বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোনো পণ্য উৎপাদনের লাইসেন্স পাওয়ার পর উৎপাদন শুরু করবে। কিন্তু ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়গুলো— একমি ও এসএমসি কোম্পানির এসএমসি প্লাস, প্রাণের অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী কোম্পানির রিচার্জ এবং আকিজের টারবো পণ্যগুলো কোনো অনুমতি ছাড়াই বাজারজাত করা শুরু করেছে। একই সাথে ওই সব পণ্য বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারণাও করছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ওই পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর ওই কোম্পানিগুলো দাবি করেছে, এ ধরনের পানীয়র অনুমতি নিতে তারা চেষ্টা করেও পারেননি(?)। ২০২১ সালে সর্বপ্রথম এই ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক বাজারে আসতে শুরু করে। প্রায় তিন বছর ধরে বাজারে বেচাকেনা চলছে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসগুলো। অথচ ওষুধ প্রশাসন ও বিএসটিআই কেউ বলতে পারে না এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এই প্রতিষ্ঠান দুটি কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স তৈরি হলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ধরনের পানিতে অত্যধিক পরিমাণ সোডিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। যে কারণে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনে এ জাতীয় পানীয় পান করলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে।