কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

পবিত্র রামাযানে কুরআন পাঠ ও শেখার গুরুত্ব

কুরআন এক অলৌকিক গ্রন্থ, যা হেদায়াত ও পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রেরিত হয়েছে। পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী, যা মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর অবতীর্ণ হয়ে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ আছে। রামাযান মাসে কুরআন অবতরণের কারণেই রামাযান মাস পবিত্র কুরআনের মাস হিসেবে বিবেচিত। তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত এ মাসে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন,﴿شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ﴾ ‘রামাযান মাস, যার মধ্যে বিশ্বমানবের জন্য পথপ্রদর্শক এবং সুপথের উজ্জ্বল নিদর্শন ও (হক্ব ও বাতিলের) প্রভেদকারী কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে’ (আল-বাক্বারা, ২/১৮৫)

কুরআন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানী কিতাব, যা সর্বশ্রেষ্ঠ ফেরেশতা জিবরীল আলাইহিস সালাম-এর মাধ্যমে অবতীর্ণ হয়েছে। রামাযান মাস আল-কুরআন তেলাওয়াতের মাস, আল-কুরআন বুঝার মাস, আল-কুরআন শিক্ষা করার মাস, আল-কুরআন আত্মস্থ করার মাস, আল-কুরআন মুখস্থ করার মাস। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রামাযানে জিবরীল আলাইহিস সালাম রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন’।[1]

রামাযান মাসের ক্বদরের রাতে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি কুরআন অবতরণের ধারাবাহিকতা শুরু হয়ে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে পরিপূর্ণ হয়েছে। শুরুটা মহিমান্বিত ক্বদরের রাতে হওয়ার কারণে আল্লাহ বলেন, ﴿إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ﴾ ‘নিঃসন্দেহে ক্বদরের (রামাযানের এক বিশেষ) রাতে আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি’ (আল-ক্বদর, ৯৭/১)

যে মানুষ যত বেশি কুরআনের পাশে থাকবে, তার সম্মানও তত বেশি হবে। কুরআন পড়া বা শিক্ষা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত উত্তম সম্পদ অর্জন করার অন্তর্ভুক্ত। হাদীছে এসেছে,

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي الصُّفَّةِ فَقَالَ «أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ يَغْدُوَ كُلَّ يَوْم إِلَى بطحان أَو إِلَى العقيق فَيَأْتِي مِنْهُ بِنَاقَتَيْنِ كَوْمَاوَيْنِ فِي غَيْرِ إِثْمٍ وَلَا قَطْعِ رحم» فَقُلْنَا يَا رَسُول الله نُحِبُّ ذَلِكَ قَالَ «أَفَلَا يَغْدُو أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَعْلَمُ أَوْ يَقْرَأُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ الله عز وَجل خير لَهُ من نَاقَة أَو نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَرْبَعٍ وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنَ الْإِبِل.

উক্ববা ইবনু আমের রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (একদিন) মসজিদের প্রাঙ্গণে বসেছিলাম। এ সময়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে আসলেন ও (আমাদেরকে) বললেন, তোমাদের কেউ প্রতিদিন সকালে ‘বুত্বহান’ অথবা ‘আক্বীক্ব’ বাজারে গিয়ে দুটি বড় কুঁজওয়ালা উটনী কোন অপরাধ সংঘটন ও আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা ছাড়া নিয়ে আসতে পছন্দ করবে? একথা শুনে আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের প্রত্যেকেই একাজ করতে পছন্দ করবে। তখন তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তাই হয়, তাহলে তোমাদের কেউ কোনো মসজিদে গিয়ে সকালে আল্লাহর কিতাবের দুটি আয়াত (মানুষকে) শিক্ষা দেয় না বা (নিজে) শিক্ষাগ্রহণ করে না কেন? অথচ এ দুটি আয়াত শিক্ষা দেওয়া তার জন্য দুটি উটনী অথবা তিনটি আয়াত শিক্ষা দেওয়া তার জন্য তিনটি উটনী অথবা চারটি আয়াত শিক্ষা দেওয়া তার জন্য চারটি উটনীর চেয়েও উত্তম। সারকথা- কুরআনের যে কোনো সংখ্যক আয়াত, একই সংখ্যক উটনীর চেয়ে উত্তম।[2]

পবিত্র রামাযান মাসে একটা সময় বের করে যদি নিয়মিতভাবে কুরআন পড়া হয়, তবে ৩০ দিনে পুরো কুরআন শেষ করা যাবে। ছহীহ ও শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াতে অনেক ছওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। ৩০ দিনে ৩০ পারা কুরআন তেলাওয়াতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত শেষে প্রতি ওয়াক্ত×২পাতা এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত×২ পাতা= ১০ পাতা মিলে এক দিনে এক পারা তেলাওয়াত করা সম্ভব হয়। এভাবে ৩০ দিনে এক খতম কুরআন কখন তেলাওয়াত হয়ে যাবে, টেরই পাওয়া যাবে না। কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়। উছমান রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’।[3]

