উত্তর: অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা মহাপাপ যার শাস্তি ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যা করে তার শাস্তি হবে জাহান্নাম। তার মধ্যে সে সদা সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ক্রুদ্ধ হবেন ও তাকে অভিশাপ দিবেন। তেমনিভাবে তিনি তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ভীষণ শাস্তি’ (আন-নিসা, ৪/৯৩)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কিয়ামতের দিন (মানবাধিকার সম্পর্কিত) সর্বপ্রথম হিসাব হবে রক্তের’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৫৩৩)। অন্যায়ভাবে নিজের জান, মাল রক্ষা করতে গিয়ে কাউকে হত্যা করা হলে সে শহীদের মর্যাদা পাবে। সাঈদ ইবনু যায়েদ রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের মাল রক্ষার্থে মারা যায়, সে শহীদ। এমনিভাবে যে ব্যক্তি নিজের প্রাণ রক্ষার্থে মারা যায়, সে শহীদ এবং যে নিজ পরিবারের লোকের জন্য মারা যায়, সে শহীদ’ (নাসাঈ, হা/৪০৯৪)। তবে হত্যাকৃত ব্যক্তি জান্নাতী হবে নাকি জাহান্নামী হবে সেটা বলার অধিকার কারো নেই। উমার ইবনু খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, খায়বারে অমুক অমুক শহীদ হয়েছেন। অবশেষে এক ব্যক্তি প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন যে, সেও শহীদ হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘কখনই না। গনীমতের মাল থেকে চাদর আত্মসাৎ করার কারণে আমি তাকে জাহান্নামে দেখেছি’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২০৯)। সুতরাং কোনো ব্যক্তিকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলা যাবে না। তার যে নেকী ও পাপ আছে সেগুলোর হিসাব আল্লাহই করবেন ও সে অনুযায়ী তিনিই ফায়সালা হবে।
প্রশ্নকারী : মো. রনি ইসলাম
পূর্ব বালিয়াডাঙ্গা, চারঘাট, রাজশাহী।