কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

ইসরাঈল বিরোধী পোস্টার, হোর্ডিং খুলল দিল্লি পুলিশ

প্রতিবাদের ভাষা কি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? যেভাবে ইসরাঈল বিরোধী, আরএসএস বিরোধী, বিজেপি বিরোধী পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং খুলে নিল দিল্লি পুলিশ তা নিয়ে এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশকে দিয়েই মানুষেষর কণ্ঠরোধ করতে চাইছে মোদি সরকার? গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ছিল ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সম্মেলন। সেখানে বিজেপি বিরোধী, আরএসএস বিরোধী স্লোগান সংবলিত একাধিক পোস্টার ছিল। সেখানে সংঘ পরিবার ও বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রতিবাদ করা হয়েছিল। একাধিক পোস্টার ছিল ফিলিস্তীনে ইসরাঈলের বর্বরোচিত গণহত্যার বিরুদ্ধেও। ‘অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়ন’-এর সম্মেলনে এই পোস্টারগুলো রাখা ছিল। তালকাটোরা স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানস্থলের ভিতরে শ্রমিকদের অধিকার ও দাবি সংবলিত ব্যানার প্রদর্শন করেন আয়োজকরা। ফিলিস্তীনে ইসরাঈলের গণহত্যার নিন্দা করা হয়। দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আরএসএস-বিজেপি যেভাবে ঘৃণা ছড়াচ্ছে তার নিন্দা করা হয়। ট্রেড ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুচতা দে বলেন, সম্মেলন শুরু হওয়ার সময় পুলিশ হলের ভেতরে প্রবেশ করে এবং অনেকগুলো ব্যানার খুলে দেয়, যদিও এই সম্মেলনের জন্য পুলিশের থেকে সমস্ত অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫-৬ জন পুলিশ সম্মেলন কক্ষে ঢুকে কোনো কারণ না জানিয়েই এই পোস্টারগুলো খুলে নেয়। পুলিশের এই ভূমিকা দেখে আমরা হতবাক হয়ে যাই। ফিলিস্তীনের জনগণের উপর ইসরাঈলের আগ্রাসন এবং ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের বিদ্বেষ ছড়ানোর নীতির বিরোধিতা করা হয়েছে এমন ব্যানারগুলোই তারা বেছে বেছে খুলে নিয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তীনের উপর ইসরাঈলের গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি সেমিনার করার চেষ্টা হয়েছিল। সেটাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সম্মেলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানানো হয়।


Magazine