সবচেয়ে বড় হেদায়াত আল-কুরআন প্রত্যাখ্যানকারীদের ক্বিয়ামতের দিন মূক ও বধির অবস্থায় উঠানো হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿وَنَحْشُرُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى وُجُوهِهِمْ عُمْيًا وَبُكْمًا وَصُمًّا مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ كُلَّمَا خَبَتْ زِدْنَاهُمْ سَعِيرًا﴾ ‘আমি কিয়ামতের দিন তাদেরকে সমবেত করব তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায়, অন্ধ অবস্থায়, মূক অবস্থায়, বধির অবস্থায়। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম। যখন জাহান্নামের আগুন নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে, আমি তখন তাদের জন্য অগ্নি আরও বাড়িয়ে দেব’ (বানী ইসরাঈল, ১৭/৯৭)। কুরআন শিক্ষা না করা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার শামিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿أُولَئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُولَئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ﴾ ‘এরা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়, বরং এরা তাদের চেয়েও আরও অধম ও নিকৃষ্ট। এরাই হলো গাফেল’ (আল-আ‘রাফ, ৭/১৭৯)

কুরআন শিক্ষা করা থেকে যারা বিমুখ হয়ে থাকবে কুরআনের সাথে সম্পর্কহীন যাদের জীবন, কতই না দুর্ভাগ্য তাদের জীবন। তাদের পরিণতি সম্পর্কে আল-কুরআনে বলা হয়েছে,﴿وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنْكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَى - قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِي أَعْمَى وَقَدْ كُنْتُ بَصِيرًا - قَالَ كَذَلِكَ أَتَتْكَ آيَاتُنَا فَنَسِيتَهَا وَكَذَلِكَ الْيَوْمَ تُنْسَى﴾ ‘আর যে আমার যিকির (কুরআন) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, নিশ্চয় তার জীবনযাপন হবে সঙ্কুচিত এবং আমি ক্বিয়ামতের দিন তাকে অন্ধ অবস্থায় উঠাবো। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমিতো ছিলাম দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন! তিনি বলবেন, অনুরূপভাবে তোমার নিকট আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হলো’ (ত্বো-হা, ২০/১২৪-১২৬)

তাই আসুন! প্রতিজ্ঞাববদ্ধ হই, আমরা যারা ছহীহ ও শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি না, এই রামাযান মাস থেকে নতুনভাবে শুরু করি। মহান রব্বুল আলামীন আমাদের তাওফীক দান করুন- আমীন!

শাজাহান কবীর শান্ত

প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৩২২০।

[2]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯০৯; মিশকাত, হা/৮০৩।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০২৭।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৩) : পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের সঠিক সময় ঘড়ি ছাড়া কীভাবে বুঝব?

প্রশ্ন (৪) : ছালাতের ভিতরে তাশাহহুদ, দরূদ কিংবা অন্য কোনো ওয়াজিব দু‘আ পড়ার সময় যদি কোনো অপ্রত্যাশিত কারণে মাঝখানেই থেমে যায় কিংবা পড়ার সময় ভুল পড়ি, তাহলে কি আমাকে সেটা পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করতে হবে এবং সাহূ সিজদা দিতে হবে?

প্রশ্ন (৫) : এক এলাকার মসজিদে আযান ও ছালাত হয় না। সেএলাকার মুসলিমদের বিধান কী?

প্রশ্ন (৬) : অনেক সময় কাজের চাপের কারণে বা রাস্তায় থাকার কারণে ছালাতগুলো প্রথম ওয়াক্তে আদায় করতে পারি না বা যোহরের ছালাত আছরের সাথে আদায় করতে হয়। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?

প্রশ্ন (১২) : অনেকেই বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার শাওয়ালের ছিয়াম রাখা জায়েয নয়। এর সত্যতা আছে কি?

প্রশ্ন (১৫) : ইফতার খাওয়ানোর জন্য মানুষকে মাইকে ডাকা যাবে কি?

প্রশ্ন (২৮) : মেয়ের বাবা মেয়েকে তার স্বামীর কাছ থেকে আলাদা করে নিতে চায়। মেয়ের পেটে বাচ্চা আছে সে বাচ্চা নষ্ট করে দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করতেছে। মেয়ের বাবার এমন কাজ শরীআত সম্মত হবে কি?

প্রশ্ন (২৯) : আমি আমার বউকে এস এম এস এর মাধ্যমে ২৬/০৭/২০২২ তারিখে শুধু ‘তালাক দিলাম’ বলেছি। এখানে এক বা দুই তালাক বলিনি। তারপর ৩০/০৭/২০২২ তারিখে তার সাথে থেকেছিএবং পরবর্তীতে আমি চাকরিতে চলে আসি। তখন তাকে অনেক বার বলেছি আমি তোমাকে তালাক দেব এবং আরও বলেছি তোমাকে তালাক দিয়েছি। এখন আমাদের তালাক হবে কি?

