বাংলাদেশের
জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮
কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬।
পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। গত এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে দুই কোটি
১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। সারা দেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও
গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮
জুন পর্যন্ত চলে। ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যায় দেখা গেছে, মুসলিম ৯১ শতাংশ। সনাতন
ধর্মাবলম্বী ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে হিন্দু ছিল ৮ দশমিক
৫৪ শতাংশ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের শুমারিতে ছিল
শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনসংখ্যার বার্ষিক
গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২। ২০১১ সালের জনশুমারিতে গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
ছিল ১ দশমিক ৩৭। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১৯ জন। ২০১১ সালের শেষ
জনশুমারিতে যা ছিল ৯৭৬ জন। স্বাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আগের শুমারিতে ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন
ব্যবহারকারী এখন ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট
জনসংখ্যার ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে এখন মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ।
আগের শুমারিতে ছিল ৩ কোটি ২১ লাখ। মানে খানার সংখ্যা বাড়ছে। খানার আকার এখন
চার সদস্যের। আগে যা ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২
কোটি ৪৩ লাখ। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ
এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ।