কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

মাইলস্টোন স্কুল ট্রাজেডি

post title will place here

ঢাকা, ২১ জুলাই ২০২৫ ইং: রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বি.জি.আই. প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩৪ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন শিশু শিক্ষার্থী, একজন শিক্ষক এবং পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর রয়েছেন। দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি বিমান বাহিনীর বীর উত্তম এ.কে.খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং স্কুলের প্রধান ভবনের নিচতলায় আঘাত হানে। বিমানটি ভবনের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়, ফলে ভবনে আগুন ধরে যায়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানিয়েছে। তবে, জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—পুরনো যুদ্ধবিমান কেন এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে এবং জনবহুল এলাকায় কেন প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরদিন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে এবং ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে, যার মধ্যে রয়েছে—নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ প্রদান, পুরনো যুদ্ধবিমান বাতিল এবং প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের নিয়মাবলি পরিবর্তন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।


Magazine