কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

রামাযানে একজন মুমিনের মৌলিক কর্মসূচি

সূচনা : হাজারো কল্যাণ ও মুক্তির সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবারও আমাদের অতি নিকটে চলে এসেছে মাহে রামাযান। শা‘বানের শেষ প্রহরে এসে আমরা এই দু‘আ করছি, ‘দয়াময়! আমাদেরকে সুস্থভাবে রামাযানের কল্যাণ লাভের তাওফীক্ব দাও’। প্রকৃতপক্ষে রামাযান মাস পাওয়া একজন মুমিনের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে বিশেষ দয়া ও নেয়ামত। আলোচ্য প্রবন্ধে রামাযানে একজন মুমিনের কী কর্মসূচি হওয়া উচিত, সে বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কিছু আলোকপাত করা হলো।

(১) দিনে ছিয়ামপালনকরা : রামাযানের প্রথম ও প্রধান কর্মসূচি হলো ছিয়াম পালন করা। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও মুক্বীম মুসলিম নর-নারীকে ফরয ছিয়াম রাখতেই হবে। মহান আল্লাহ বলেন,﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ﴾ ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বন কর’ (আল-বাক্বারা, ২/১৮৩)। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ ছওয়াবের আশায় রামাযানে ছিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে’।[1]

(২) রাতে ক্বিয়ামকরাতথাতারাবীহপড়া : রামাযান মাসে রাতে তারাবীহ পড়ার মাধ্যমে আমরা বহু নেকীর অধিকারী হতে পারি। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ قَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ ছওয়াবের আশায় রামাযানে তারাবীহ পড়বে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে’।[2]

(৩)দান-ছাদাক্বাকরা : রামাযান মাসে বেশি বেশি দান-ছাদাক্বা করা উচিত। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রামাযান মাসে বেশি বেশি দান করতেন। হাদীছে এসেছে, ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ ‘নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধনসম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সকলের চেয়ে দানশীল ছিলেন। আর রামাযানে জিবরীল আলাইহিস সালাম যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তখন তিনি আরও অধিক দান করতেন’।[3]

(৪) কুরআন পড়া : রামাযান কুরআনের মাস। আল্লাহ বলেন,﴿شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ﴾ ‘রামাযান মাস, যে মাসে বিশ্বমানবের জন্য পথ-প্রদর্শন এবং সুপথের উজ্জ্বল নিদর্শন এবং হক্ব ও বাতিলের প্রভেদকারী কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে’ (আল-বাক্বারা, ২/১৮৪)। তাই আসুন! কুরআনের মাসে বেশি বেশি কুরআন পড়ি। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,الصِّيَامُ وَالْقُرْاٰنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ، يَقُوْلُ الصِّيَامُ : أَيْ رَبِّ! إِنِّىْ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ، فَشَفِّعْنِىْ فِيهِ، وَيَقُولُ الْقُرْاٰنُ : مَنَعْتُهُ النُّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِىْ فِيهِ، فَيُشَفَّعَانِ ‘ছিয়াম এবং কুরআন বান্দার জন্য শাফাআত করবে। ছিয়াম বলবে, হে রব! আমি তাকে দিনে খাবার গ্রহণ করতে ও প্রবৃত্তির তাড়না মিটাতে বাধা দিয়েছি। অতএব, তার ব্যাপারে এখন আমার শাফাআত কবুল করো। কুরআন বলবে, হে রব! আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব, তার ব্যাপারে এখন আমার সুপারিশ গ্রহণ করো। অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে’।[4]

(৫) আল্লাহরকাছেবেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনাকরা : রামাযান ক্ষমার মাস। তাই রামাযান মাসে একজন মুমিনের অন্যতম কর্মসূচি হবে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করার মাধ্যমে পাপমুক্ত হওয়া। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ أَنْ يُغْفَرَ لَهُ ‘ভূলুষ্ঠিত হোক তার নাক, যার নিকট রামাযান মাস এলো অথচ তার গুনাহ মাফ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তা পার হয়ে গেল’।[5]

