কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

লায়লাতুল মি‘রাজ : করণীয় ও বর্জনীয়

post title will place here

রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত তথা মি‘রাজ উপলক্ষ্যে আমাদের সমাজে বিভিন্ন সভা-সেমিনারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইবাদত পালন করা হয়- যদিও মি‘রাজের দিন-তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। যেমন—ছালাত, ছিয়াম ইত্যাদি। আসলে এগুলোর কুরআন ও সুন্নাহতে ভিত্তি আছে কিনা সে সম্পর্কে কোনো খেয়াল করা হয় না। নিম্নে এ সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো:

মি‘রাজের রাতে নফল ছালাত :

অনেক মুসলিম ভাই-বোনেরা মি‘রাজ উপলক্ষ্যে কেউ ১২ রাকআত, কেউ ২০ রাকআত ছালাত আদায় করে থাকেন। ইসলামী শরীআতে মি‘রাজের ছালাত বলে কিছু নেই। নফল ছালাত পড়া ছওয়াবের কাজ কিন্তু মি‘রাজ উপলক্ষ্যে নফল ছালাত আদায় করার কোনো ভিত্তি বা প্রমাণ ইসলামে নেই। কাজেই মি‘রাজের নামে নফল ছালাত আদায় করা এবং এর ব্যবস্থা করা মানে ইসলামী শরীআতে নিজের পক্ষ থেকে কিছু সংযোজন করা। আর এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমাদের ধর্মে এমন কিছু সংযুক্ত বা উদ্ভাবন করবে, যা তার (শরীআতের) অংশ নয়— তা প্রত্যাখ্যাত হবে’।[1]

এ সংক্রান্ত কয়েকটি জাল হাদীছ:

(১) আনাস ইবনু মালেক রযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রজবের প্রথম রজনিতে মাগরিবের ছালাতের পর ২০ রাকআত ছালাত আদায় করবে, যার প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতেহা ও সূরা ইখলাছ পড়বে...’। অতঃপর দীর্ঘ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।

ইবনুল জাওযী রহিমাহুল্লাহ বলেন, হাদীছটি মাওযূ বা জাল।[2]

(২) আনাস রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি ২৭ রজব (অর্থাৎ মি‘রাজের রাত্রিতে) ইবাদত করবে, তার আমলনামায় ১০০ বছরের ইবাদতের ছওয়াব লেখা হবে’।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন, রজব মাসের ২৭ তারিখের রাতের ছালাতের ব্যাপারে উলামায়ে ইসলাম ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, এটি প্রমাণযোগ্য নয়।[3]

(৩) একটি অতি প্রচলিত ভিত্তিহীন হাদীছের দৃষ্টান্ত, اَلصَّلَاةُ مِعْرَاجُ الْمُؤْمِنِيْنَ ‘ছালাত হলো মুমিনদের মি‘রাজ’।[4]

আল্লামা ইবনু রজব, ইবনু হাজার আসক্বালানী, সুয়ূতী, মোল্লা আলী কারী ও অন্যান্য মুহাদ্দিছ একবাক্যে বলেছেন, রজব মাসে বিশেষ কোনো ছালাত বা রজব মাসের কোনো দিনে বা রাতে কোনো বিশেষ পদ্ধতিতে বিশেষ ছালাত আদায় করলে বিশেষ ছওয়াব পাওয়া যাবে— এ মর্মে একটি হাদীছও গ্রহণযোগ্য সনদে বর্ণিত হয়নি। এ বিষয়ে যা কিছু বলা হয় সবই বাতিল। কেননা, এসবই বানোয়াট।[5]

মি‘রাজ ও নফল ছিয়াম :

আমাদের অনেক মুসলিম ভাই-বোন লায়লাতুল ক্বদরের সাথে মিলিয়ে মি‘রাজেও নফল ছিয়াম রেখে থাকেন। একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য— নফল ছিয়াম যখন ইচ্ছা তখন রাখা যায়। কিন্তু কোনো উপলক্ষ্যে নফল ছিয়াম রাখতে হলে অবশ্যই আগে জেনে নিতে হবে যে, আমি বা আমরা যে উপলক্ষ্যে নফল ছিয়াম রাখছি শরীআত সেটাকে অনুমতি দিয়েছে কিনা। মি‘রাজ উপলক্ষ্যে নফল ছিয়াম রাখার কোনো বর্ণনা কুরআন-হাদীছের কোথাও বর্ণিত নেই। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার অনুসারীগণ এই দিনে বিশেষভাবে কোনো ছিয়াম রেখেছেন এমন কোনো বর্ণনা ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই এই দিনে মি‘রাজ উপলক্ষ্যে ছিয়াম রাখা কোনো ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না।

মি‘রাজের নফল ছিয়াম সম্পর্কে অসংখ্য জাল হাদীছ এসেছে। যেমন-

(১) আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখ অর্থাৎ মি‘রাজ দিবসে ছিয়াম পালন করবে, তার আমলনামায় ৬০ মাসের ছিয়ামের নেকী লেখা হবে’।

(২) আবূ সাঈদ খুদরী রযিয়াল্লাহু আনহু-এর নামে বর্ণিত জাল হাদীছে আছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাকি বলেছেন, ‘রজব মাস আল্লাহর মাস, শা‘বান মাস আমার মাস এবং রামাযান মাস উম্মতের মাস। অতএব, যে ব্যক্তি ঈমানের অবস্থায় নেকীর আশায় রজবের ছিয়াম পালন করবে তার জন্য আল্লাহর মহা সন্তোষ অবধারিত হয়ে যাবে এবং তাকে তিনি জান্নাতুল ফেরদাউসে স্থান দিবেন...। যে ব্যক্তি রজব মাসে ২ থেকে ১৫টি ছিয়াম পালন করবে, তার নেকী পাহাড়ের মতো হবে... সে কুষ্ঠ, শ্বেত ও পাগলামি রোগ থেকে মুক্তি পাবে। ...জাহান্নামের সাতটি দরজা তার জন্য বন্ধ থাকবে। ...জান্নাতের আটটি দরজা তার জন্য খোলা থাকবে’।

জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ বলেন, হাদীছটি জাল।[6]

(৩) ‘রজব মাসের ২৭ তারিখ আমি নবুঅত পেয়েছি। সুতরাং যে ব্যক্তি এ দিনে ছিয়াম রাখবে, তা তার ৬০ মাসের গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে’।[7]

(৪) ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু ২৭শে রজবের সকাল থেকে ই‘তিকাফ আরম্ভ করতেন। যোহর পর্যন্ত ছালাতে মাশগূল থাকতেন, যোহরের পর অমুক অমুক সূরা দিয়ে চার রাকআত বিশেষ ছালাত আদায় করতেন এবং আছর পর্যন্ত দু‘আতে থাকতেন। তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন।[8]

শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন, রজব মাসে ছিয়াম রাখা সংক্রান্ত সবগুলো হাদীছ দুর্বল; বরঞ্চ মাওযূ (বানোয়াট)। আলেমগণ এর কোনোটির উপর নির্ভর করেন না। ফযীলতের ক্ষেত্রে যে মানের দুর্বল হাদীছ বর্ণনা করা যায়, এটি সে মানের নয়। বরং এ সংক্রান্ত সবগুলো হাদীছ মাওযূ (বানোয়াট) ও মিথ্যা।[9] ইবনু হাজার আল-আসক্বালানী, মোল্লা আলী কারী, মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আজলুনী, আব্দুল হাই লাখনবী রহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখ মুহাদ্দিছ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ২৭শে রজবের ফযীলত, এ তারিখের রাতের ইবাদত, দিনে ছিয়াম পালন বিষয়ে বর্ণিত সকল কথাই বানোয়াট, জাল ও ভিত্তিহীন।

