ইসরাঈল কর্তৃক গাযায় সংঘটিত সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয়কে নাৎসিদের অত্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের ফিলিস্তীন বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনকারী ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ। তিনি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র যখন শিশুদের গুলি করে মারে, লক্ষাধিক মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখে, তখন তা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতাকে মনে করিয়ে দেয়। শুধু রাষ্ট্রসংঘ নয়, ইসরাঈলি সেনারাও গাযায় তাদের কার্যক্রমের তুলনা করেছেন নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে। ইসরাঈলের প্রভাবশালী পত্রিকা হারেজৎ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদননে এক সেনা বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন নাৎসি সেনা, ওরা যেন ইয়াহূদী। আমরা যেমন আচরণ করছি, তা কোনো যুদ্ধনীতির সঙ্গে মেলে না’। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গাযায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে নির্দেশহীনভাবে। অনেক ক্ষেত্রেই ‘সন্দেহজনক’ এলাকা বলেই হাজার হাজার পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম শিখেছিল, নাৎসিবাদ মানবতার সবচেয়ে জঘন্য অধ্যায়। আজ আমরা কীভাবে চোখ বন্ধ করে রাখি; যখন একটি জাতি একই ধরনের বর্বরতা চালায় অন্য এক জনগণের ওপর?’ রাষ্ট্রসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একাধিকবার ইসরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যে ইসরাঈলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্ত, এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু তাতে গাযায় হামলার তীব্রতা কমেনি।