দেশের নাগরিকদের গুম থেকে রক্ষা করতে জাতিসংঘের গুম ও নির্যাতনবিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। গত ২৯ আগস্ট, ২০২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পার্সনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সনদে স্বাক্ষর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় উপদেষ্টাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের আগের দিন আমাদের এ পদক্ষেপ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকবে। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর তার স্বৈরাচারী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে যতগুলো গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ৭০০ এর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের গোপন বন্দিশালা থেকে বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী সনদ গৃহীত হয়।