কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

নওমুসলিম উমার ফারূক হত্যা

গত ১৮ জুন বান্দরবানের তুলাছড়ি পাহাড়ে একজন নওমুসলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যিনি পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা থেকে হয়েছিলেন উমার ফারূক। তিনি শুধু একজন নওমুসলিমই নন, তিনি একজন মসজিদের ইমাম ও দাঈ। ২০১৪ সালে তিনি নিজে ইসলাম গ্রহণ করেই থেমে থাকেননি, দ্বীন প্রচারের মিশনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি তার আশেপাশের অমুসলিমদের মাঝে দাওয়াত দিতে শুরু করেন এবং বিগত ৬ বছর ধরে তিনি বান্দরবানের বিভিন্ন গ্রামে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন। জানা যায়, তার দাওয়াতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৩০টিরও অধিক পরিবার। এরপর উমার ফারূক একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন এবং এ লক্ষ্যে নিজের এক একর জমি মসজিদকে দান করেন। নিজেই সে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে তিনি সেখানে ওয়াক্তিয়া ছালাতের ইমামতি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে এই মসজিদে তিনি মাইক লাগিয়ে আযান দেওয়া শুরু করেন। ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তি ইসলাম গ্রহণ করার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এই মাইক লাগানোর পর থেকে তার উপর নতুন করে প্রাণনাশের হুমকি শুরু হয়। এরপর গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদ থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তার বুকে এবং মাথায় গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। জানা যায়, পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরার বাবা বৌদ্ধ ধর্ম থেকে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৪ সালে পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা থানচিতে তার একজন উপজাতীয় মুসলিম বন্ধুর দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বান্দরবানে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং উমার ফারূক নাম গ্রহণ করেন।


Magazine