ইয়মানে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০ হাজার শিশু হতাহত হয়েছে। দীর্ঘদিনের যুদ্ধের কবলে পড়ে ১০ হাজার শিশু নিহত হয়েছে অথবা চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে প্রতিদিন চার জন শিশু নিহত হয়েছে। অনেক শিশুর মৃত্যু বা আহতের খবর অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে। ইয়ামানের প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে চার জনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। দেশটিতে চার লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে এবং ২০ লাখ শিশু পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়ামানের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়ামানী সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ইয়ামান যুদ্ধে যোগ দেয় সঊদী আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সঊদী আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। তবে তাদের এই অভিযানে ইয়ামানের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ। জাতিসংঘের মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে ইয়ামানে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরী ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পুরো ইয়ামান দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।