কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

মোদির ১৭৩ বক্তৃতার মধ্যে ১১০টিই মুসলিমবিদ্বেষী

post title will place here

গত ১৪ই আগস্ট হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাত দিয়ে দ্য ওয়্যার ও দ্য হিন্দু প্রকাশ করে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচার অভিযানে ১৭৩টি বক্তৃতার মধ্যে ১১০টিই ছিল মুসলিমবিদ্বেষী। ভারতে এ বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্চ মাসে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে বেড়িয়ে ১৭৩টি বক্তৃতা দিয়েছেন। তার মধ্যে ১১০টিতে ইসলামফোবিক মন্তব্য রয়েছে। আমেরিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদি সম্প্রতি বলেছিলেন যে, তিনি বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দু এবং অন্যান্য সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আশা করেন। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি, এই বছরের শুরুতে মোদির নির্বাচনি প্রচারাভিযানে প্রায়ই ভারতে মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় মোদির প্রচারাভিযানের বক্তৃতাগুলো ভীষণভাবে সমালোচিত হয়েছিল। রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে। দেশের সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না। এখানেই শেষ নয়। এছাড়াও নানা জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে এই ধরনের মন্তব্য করতে শোনা যায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মোদির সমালোচনামূলক মন্তব্যের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কথাও নথিভুক্ত করেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে তাকে এবং তার দলের সমস্ত তারকা প্রচারকদেরকে সাম্প্রদায়িক বক্তৃতা করা থেকে বিরত থাকতে বলে, কিন্তু মোদিকে বাধা দেয়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, মোদি সারা প্রচারাভিযানের সময় জুড়ে উসকানিমূলক বক্তৃতা চালিয়ে গেছেন। সংগঠনের এশিয়া ডিরেক্টর এলাইন পিয়ার্সন বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি নেতারা তাদের প্রচারে স্পষ্টতই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পর্কে।


Magazine