(৬) বেশি বেশিনেকআমলকরা : রামাযানে বেশি বেশি নেক আমল করা উচিত। কেননা রামাযানে আমলের ছওয়াব অগণিত। আমরা অনেকেই বলি, রামাযানে একটি সুন্নাত একটি ফরযের সমান আর একটি ফরয ৭০টি ফরযের সমান। আসলে এটি ভুল ধারণা। এই মর্মে হাদীছটি মুনকার/বাতিল।[6] প্রকৃতপক্ষে রামাযান মাসে আমলের ছওয়াব এত বেশি যে, ফেরেশতারা নয়; বরং এর প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দেন।[7]

(৭) পাপ কাজথেকেবিরতথাকা : রামাযান মাসে আমাদের সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। হাদীছে এসেছে, আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ للهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে পারল না, তার খাদ্য ও পানীয় ত্যাগ করাতে আল্লাহর কিছু আসে যায় না’।[8]

(৮) বেশি বেশিদু‘আকরা : রামাযানে বেশি বেশি দু‘আ করা উচিত। আমাদের অনেকে শুধু ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে দু‘আ করে, অন্য সময় দু‘আ করে না। আসলে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে দু‘আ কবুল করা হয় এই মর্মে হাদীছটি দুর্বল।[9] তাই শুধু ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে নই, বরং ছিয়াম অবস্থায় সারা দিন দু‘আ কবুল করা হয়। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,ثَلَاثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَات لَا شَكَّ فِيهِنَّ: دَعْوَةُ الْوَالِدِ، وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ، وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ ‘তিন ব্যক্তির দু‘আ কবুল করা হয়— ১. ছওম পালনকারী ব্যক্তির, ২. মুসাফির ব্যক্তির এবং ৩. মাযলূম ব্যক্তির’।[10]

(৯) ইফতারকরানো : রামাযানের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম কর্মসূচি হলো অন্যজনকে ইফতার করানো। হাদীছে এসেছে, যায়েদ ইবনু খালেদ আল-জুহানী রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْئًا ‘কোনো ছিয়াম পালনকারীকে যে লোক ইফতার করায় সে লোকের জন্যও ছিয়াম পালনকারীর সমপরিমাণ ছওয়াব রয়েছে। কিন্তু এর ফলে ছিয়াম পালনকারীর ছওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না’।[11]

(১০)শেষদশরাতে বেশি বেশি ইবাদত করা : রামাযানের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হলো শেষ দশ রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন,كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْتَهِدُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مَا لاَ يَجْتَهِدُ فِي غَيْرِهَا ‘রামাযানের শেষ দশ দিন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইবাদতে) এত বেশি সাধনা করতেন যে, অন্য কোনো সময়ে এরকম সাধনা করতেন না’।[12] এর উদ্দেশ্য হলো যাতে করে ক্বদরের রাত্রিটি ছুটে না যায়। কেননা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,إِنَّ هَذَا الشَّهْرَ قَدْ حَضَرَكُمْ وَفِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلَّا مَحْرُومٌ ‘তোমাদের নিকট এ মাস সমুপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো, সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। কেবল বঞ্চিত ব্যক্তিরাই তা থেকে বঞ্চিত হয়’।[13] তাই আমাদের প্রত্যেককে শেষ দশ রাতে বেশি বেশি ইবাদতে জোর দিতে হবে, যাতে করে কোনোভাবেই ক্বদরের রাতটি ছুটে না যায়। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‘যে ব্যক্তি লায়লাতুল ক্বদরে ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পিছনের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে’।[14]

উপসংহার : পরিশেষে আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদেরকে রামাযান মাসের মর্যাদা রক্ষা করে তার যথাযথ হক্ব আদায় করার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

মো. দেলোয়ার হোসেন

অনার্স ১ম বর্ষ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৮, ১৮০২, ১৯১০, ২০১৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬০; মিশকাত, হা/১৯৫৮।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/২০০৮।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯০২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩০৮; মিশকাত, হা/২০৯৮।

[4]. মুসতাদরাক হাকেম, হা/২০৩৬; শুআবুল ঈমান, হা/১৮৩৯; মিশকাত, হা/১৯৬৩।

[5]. তিরমিযী, হা/৩৫৪৫, হদীছ হাসান ছহীহ; মিশকাত, হা/৯২৭।

[6]. যঈফ আত-তারগীব, হা/৫৮৯; ইবনু খুযায়মা, হা/১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, হা/৩৩৩৬, আলবানী রহিমাহুল্লাহ বলেন, হাদীছটি মুনকার বা বাতিল। কারণ এর সনদে আলী ইবনু যায়েদ ইবনু জাদআন একজন দুর্বল রাবী; মিশকাত, হা/১৯৬৫।

