ইসরাঈল সরকার অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের কালান্দিয়া এলাকার কাছে ১০ হাজার বসতি নির্মাণ করতে যাচ্ছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাঈল নিয়ন্ত্রিত জেরুজালেম শহর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুসারে নতুন ইয়াহূদী বসতি নির্মাণ করা হবে। ইসরাঈলের শিল্পাঞ্চল আটারোটের কাছে কালান্দিয়া এলাকায় পরিত্যক্ত জেরুজালেম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জমিতে এ ইয়াহূদী বসতি নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ১৯৬৭ সালের আগে এ জেরুজালেম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি কালান্দিয়া বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল। এটা ছিল পশ্চিম তীরের একমাত্র বিমানবন্দর। কিন্তু, যখন ইসরাঈল এ অঞ্চল দখল করে তখন তারা এ বিমানবন্দরটির আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এ বিমানবন্দরটি ১৯২০ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯২৪ সালে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট কর্তৃপক্ষ এ বিমানবন্দরটি চালু করে। পরে ১৯৩৬ সালে এ বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত ফ্লাইট কার্যক্রম চালু করা হয়। এ বিমানবন্দরটি ২৯৭ একর জমিতে তৈরি। জেরুজালেম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জমিকে তাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ বলে মনে করে ইসরাঈল। এ কারণে ফিলিস্তীনী জমির মালিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দিবে না ইসরাঈল। যদিও জেরুজালেম বিমানবন্দরের অনেক জমির মালিক ফিলিস্তীনীরা। জেরুজালেম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ধ্বংস করে ইয়াহূদী বসতি নির্মাণ করার মানে হচ্ছে এ বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের কোনো রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমে গঠিত হতে না পারে। অথচ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অধিকৃত ভূখণ্ড এবং এখানে সকল ধরনের ইয়াহূদী বসতি নির্মাণ অবৈধ।