আল-জাহির বায়বার্স মসজিদ। আকার ও আয়তনের কারণে মিশরের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদের তকমা পেয়েছিল। তবে একটা সময় পর সংস্কারের অভাবে মসজিদটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কেটে গেছে দীর্ঘ ২২৫ বছর। দীর্ঘ ২২৫ বছর পর ফের মিশরের ঐতিহাসিক ‘আল-জাহির বায়বার্স’ মসজিদে পবিত্র জুমআর ছালাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ জুন রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত এ মসজিদে জুমআর ছালাত পড়তে আসেন হাজার হাজার মুছল্লী। জানা গেছে, ১২৬৮ সালে মামলুক শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত হয়। মামলুক সুলতান আল-জাহির বায়বার্স আল-বানদুকদারির নামে নামকরণ করা হয় মসজিদটির। ১৭৯৮ সালে মিশরে ফরাসি আগ্রাসনের পর মসজিদটি বেদখল হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ছালাত। এছাড়াও মসজিদের উঁচু উঁচু প্রাচীরের ওপর স্থাপন করা হয় উন্নতমানের কামান। সময়ের ফেরে মসজিদ প্রাঙ্গণ পরিণত হয় সামরিক কেন্দ্রে। ১৮০৫-১৮৪৯ সালে মিশরের অটোমান গভর্নর মুহাম্মাদ আলী পাশার শাসনামলে তা সাবান কারখানা অতঃপর সেনাবাহিনীর বেকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত তা কসাইখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন ধরে তা পরিত্যক্ত স্থান হিসেবে পড়ে ছিল। ২০০৭ সাল থেকে মিশর ও কাজাখস্তান সরকারের অর্থায়নে মসজিদটি পুনরুদ্ধার শুরু হয়। অবশেষে ২২৫ বছর পর পুনরায় ছালাত আদায় শুরু হয় মিশরের তৃতীয় বৃহত্তম এই মসজিদে।