[7]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯০৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫১; নাসাঈ, হা/২২১৭; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৩৮; মিশকাত, হা/১৯৫৯।

[8]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯০৩; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৮৯; আবূ দাঊদ, হা/২৩৬২।

[9]. যঈফ ইবনু মাজাহ, হা/১৭৫৩।

[10]. আবূ দাঊদ, হা/১৫৩৬, হাদীছ হাসান; সিলসিলা ছহীহা, হা/৫৯৫; মিশকাতা, হা/২২৫০।

[11]. ইবনু মাজাহ, হা/১৭৪৬; তিরমিযী, হা/৮০৭, হাদীছ ছহীহ।

[12]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৭৫; তিরমিযী, হা/৭৯৬; ইবনু মাজাহ, হা/১৭৬৭; মিশকাত, হা/২০৮৯।

[13]. ইবনু মাজাহ, হা/১৬৪৪, হাদীছ হাসান; মিশকাত, হা/১৯৬৪।

[14]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৮, ১৮০২, ১৯১০, ২০১৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬০; মিশকাত, হা/১৯৫৮।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৩) : পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের সঠিক সময় ঘড়ি ছাড়া কীভাবে বুঝব?

প্রশ্ন (৪) : ছালাতের ভিতরে তাশাহহুদ, দরূদ কিংবা অন্য কোনো ওয়াজিব দু‘আ পড়ার সময় যদি কোনো অপ্রত্যাশিত কারণে মাঝখানেই থেমে যায় কিংবা পড়ার সময় ভুল পড়ি, তাহলে কি আমাকে সেটা পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করতে হবে এবং সাহূ সিজদা দিতে হবে?

প্রশ্ন (৫) : এক এলাকার মসজিদে আযান ও ছালাত হয় না। সেএলাকার মুসলিমদের বিধান কী?

প্রশ্ন (৬) : অনেক সময় কাজের চাপের কারণে বা রাস্তায় থাকার কারণে ছালাতগুলো প্রথম ওয়াক্তে আদায় করতে পারি না বা যোহরের ছালাত আছরের সাথে আদায় করতে হয়। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?

প্রশ্ন (১২) : অনেকেই বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার শাওয়ালের ছিয়াম রাখা জায়েয নয়। এর সত্যতা আছে কি?

প্রশ্ন (১৫) : ইফতার খাওয়ানোর জন্য মানুষকে মাইকে ডাকা যাবে কি?

প্রশ্ন (২৮) : মেয়ের বাবা মেয়েকে তার স্বামীর কাছ থেকে আলাদা করে নিতে চায়। মেয়ের পেটে বাচ্চা আছে সে বাচ্চা নষ্ট করে দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করতেছে। মেয়ের বাবার এমন কাজ শরীআত সম্মত হবে কি?

প্রশ্ন (২৯) : আমি আমার বউকে এস এম এস এর মাধ্যমে ২৬/০৭/২০২২ তারিখে শুধু ‘তালাক দিলাম’ বলেছি। এখানে এক বা দুই তালাক বলিনি। তারপর ৩০/০৭/২০২২ তারিখে তার সাথে থেকেছিএবং পরবর্তীতে আমি চাকরিতে চলে আসি। তখন তাকে অনেক বার বলেছি আমি তোমাকে তালাক দেব এবং আরও বলেছি তোমাকে তালাক দিয়েছি। এখন আমাদের তালাক হবে কি?

প্রশ্ন (৩০) : সৎ ছেলের সাথে সৎ মায়ের আগের স্বামীর ঔরসে জন্ম নেওয়া মেয়ের বিয়ে জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৩১) : আমি আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে বিয়ে করে সংসার করছি। আমাদের ২টি বাচ্চা আছে। আমরা যখন বিয়ে করি তখন আমাদের অভিভাবক কেউ ছিল না।আমার ৪/৫ জন বন্ধু ছিল। কাজী এবং উকিল ডেকে বিয়ে করি, বিয়ের ৭ দিন পরেই আমাদের উভয়ের পরিবার জানতে পারে এবং উভয়ের সম্মতিতে আমাদের বাসায় নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে আমাদের আবার বিয়ে পড়ানোর প্রয়োজন আছে কি?

রামাযানে একজন মুমিনের মৌলিক কর্মসূচি

পবিত্র রামাযানে কুরআন পাঠ ও শেখার গুরুত্ব

আহলান ওয়া সাহলান, ইয়া রামাযান!

মধুময় মাস রামাযান

প্রশ্ন (৯) : শবেবরাত ইসলামী পরিভাষা না হলেও উপমহাদেশে শা‘বান মাসের মধ্যবর্তী রজনীকে বুঝানো হয়। এ মর্মে হাদীছগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হলেও ইবনু মাজাহতে বর্ণিত (১৩৯০ নম্বর) হাদীছকে আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। তাহলে আহলেহাদীছগণ একে বিদআত বলেন কেন?

প্রশ্ন (১০) : কেউ মারা গেলে তার মাগফিরাতের জন্য ছিয়াম রাখা যাবে কি?

প্রশ্ন (১১) : বিবাহের সামর্থ্য না থাকলে ছিয়াম রাখার পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (১৩) : ছিয়াম অবস্থায় মুখের লালা খাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : রামাযান মাসে মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৬) : রামাযানের ছিয়াম কত হিজরীতে ফরয হয়েছিল? আগের উম্মতের উপর কি রামাযানের ছিয়াম ফরয ছিল?

প্রশ্ন (১৭) : আমরা কীভাবে রামাযানের জন্য প্রস্তুতি নিব? এই মহান মাসে কোন আমলগুলো অধিক উত্তম?

প্রশ্ন (১৮) : সাইরেন বাজিয়ে রামাযানের আগমন উৎসব পালন করা যাবে কি? ইসলাম এ সম্পর্কে কী বলে?

প্রশ্ন (১৯) : রামাযানে দিনের বেলায় কোন আমলটি উত্তম, কুরআন তেলাওয়াতনাকি নফল ছালাত আদায় করা?

প্রশ্ন (২০) : রামাযানের শেষ দশদিনে কি উমরা করা মুস্তাহাব?

প্রশ্ন (২১) : রাসূল (সা.) কীভাবে ছিয়াম পালন করতেন তার একটি বিবরণ জানতে চাই।

প্রশ্ন (২২) : রামাযান মাস তাক্বওয়া অর্জনের মাস বলে আমরা জানি। আসলে রামাযানে কীভাবে তাক্বওয়াশীল হওয়া যায়? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২৩) : ইসলাম গ্রহণের পূর্বে যে রামাযানগুলো পার হয়ে গেছে, মুসলিম হওয়ার পর কি সে ছিয়ামগুলো ক্বাযা করতে হবে?

প্রশ্ন (২৪) : আমরা ২৯ শা‘বান দিবাগত রাত তথা ৩০ই শা‘বানের রাত্রিতে চাঁদ দেখার জন্য বের হই। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা যাইনি। এমতাবস্থায় আমরা কি ৩০ শা‘বান রামাযানের ছিয়াম রাখব? যেহেতু এটি সন্দেহপূর্ণ দিন?

প্রশ্ন (২৫) : স্কুলে অধ্যয়নকালে আমি মনে করতাম যে, শুধু ইফতারের সময় বিশেষ দু‘আ আছে; সাহারীর সময়ে নয়। কারণ সাহারীর সময় নিয়্যত করা হয়; আর নিয়্যতের স্থান হলো অন্তর। তবে আমার স্বামী আমাকে বলেছেন যে, সাহারীর সময়ও বিশেষ দু‘আ আছে। আশা করি বিষয়টি স্পষ্ট করবেন- এই কথা সঠিক কি-না?

প্রশ্ন (২৬) : রাসূল (সা.) রামাযানের রাত্রিগুলো কীভাবে জাগরণ করতেন জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২৭) : তারাবী সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে, এই ছালাত বিশ রাকআত। আট রাকআত বলতে কিছু নেই। আট রাকআত সেটা তারাবী নয় তাহাজ্জুদ। তাদের দাবির সত্যতা কতটুকু?

প্রশ্ন (৩২) : বর্তমানে অনলাইনওঅফলাইন শপ এ কিছু পোশাক পাওয়া যায় যেগুলোতে সংক্ষেপে কুরআনের আয়াত বা হাদীছ লেখা থাকে, দ্বীন প্রচারের জন্য এমন পোশাক পরিধান করা কি বৈধ? বা এভাবে দ্বীন প্রচার করাকে কি ইসলাম সমর্থন করে?

