মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে তুরস্কের আপত্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে দেশটির উগ্র ডানপন্থীরা আর এই বিক্ষোভে পবিত্র আল-কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে সুইডেনের কট্টরপন্থীরা এই ঘটনা ঘটায়। রাজধানী স্টকহোমে উগ্রপন্থী সুইডিশ রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদানকে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয় সুইডেন। সে বিক্ষোভে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর কাজটি পরিচালনা করেন উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ডলাইনের নেতা রাসমুস পালুদান। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে মুসলিমদের পবিত্র রামাযান মাসে পালুদানের কুরআন পোড়ানোর ঘোষণা সুইডেন জুড়ে দাঙ্গার জন্ম দিয়েছিল। পুলিশি পাহারায় পালুদান একটি লাইটার দিয়ে পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেখানে তিনি সুইডেনে ইসলাম এবং অভিবাসনকে আক্রমণ ও সমালোচনা করেন।
সুইডেনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনার রেশ না কাটতেই এর মধ্যেই ফের পবিত্র কুরআনে আগুন দিয়ে ইসলামী বিশ্বে ক্ষোভের আগুন জ্বালালেন উগ্রপন্থী ড্যানিশ-সুইডিশ রাজনীতিবিদ, সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী রাসমুস পালুদান নামের ওই ব্যক্তিই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে পালুদান ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত এক মসজিদের সামনে ও তুর্কি দূতাবাসের বাইরে পবিত্র কুরআনে আগুন দিয়ে বর্বরতার পরিচয় রেখেছেন। সুইডেনের মতোই এদিন ডেনমার্কের পুলিশি নিরাপত্তায় এই বিদ্বেষমূলক কাজ করেন পালুদান।
এ ঘটানায় ছাড়া বাংলাদেশ, সঊদী আরব, জর্ডান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও কুয়েতসহ সমস্ত মুসলিম বিশ্ব সুইডেনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরাক, লেবাননসহ অনেক দেশে এ ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে।