২৯ বছর পর আর পানি পাবেন না ভারতসহ বিশ্বের ৫০০ কোটির বেশি মানুষ। এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMরহিমাহুমুল্লাহ)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উষ্ণায়নের জেরে দ্রুতহারে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীর পানির স্তর উদ্বেগজনকভাবে নিচে নেমে যেতে শুরু করেছে। যা বিশেষভাবে নযরে এসেছে গত ২০ বছরে। ভূপৃষ্ঠ, ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তর, বরফ ও তুষারে জমা পানির স্তর গত দুই দশকে যে হারে কমেছে, তা আগে কখনো হয়নি। গত ২০ বছরে এই পানির স্তর প্রতি বছরে ১ সেন্টিমিটার করে নেমে যাচ্ছে। আর সেটা ২০১৮ সালেই বুঝতে পেরেছেন বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ। বছরে এক মাস তারা কোনো পানিই পাননি। পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিতে পারলে ২০৫০ সালে পৌঁছে ছিটেফোঁটা পানিও পাবেন না ভারতসহ বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ। চরম পানির অভাব দেখা দেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায়। চরম পানির অভাবে ভুগবে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়াও। ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩০৬ কোটি মানুষ এক মাসের পানি সংকটে ভুগেছেন। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাই পৌঁছে যাবে ৫০০ কোটিতে।
বলা হয়েছে, আগামী ২৯ বছরের মধ্যে এই পানি সংকট এড়াতে চাইলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে প্রয়োজনমতো, লাগাতে হবে প্রচুর গাছ। দিন দিন পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলেছে, এর ফলে প্রকৃতির আচরণে বদল আসছে। সময়মতো বৃষ্টি হচ্ছে না। কখনো বন্যা, কখনো খরায় ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। এতে চাষের কাজেও ক্ষতি হচ্ছে। সংকট দেখা দিচ্ছে খাদ্যের। গত ২০ বছরেও পানীয় পানি অনেকটা কমে এসেছে। পৃথিবীর মাত্র ০.৫ শতাংশ পানি মানুষের ব্যবহারের যোগ্য।