ইবনুল ক্বাইয়িম রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘রজব মাসে ছিয়াম রাখা ও নফল ছালাত পড়ার ব্যাপারে যে কয়টি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, সবগুলো মিথ্যা’।[10] ইবনু হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেন, রজব মাসের ফযীলত, এ মাসে ছিয়াম রাখা বা এ মাসের বিশেষ বিশেষ দিনে ছিয়াম রাখার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু বর্ণিত হয়নি। অথবা এ মাসের বিশেষ কোনো রাত্রিতে ছালাত পড়ার ব্যাপারে ছহীহ কোনো হাদীছ নেই।[11] সাইয়েদ সাবেক রহিমাহুল্লাহ বলেন, অন্য মাসগুলোর উপর রজব মাসের বিশেষ কোনো ফযীলত নেই। তবে এটি হারাম মাসসমূহের একটি। এ মাসে ছিয়াম রাখার বিশেষ কোনো ফযীলত কোনো ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। এ বিশেষ যে কয়টি বর্ণনা রয়েছে, এর কোনোটি দলীল হিসেবে গ্রহণ করার উপযুক্ত নয়।[12] শায়খ উছায়মীন রহিমাহুল্লাহ-কে ২৭শে রজব ছিয়াম ও ক্বিয়াম পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তিনি বলেন, ‘সবিশেষ মর্যাদা দিয়ে ২৭শে রজব ছিয়াম ও ক্বিয়াম পালন বিদআত। আর প্রত্যেকটি বিদআতই ভ্রান্তি’।[13] রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মি‘রাজের ঘটনার পর প্রায় ১১ বছর জীবিত ছিলেন। তাঁর জীবদ্দশায় কখনো ‘মি‘রাজ দিবস’ পালিত হয়নি। ছাহাবায়ে কেরাম কখনো তা পালন করেননি। তাই এ উপলক্ষ্যে ছিয়াম রাখা সুস্পষ্ট বিদআত।

রজবে উমরা পালন :

মুসলিমদের কোনো কোনো উপদল রজব মাসকে বিশেষভাবে উমরা পালনের মাস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাস এর রয়েছে প্রভূত ফযীলত এবং পরকালীন পুরস্কার। প্রকৃত সত্য ও শুদ্ধ মত হলো রজব অন্যান্য মাসের অবিকল, তার বিশেষত্ব নেই অন্য মাসের তুলনায়। তাতে উমরা পালনের বিশেষ কোনো ফযীলত বর্ণনা করা হয়নি। উমরা পালনের ক্ষেত্রে সময়সংশ্লিষ্ট আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী রামাযান মাস এবং হজ্জে তামাত্তুর জন্য হজ্জের মাসগুলো। এ মাসগুলোয় উমরা পালনের বিশেষ ফায়দা হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত ও প্রমাণিত। হাদীছের কোথাও এ স্বীকৃতি পাওয়া যায় না যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে উমরা পালন করেছেন। তাছাড়া, বিষয়টিকে আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন।

রজব মাস উপলক্ষ্যে পশু যবেহ একটি জাহেলী কুসংস্কার :

ইসলামপূর্ব জাহেলী যুগে রজব মাসে মুশরিকদের মধ্যে স্বীয় দেবতা/প্রতীমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করার একটি রেওয়াজ ছিল। একে ‘আতীরা’ বলা হতো। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শিরকী রেওয়াজের মূলোৎপাটন করেছেন। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এখন ‘ফারা’ এবং ‘আতীরা নেই।[14] ইমাম আবূ দাঊদ রহিমাহুল্লাহ বলেন, কেউ কেউ বলেন, ‘ফারা’ বলা হয় উটের প্রথম ভূমিষ্ঠ বাচ্চাকে। প্রাচীন আমলে লোকেরা তাদের উপাস্য ত্বাগূতের জন্য একে বলি দিত। অতঃপর তার গোশত খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করত, চামড়া ঝুলিয়ে রাখত গাছের ডালে। ‘আতীরা’ বলা হয় রজবের ১০ তারিখে উপাস্যের উদ্দেশ্যে যে পশু বলি দেওয়া হয়, তা।[15]

আজকাল রজব মাসে খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহিমাহুল্লাহ-এর মাযারে তার ওফাত উপলক্ষ্যে যে ‘উরস’ হয়, সেখানে এমন অনেক পশু যবেহ করা হয়, যা মূর্খ লোকেরা খাজা রহিমাহুল্লাহ বা তার মাযারের নামে মানত করে থাকে। জাহেলী যুগের ‘ফারা’, ‘আতীরা’ আর বর্তমানের এসব যবেহকৃত পশুর মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। আল্লাহ ছাড়া অন্য যে কারো নামে মানত করা, তা যদি পীর-বুযুর্গের নামেও হয় তবুও তা শিরক। আমাদের দেশেও খাজা আজমীরী রহিমাহুল্লাহ-এর ওফাতকে কেন্দ্র করে জাহেল লোকেরা এমন সব রসম-রেওয়াজ উদ্ভাবন করেছে, যা কঠোরভাবে পরিহার করে চলা উচিত। বিভিন্ন স্থানে লাল কাপড়ে মোড়ানো বিরাট ‘আজমীরী ডেগ’ বসানো হয়। কোথাও কোথাও মাযারের আদলে অস্থায়ী মাযার স্থাপন করা হয়। এরপর খাজা আজমীরী রহিমাহুল্লাহ-এর উদ্দেশ্যে নযর-নিয়ায ও মানতের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, চাল-ডাল ইত্যাদি ওঠানো হয়, যা দেওয়াও হারাম এবং ওখান থেকে কিছু খাওয়াও হারাম। যারা এগুলো উঠায় তারা এগুলো দিয়ে আনন্দ-ফূর্তির আয়োজন করে। ঢোল-তবলা ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে নাচ-গানের আসর বসায়। যেখানে নারী-পুরুষ একসঙ্গে নাচ-গান ও খাওয়া-দাওয়ায় অংশ নেয়, অবাধে মেলামেশা করে এবং নানা ধরনের গর্হিত কাজ করে থাকে, যা নিঃসন্দেহে হারাম।

অতএব রজব মাসের সম্মানে বিশেষ ছিয়াম পালন করা, ২৭শে রজবের রাত্রিকে শবে মি‘রাজ ধারণা করে ঐ রাতকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা, উক্ত উদ্দেশ্যে বিশেষ কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা, যিকির-আযকার, শাবীনা খতম ও দু‘আর অনুষ্ঠান করা, মীলাদ ও ওয়ায-মাহফিল করা, ঐ রাতের ছওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, সরকারি ছুটি ঘোষণা করা ও তার ফলে জাতীয় অর্থনীতির বিশাল অংকের ক্ষতি করা, ছহীহ হাদীছ বাদ দিয়ে মি‘রাজের নামে উদ্ভট সব গল্পবাজি করা, মি‘রাজকে বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণ করতে গিয়ে অনুমানভিত্তিক কথা বলা, ঐ দিন আতশবাজি, আলোকসজ্জা, কবর যিয়ারত, দান-খয়রাত এবং এ মাসের ফযীলত লাভের আশায় উমরা পালন ইত্যাদি সবই বিদ‘আতের পর্যায়ভুক্ত।[16]

মুহাম্মাদ গিয়াসুদ্দীন

 শিবগঞ্জ, বগুড়া।


[1]. ছহীহ বুখারী, ১/৩৭১।

[2]. কিতাবুল মাওযূআত, ২/১২৩।

[3]. গোলাম রহমান, মাহে মি‘রাজ, মাসিক আত-তাহরীক, ২য় বর্ষ, ২য় সংখ্যা, নভেম্বর-১৯৯৮, পৃ. ২২।

[4]. মুফতী হাবীব ছামদানী, বার চান্দের ফযিলত, পৃ. ১২৩।

[5]. আল-মাসনূ, পৃ. ২০৮।

[6]. কিতাবুল মাওযূআত।

[7]. তাবঈনুল আযাব, পৃ. ৬৪; তানযীহ, ২/১৬১।

[8]. আল-আসার, আবদুল হাই লখনবী, পৃ. ৭৮।

[9]. ইবনু তায়মিয়া রহিমাহুল্লাহ, মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৫/২৯০।

[10]. আল-মানারুল মুনীফ, পৃ. ৯৬।

[11]. তাবঈনুল আযাব, পৃ. ১১।

[12]. সাইয়েদ সাবেক, ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/৩৮৩।

[13]. শায়খ উছায়মীন, মাজমূউ ফাতাওয়া, ২০/৪৪০।

[14]. ইবনু মাজাহ, হা/৩১৬৮; মুখতাছার ছহীহ মুসলিম, হা/১২৬০; ইরওয়া, হা/১১৮০; ছহীহ জামে‘ আছ-ছাগীর, হা/৭৫৪৪।

