কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

দেশে বছরে প্রায় ২ লাখ মানুষ পরিবেশ দূষণে মারা যায়

post title will place here

বায়ুদূষণ মানুষের এক নীরব ঘাতক। ২০ বছরে বায়ুদুষণজনিত রোগ-বালাইয়ের কারণে মৃত্যু ৯ শতাংশ বেড়েছে। বায়ুদূষণে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। ১৫ বছরে প্লাস্টিক দূষণও বেড়েছে দ্বিগুণ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ফলে মানুষের হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (WHO) মতে, বায়ুদূষণের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ যেমন, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। এ ছাড়া যক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দূষিত বায়ুর কারণে ২০১৯ সালে রাজধানী ঢাকায় ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু তিন বছর কমেছে। বায়ুদূষণের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণও মহামারি আকার ধারণ করেছে। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ESDO) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৯২ হাজার ১০৪ টন পরিমাণ প্লাস্টিকের স্যাশে বা মিনিপ্যাক-বর্জ্য উৎপাদিত হয়। মানুষ দিনে প্রায় ১২ কোটি ৯০ লাখ প্লাস্টিকের স্যাশে ব্যবহার করে। ২০২১ সালের ২১ জুন থেকে ২০২২ সালের ২২ মে দেশে প্রায় ১০ লাখ ৬ হাজার টন ওয়ানটাইম বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে। প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট আকারে ছোট হলেও পরিবেশে এর প্রভাব বিশাল।

Magazine