কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

কার্বন শোষণে সক্ষম ‘জীবন্ত জেলি’ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা

post title will place here

সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এক অভিনব পরিবেশবান্ধব আবিষ্কার করেছেন—সবুজ রঙের থকথকে এক ‘জীবন্ত জেলি’। দেখতে সাধারণ জেলের মতো হলেও, এর ক্ষমতা অসাধারণ। গবেষকদের দাবি, এই জেলি বছরে প্রায় ১৮ কিলোগ্রাম কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে সক্ষম। তুলনামূলকভাবে, একটি পূর্ণবয়স্ক পাইন গাছ বছরে ২০–৪০ কেজি কার্বন শোষণ করে। সেদিক থেকে দেখলে, এই ক্ষুদ্র জেলি একাই একটি গাছের সমান কাজ করতে পারে।

‘নেচার কমিউনিকেশন’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানানো হয়েছে, বিজ্ঞানীরা একধরনের প্রাচীন শৈবাল—সায়ানোব্যাক্টেরিয়া ব্যবহার করে এই জেলি তৈরি করেছেন। সায়ানোব্যাক্টেরিয়া সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে পানি, আলো ও বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন তৈরি করতে পারে, গাছের মতোই। তবে অণুজীবগুলোকে স্থির ও কার্যকর রাখতে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন হাইড্রোজেল নামের এক জেলির মতো পদার্থ। এই হাইড্রোজেলের মধ্যে সায়ানোব্যাক্টেরিয়া ঢুকিয়ে ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে নানা আকৃতির জীবন্ত জেলি। দেখতে সাধারণ হলেও, এর ভেতরে সায়ানোব্যাক্টেরিয়া সারাক্ষণ বাতাস বিশুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। এই জেলি ঘরের ভেতরে রাখলে বাতাস হবে আরও নির্মল। আবার শহরের মোড়ে, কারখানার আশেপাশে বা যানবাহনে ঠাসা এলাকায় ছড়িয়ে দিলে তা দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই আবিষ্কার পরিবেশ রক্ষায় এক বড় সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা কর্মকাণ্ড—রান্না, গাড়ি চালানো, বিদ্যুৎ ব্যবহার ও শিল্পকারখানায়—যেভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, তা থেকে সৃষ্ট ‘কার্বন ফুটপ্রিন্ট’ কমাতে এই জীবন্ত জেলি হতে পারে কার্যকর এক সহায়ক।


Magazine