[15]. আস-সুনান, ৩/১০৪।

[16]. মাসিক আত-তাহরীক, সেপ্টেম্বর-২০০৪, পৃ. ৯।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (২২) : মসজিদে প্রতিদিন ফজর ছালাতের পর ইমাম সূরা ইয়াসিন পড়েন এবং ইমাম সাহেব বাড়ি গেলে আমাকে পড়ার জন্য চাপ দেন৷ আমি জানতে চাই প্রতিদিন ফজর ছালাতের পর নিয়ম করে সূরা ইয়াসিন পড়ার বিধান কী?

প্রশ্ন (২৩) : নবীর প্রতি ছালাত ও সালাম পেশ না করলে দুআ কবুল হয় না। দুআ ঝুলন্ত থাকে। এই মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? নবী a-এর প্রতি ছালাত ও সালাম পেশ না করে দুআ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (২৪) : বিপদ থেকে মুক্তি লাভের আমল কী?

প্রশ্ন (২৫) : কুরআনের এমন কোনো নির্দিষ্ট তেত্রিশ আয়াত আছে কি যার অনেক ফযীলত রয়েছে?

প্রশ্ন (২৬) : আমি মেয়ের অভিভাবকের সম্মতি না নিয়ে কোর্ট মেরেজ করেছি এবং সংসার করছি। কিছু আলেম বলছেন, বিবাহ হয়ে গেছে আর কিছু আলেম বলছেন, বিবাহ হয়নি। এখন মেয়ে আমার সাথে সংসার করবে না। প্রশ্ন হলো- এখন আমি যদি তাকে তালাক দিই তাহলে কি মোহরানা পরিশোধ করতে হবে? যদি বিবাহ না হয়ে থাকে তাহলে মোহরানা কেন পরিশোধ করবো?

প্রশ্ন (৩৬) : দিবস পালন করা কি শিরক নাকি বিদআত? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (৩৭) : অন্য মানুষকে ভুল করে লাথি লেগে গেলে করণীয় কী?

প্রশ্ন (৩৮) : ভালোবাসা দিবস পালন করার বিধান কী?

প্রশ্ন (৩৯) : শবে বরাত ও শবে কদর উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও দোকানপাটে আলোকসজ্জা করা হয়, পটকা ফুটানো হয় ও আতশবাজি করা হয়। সেই সাথে হালুয়া-রুটি, খিচুড়ি ইত্যাদি খাবারের আয়োজন করা হয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে এর হুকুম কী জানতে চাই?।

প্রশ্ন (৪২) : আমাদের এলাকায় প্রচলন আছে যে, কেউ ভয় পেলে কাসার থালা বা প্লেটে দুআ পড়ে ফুঁক দিয়ে তার পিঠের উপর লাগিয়ে দেয়। যদি সে ভয় পেয়ে থাকে তাহলে, প্লেট তার পিঠে লেগে থাকবে এবং সম্পুর্ণ ভয় না উঠা পর্যন্ত প্লেট পড়বে না। আর ভয় না পেলে পিঠে লাগবে না পড়ে যাবে। এটা করলে কি শিরক হবে?

লায়লাতুল মি‘রাজ : করণীয় ও বর্জনীয়

প্রশ্ন (১২) : যোহর ছালাতের সময় মসজিদে এমন সময় উপস্থিত হলাম যে, ফরযের পূর্বের চার রাকআত ছালাত আদায় করার সময় হচ্ছে না। কিন্তু দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার মতো সময় আছে। এমতাবস্থায় কি করবো?

প্রশ্ন (১৪) : বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর স্বামী এবং স্ত্রীর একত্রে যে দুই রাকআত নফল ছালাত আদায় করবে; সেই দুই রাকআত ছালাত কি স্বরবে হবে নাকি নিরবে হবে?

প্রশ্ন (১৫) : রাত জাগার কারণে ফজরের ছালাত প্রায়ই ক্বাযা হয়ে যায়। স্কুলে গিয়েও সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় যোহরের ছালাত ক্বাযা হয়। এমতাবস্থায় করণীয় কী?

প্রশ্ন (১৬) : আমাকে কেন আরবীতে ছালাত আদায় করতে হবে, যখন আমি সেই ভাষা বুঝিই না?। অনুগ্রহ করে যুক্তি না দিয়ে দলিল দিয়ে বুঝাবেন।

প্রশ্ন (১৭) : ১৫ শাবানের রাতকে কেন্দ্র করে জামাআত বদ্ধ হয়ে আবার একাকী বিশেষ পদ্ধতিতে ছালাত আদায় করে থাকে। ১৫ শাবান রাতে কি বিশেষ কোনো ছালাতের কথা কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত হয়েছে?

ইলম অর্জনকারী ও প্রদানকারীর ফযীলত

বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার মূলনীতি : ইসলামী দৃষ্টিকোণ

কিছু হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ

প্রশ্ন (৪৫) : আমার বয়স সাতাশ বছর। আমি দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করার জন্য কুরআন, হাদীছের সাথে সাথে আরো কিছু কিতাব পড়ছি। এখন আমি বেকার। আমি কি এখন কাজ খুঁজবো নাকি আরো কিছু জ্ঞান অর্জন করবো? কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

প্রশ্ন (৪৬) : ‌মানুষের মত কি জিনদেরও সংসার জীবন ও হায়াত-মউত আছে?

প্রশ্ন (৪৮) : বর্তমানে বিপিএল ক্রিকেট খেলা অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় ভরপুর। এই খেলা দেখা জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৪৯) : বিড়াল মেরে ফেললে তার ওযনের সমপরিমাণ লবণ ছাদাক্বা করে তাকে পুঁতে ফেলতে হবে- একথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৫০) : আমার মায়ের জমি আছে। সেই জমি আমার বাবা চাষ করেন। আমার মা যদি প্রয়োজনে বাবাকে না বলে সেই জমির অল্প কিছু ধান বিক্রি করে তাহলে পাপ হবে কি?

প্রশ্ন (১) : আমরা জানি যে ফেরেস্তা নূরের তৈরি। জিন আগুনের তৈরি। মানুষ মাটির তৈরি। তাহলে মাছ, গরু, ছাগল, উট, কিসের তৈরি? সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চাই।

প্রশ্ন (২) : দুনিয়া থেকে জান্নাতের সুবাস পাওয়া সম্ভব কি? কোনো ছাহাবী কি দুনিয়াতে জান্নাতের সুবাস পেয়েছেন?

প্রশ্ন (৩) : মানহাজ কাকে বলে? মানহাজ কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? জনৈক আলেম বলেন, প্রত্যেক মুসলিমের উপর সালাফী মানহাজ অনুসরণ করা আবশ্যক। প্রশ্ন হলো সালাফী মানহাজ বলতে কী বুঝায়?

প্রশ্ন (৪) : শহীদ ব্যক্তি মৃত্যুর সময় জান্নাত দেখতে পায়। কথাটি কি সঠিক?

প্রশ্ন (৫) : অছীলা কাকে বলে? শরী‘আতে কোন কোন অছীলা বৈধ আর কোন কোন অছীলা অবৈধ?

প্রশ্ন (৬) : (রাসূল (ছা.) বলেছেন) ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন’। উক্ত দাবী কি সঠিক?

প্রশ্ন (৭) : পবিত্র কুরআনের ভাষ্য হল, ‘মাতৃগর্ভে কোন সন্তান আছে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না’। কিন্তু বর্তমানে যন্ত্রের সাহায্যে তা দেখা সম্ভব হচ্ছে। তাহলে কুরআনের উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা কি?

প্রশ্ন (৮) : ইসলাম কি কোয়ান্টাম মেথড-এর অনুমোদন দেয়?

প্রশ্ন (৯) : সর্বপ্রথম তাওহীদের শ্রেণী বিন্যাস করেন কে?

প্রশ্ন (১৩) : যদি মিরাজের রাত্রিতে ছালাতের বিধান কার্যকর হয়ে থাকে, তাহলে ইবরাহীম (আঃ)–এর স্ত্রী সারা জালেম বাদশাহর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য কিভাবে ছালাত আদায় করে ছিলেন?

Magazine