যিনি পড়তে পারেন, অনুধাবন করতে পারেন, মৌখিক ও লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা, যোগাযোগ স্থাপন ও গণনা করতে পারেন, তাকেই প্রায়োগিক সাক্ষরতার আওতায় হিসাব করা হয়। এই মানদণ্ডে দেশে ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭৩.৬৯ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ৫৩.৭০ শতাংশ। ১২ বছরের ব্যবধানে এ ক্ষেত্রে প্রয়োগিক সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১৯.৯৯ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘প্রায়োগিক সাক্ষরতা জরিপ ২০২৩’-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে সাত বছর এবং তদূর্ধ্ব মানুষের মধ্যে বর্তমানে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৬২.৯২ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৬৩.৯৭ এবং নারী ৬১.৬৬ শতাংশ। আর সাত থেকে ১৪ বছরের মধ্যে প্রয়োগিক সাক্ষরতার হার ৭২.৯৭ শতাংশ এবং ১৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৬০.৭৭ শতাংশ। সাত থেকে ১৪ বছরের মধ্যে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হারে এগিয়ে আছে মেয়েরা, তাদের হার ৭৬.৪২ শতাংশ আর ছেলেদের হার ৬৯.৬৭ শতাংশ। প্রতিবেদন বলেছে, সাত থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত প্রায়োগিক সাক্ষরতার হারে গ্রামে ছেলেদের সাক্ষরতার হার ৬৭.৮৪ শতাংশ এবং শহরে ৭৩.৯০ শতাংশ এবং গ্রামে নারীর প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭৫.২৫ শতাংশ আর শহরে ৭৯.২২ শতাংশ।