টাপেন্টাডল একটি ভয়াবহ মাদকের নাম। বর্তমানে হেরোইন ও ইয়াবার বিকল্প হিসেবে মাদকসেবীদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি। ব্যথানাশক ট্যাবলেটের মূল উপাদান হলো টাপেন্টাডল। যার কারণে ২০২০ সালে এই ঔষধকে মাদকদ্রব্য হিসাবে বাংলাদেশ সরকার চিহ্নিত করে। সকল ধরনের নেশাজাত মাদকদ্রব্য বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসে। হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজার মতো টাপেন্টাডলও বাংলাদেশে আসে ভারত থেকে। ভারতের তেলেঙ্গানা ও গুজরাটের দুটি কোম্পানি থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে এটি। অতঃপর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ নানা জেলায় প্রেরণ করা হয়। এটি ব্যথানাশক ওষুধ হলেও এর ক্রেতা মাদকসেবীরাই। এটি একটি অপিয়েড (আফিমজাত নেশাদ্রব্য) মাদক, যা সেবনে হেরোইন সেবনের পর যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় অনুরূপ অনুভূতি হয়ে থাকে। টাপেন্টাডল ট্যাবলেট দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে শরীরে স্নায়ুবিক দুর্বলতাসহ নানা জটিল রোগের সমাবেশ ঘটে।