দেশের ইতিহাসে নযিরবিহীন কূটনৈতিক জোন গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৭ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ৫১ কার্যদিবস শেষে এ রায় প্রদান করা হয়েছে। এর আগে আদালতে তোলার সময় আসামি আসলাম হোসেন ভি-চিহ্ন দেখান। তাদের মধ্যে অধিকাংশের মুখেই হাসি ছিল। আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীও হাসিমুখে ছিলেন। রায় শুনে তাদের কারো চেহারাতেই অনুশোচনার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। একটি ধারায় মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। আরও দু’টি ধারায় তাদের কয়েকজনকে দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-গাইবান্ধার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, নওগাঁর আসলাম হোসেন ওরফে আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশ, কুষ্টিয়ার আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, জয়পুরহাটের হাদীছুর রহমান ওরফে সাগর, বগুড়ার রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, একই জেলার মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও রাজশাহীর শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্তোরায় প্রবেশ করে হামলা চালায় ৫ জঙ্গি। তারা ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে নির্মম হত্যাকা- চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জঙ্গিদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। জঙ্গিরা নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিলো ২০ জন দেশি-বিদেশী নাগরিককে, যাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানী, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশী। যারা এই হামলা চালিয়েছিলো তারা ৫ থেকে ৬ মাস ধরে পরিকল্পনা করেছিলো। সেখানে হামলা চালানো জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করা।