুল ফিতর কখন প্রদান করতেন? তিনি বললেন, আদায়কারী বসলে। তিনি আবার বললেন, আদায়কারী কখন বসতেন? তিনি বললেন, ঈদের ছালাতের একদিন বা দু’দিন পূর্বে (ফাতহুল বারী, ৩/৪৮০)। ইমাম মালেক রাহিমাহুল্লাহ নাফে‘ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, أَنَّ عَبْدَ اللهِ ابْنِ عُمَرَ كَانَ يَبْعَثُ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ إِلَى الَّذِيْ تُجْمَعُ عِنْدَهُ قَبْلَ الْفِطْرِ بِيَوْمَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ ‘আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা ঈদুল ফিতরের দু’দিন বা তিন দিন পূর্বে যাদের নিকট ছাদাক্বাতুল ফিতর জমা করা হয় তাদের নিকট ফিতরা প্রেরণ করতেন’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক, ১/২৮৫)। ‘যাকাত’ অধ্যায় ‘যাকাতুল ফিতর প্রেরণ’ অনুচ্ছেদ)। তেমনি আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, وَكَّلَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ ‘রাসূলুল্লাহ আমাকে রামাযানের যাকাত রক্ষার বা হেফাযতের দায়িত্ব প্রদান করেন’ (ফাতহুল বারী, ৩/৪৮০। যা দ্বারা বুঝা যায় যে, তিনি জমাকৃত ছাদাক্বাতুল ফিতর পাহারা দিচ্ছিলেন। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, ঈদের পূর্বে ছাদাক্বাতুল ফিতর জমা করা সুন্নাত। তাছাড়া ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ঈদের ছালাতের পূর্বে ছাদাক্বাতুল ফিতর বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তা ছালাতের পূর্বে বের করতাম এবং রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছালাত শেষে তা বণ্টন করতেন’ (ইরওয়াউল গালীল, ৩/৩৩২-৩৩)। উল্লেখ্য যে, ঈদের ছালাতের পূর্বে ফিতরা বণ্টনের যে বর্ণনাগুলো এসেছে তা যঈফ (ইরওয়াউল গালীল, হা/৮৪৪-৮৪৫, ৩/৩৩২-৩৩৪)।

রিয়াযুল ইসলাম

মোহনপুর, রাজশাহী।


সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (১) : রামাযান মাসের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। কথাটি কি ঠিক?

প্রশ্ন (৩) : অনেকেই বলেন, রামাযান মাসে জাহান্নামের শাস্তি বন্ধ থাকে। একথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৪) : মানুষকে সাহারীর সময় জাগানোর জন্য মাইকে গযল গাওয়া, কুরআন তেলাওয়াত করা, বক্তব্য দেওয়া ও সাইরেন বাজানো যাবে কি?

প্রশ্ন (৫) : ছিয়াম অবস্থায় দিনের বেলা উত্তেজনাবসত মযী নির্গত হলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (৬) : ছিয়াম অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (৭) : ছিয়াম অবস্থায় ইনজেকশন নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৮) : ছিয়াম অবস্থায় কাঁচা ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা কিংবা পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৯) : ছিয়াম অবস্থায় কোনো রোগীকে রক্ত দিলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (১০) : কোনো ব্যক্তি যদি রামাযানের রাত্রিতে স্ত্রী সহবাস করে ঘুমিয়ে যায় এবং অপবিত্র অবস্থায় সাহারী খেয়ে ছিয়াম রাখে, তাহলে উক্ত ছিয়াম শুদ্ধ হবে কি?

প্রশ্ন (১১) : ছিয়াম অবস্থায় তরকারির স্বাদ কীভাবে ও কতটুকু নেওয়া যেতে পারে?

প্রশ্ন (১২) : ওযূ করার সময় যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে সামান্য পানি গিলে ফেলা হয় তাহলে কি ছিয়াম ভঙ্গ হবে?

প্রশ্ন (১৩) : ছিয়াম পালনকারীর নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ দিলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : কেউ যদি বাংলাদেশে ছিয়াম ধরে এবং অন্য দেশে পৌঁছে দেখে যে তাদের ইফতারীর সময় হয়েছে তাহলে তিনি কি তাদের সময়েই ইফতার করবেন, না-কি বাংলাদেশ সময়ে ইফতার করবেন?

প্রশ্ন (১৫) : অনেকেই দু‘আ কবুলের আশায় ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে বেশি বেশি দু‘আ করে থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ ঐ সময়ে বান্দার দু‘আ কবুল করে থাকেন। উক্ত দাবী কি সঠিক?

প্রশ্ন (১৬) : রামাযান মাসে ইফতারির পূর্বে সম্মিলিতভাবে বা একাকী হাত তুলে দু‘আ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৭) : একটি বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় থাকি, এখন আযানের সাথে সাথে ইফতার করব, না-কি দেরি করে ইফতার করব?

প্রশ্ন (১৮) : আমার পিতা-মাতা মারা গেছেন। তাদের নামে ইফতার মাহফিল করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৯) : রাতে ঘুম ভাঙেনি এবং ছিয়াম পালনেরও নিয়্যত করতে পারেনি এ অবস্থায় সূর্য উঠে গেছে। এমতাবস্থায় করণীয় কী?

প্রশ্ন (২০) : অসুস্থতার কারণে গত বছর সব ছিয়াম রাখতে পারিনি। বর্তমানেও শারীরিকভাবে অসুস্থ। এখন করণীয় কী?

প্রশ্ন (২১) : সফর অবস্থায় ছিয়াম পালনের বিধান কী? মুসাফির যদি ছিয়াম রাখে তাহলে কি কোনো ক্ষতি আছে?

প্রশ্ন (২২) : গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী মহিলাদের ছিয়ামের হুকুম কী?

প্রশ্ন (২৪) : স্বামী অসুস্থতার কারণে রামাযান মাসে ছিয়াম রাখতে পারেনি। এমতাবস্থায় মারা গেছে। স্ত্রী কি তার পক্ষ থেকে ছিয়াম আদায় করতে পারে?

প্রশ্ন (২৫) : কথিত আছে যে, উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু ২০ রাকআত তারাবীহ চালু করেছিলেন এবং মক্কা ও মদীনায় এখনোও তা চালু আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন।

প্রশ্ন (২৬) : তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়কারীদের জন্য রামাযান মাসে কোনটি উত্তম, তারাবীহ না-কি তাহাজ্জুদ?

প্রশ্ন (২৭) : রামাযান মাসে আট রাকআত তারাবীহ ও এক রাকআত বিতর পড়া যাবে কি?

প্রশ্ন (২৮) : এশার ছালাতের পরপরই তারাবীহর ছালাত শুরু করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩১) : রামাযান মাসে মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩২) : নির্ধারিতভাবে ২৭শে রামাযানের রাত্রিতে লায়লাতুল ক্বদর উদযাপন করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৩) : লায়লাতুল ক্বদরে সারা রাত জেগে ছালাত আদায় করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৫) : ই‘তিকাফকারী যে মসজিদে আছেন তিনি কি অন্য মসজিদে গিয়ে তারাবীহর ছালাত পড়াতে পারেন?

প্রশ্ন (৩৭) : ই‘তিকাফে বসার সময় কখন? মহিলারা কি বাড়িতে ই‘তিকাফ করতে পারে?

Magazine