প্রশ্ন (৩৩) : আইনজীবীদের পেশা কি হালাল নাকি হারাম? আইনজীবীরা সাধারণত মামলার পক্ষের ব্যক্তিদের কথার ভিত্তিতে আদালতে কথা বলে।

প্রশ্ন (৩৪) : হাট-বাজারে বা রাস্তা-ঘাটে মানুষের কাছ থেকে মসজিদের জন্য টাকা তোলা হয় সেটা কি জায়েজ?

প্রশ্ন (৩৫) : বর্ণমালা প্যকেজের টেলিটক সিমে ৩০ টাকা মোবাইলে রিচার্জে ৩০ মিনিট ফ্রী দেয়। এটা কিসূদ হবে?

প্রশ্ন (৩৬) : আমি একটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে জব করি। আমাকে কিছু গিফট দেওয়া হয় ডাক্তারকে দেওয়ার জন্য, যাতে করে ডাক্তার আমার কোম্পানির ওষুধগুলো প্রেসক্রিপশন করে। আমি যদি ডাক্তারকে সবগুলো গিফট না দিয়ে ডাক্তারকে ম্যানেজ করে কিছু গিফট নিজে ব্যবহার করি তাহলে এটা কি ঠিক হবে?

প্রশ্ন (৩৭) : কবরস্থানে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো হচ্ছে। শরীআতের দৃষ্টিতে এই কাজটি কি জায়েয হবে?

প্রশ্ন (৩৮) : যদি কেউ তার সন্ধান দিতে পারে, তাহলে তাকে এত টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কারোর সন্ধান দিয়ে এমন পুরস্কার নেওয়া কি বৈধ হবে?

প্রশ্ন (৩৯) : এক মাদ্রাসায় যেখানে বার্ষিক মোটা অঙ্কের হারাম টাকা তথা বিড়ির টাকার অনুদান আসে।আর তা মাদ্রাসা কমিটি নির্দ্বিধায় গ্রহণ করে চলেছে। আর শিক্ষকদেরসেই রকম কোনো প্রতিবাদ নেই, অথচ এরা নেশাজাতদ্রব্য পান করাকে হারাম মনে করে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই মাদ্রাসায় পড়া যাবে কি? এবং এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৪০) : সন্তান জন্ম নিলে খুশি হয়ে বন্ধু, কলিগ এবং প্রতিবেশিকে মিষ্টিখাওয়ানো যাবে কি? শরীআত এ সম্পর্কে কী বলে?

প্রশ্ন (৪১) : নেশা করে এমন শ্রমিককে কাজে নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৪২) : কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা রসুন কি যেকোনোভাবে খাওয়াই নিষেধ?

প্রশ্ন (৪৩) : সেনা বাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীতে আবেদন করলে, একপর্যায়ে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে মেডিকেল টেস্ট করা হয় এবং তা বাধ্যতামূলক।এ ধরনের চাকুরির জন্য কি এই টেস্ট করা যাবে?

প্রশ্ন (৪৪) : পশ্চিবঙ্গের কুচবিহারে ব্যাপকভাবে তামাক চাষ হয়ে থাকে এবং এর উপর কেনাবেচা হয়, ব্যাবসা বাণিজ্য রমরমা চলে। এই জেলার অগণিত মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এর উপর নির্ভশীল। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে এর চাষাবাদ, ব্যবসা করা কি জায়েয?

প্রশ্ন (৪৫) : ছেঁড়া টাকা কম মূল্যে বিক্রি করা কি বৈধ? যেমন ১০০ টাকার নোট ৬০ টাকার মূল্যে।

প্রশ্ন (৪৬) : আমার ঘরে বিছানা উত্তর দক্ষিন, রাতে ঘুমালে উত্তরে পা, দক্ষিন দিকে মাথা দিতে হয়। খাট সরানোর তেমন ব্যবস্থা নাই, এতে কি আমার গোনাহ হবে?

প্রশ্ন (৪৭) : আমরা ব্যাংক এ সঞ্চয় হিসাবে যে টাকা জমা রাখি। তার ওপর কোন নিদিষ্ট সুদের হার উল্লেখ না করার শর্তে ব্যাংক বছর শেষে আমাদের টাকার অংকে আমাদের সঞ্চয় এর ওপর কিছু বাড়তি টাকা দেয়। এটা কি সুদ হবে?

Magazine