প্রশ্ন (৩০) : সৎ ছেলের সাথে সৎ মায়ের আগের স্বামীর ঔরসে জন্ম নেওয়া মেয়ের বিয়ে জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৩১) : আমি আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে বিয়ে করে সংসার করছি। আমাদের ২টি বাচ্চা আছে। আমরা যখন বিয়ে করি তখন আমাদের অভিভাবক কেউ ছিল না।আমার ৪/৫ জন বন্ধু ছিল। কাজী এবং উকিল ডেকে বিয়ে করি, বিয়ের ৭ দিন পরেই আমাদের উভয়ের পরিবার জানতে পারে এবং উভয়ের সম্মতিতে আমাদের বাসায় নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে আমাদের আবার বিয়ে পড়ানোর প্রয়োজন আছে কি?

রামাযানে একজন মুমিনের মৌলিক কর্মসূচি

পবিত্র রামাযানে কুরআন পাঠ ও শেখার গুরুত্ব

আহলান ওয়া সাহলান, ইয়া রামাযান!

মধুময় মাস রামাযান

প্রশ্ন (৯) : শবেবরাত ইসলামী পরিভাষা না হলেও উপমহাদেশে শা‘বান মাসের মধ্যবর্তী রজনীকে বুঝানো হয়। এ মর্মে হাদীছগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হলেও ইবনু মাজাহতে বর্ণিত (১৩৯০ নম্বর) হাদীছকে আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। তাহলে আহলেহাদীছগণ একে বিদআত বলেন কেন?

প্রশ্ন (১০) : কেউ মারা গেলে তার মাগফিরাতের জন্য ছিয়াম রাখা যাবে কি?

প্রশ্ন (১১) : বিবাহের সামর্থ্য না থাকলে ছিয়াম রাখার পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (১৩) : ছিয়াম অবস্থায় মুখের লালা খাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : রামাযান মাসে মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৬) : রামাযানের ছিয়াম কত হিজরীতে ফরয হয়েছিল? আগের উম্মতের উপর কি রামাযানের ছিয়াম ফরয ছিল?

প্রশ্ন (১৭) : আমরা কীভাবে রামাযানের জন্য প্রস্তুতি নিব? এই মহান মাসে কোন আমলগুলো অধিক উত্তম?

প্রশ্ন (১৮) : সাইরেন বাজিয়ে রামাযানের আগমন উৎসব পালন করা যাবে কি? ইসলাম এ সম্পর্কে কী বলে?

প্রশ্ন (১৯) : রামাযানে দিনের বেলায় কোন আমলটি উত্তম, কুরআন তেলাওয়াতনাকি নফল ছালাত আদায় করা?

প্রশ্ন (২০) : রামাযানের শেষ দশদিনে কি উমরা করা মুস্তাহাব?

প্রশ্ন (২১) : রাসূল (সা.) কীভাবে ছিয়াম পালন করতেন তার একটি বিবরণ জানতে চাই।

প্রশ্ন (২২) : রামাযান মাস তাক্বওয়া অর্জনের মাস বলে আমরা জানি। আসলে রামাযানে কীভাবে তাক্বওয়াশীল হওয়া যায়? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২৩) : ইসলাম গ্রহণের পূর্বে যে রামাযানগুলো পার হয়ে গেছে, মুসলিম হওয়ার পর কি সে ছিয়ামগুলো ক্বাযা করতে হবে?

প্রশ্ন (২৪) : আমরা ২৯ শা‘বান দিবাগত রাত তথা ৩০ই শা‘বানের রাত্রিতে চাঁদ দেখার জন্য বের হই। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা যাইনি। এমতাবস্থায় আমরা কি ৩০ শা‘বান রামাযানের ছিয়াম রাখব? যেহেতু এটি সন্দেহপূর্ণ দিন?

প্রশ্ন (২৫) : স্কুলে অধ্যয়নকালে আমি মনে করতাম যে, শুধু ইফতারের সময় বিশেষ দু‘আ আছে; সাহারীর সময়ে নয়। কারণ সাহারীর সময় নিয়্যত করা হয়; আর নিয়্যতের স্থান হলো অন্তর। তবে আমার স্বামী আমাকে বলেছেন যে, সাহারীর সময়ও বিশেষ দু‘আ আছে। আশা করি বিষয়টি স্পষ্ট করবেন- এই কথা সঠিক কি-না?

প্রশ্ন (২৬) : রাসূল (সা.) রামাযানের রাত্রিগুলো কীভাবে জাগরণ করতেন জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২৭) : তারাবী সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে, এই ছালাত বিশ রাকআত। আট রাকআত বলতে কিছু নেই। আট রাকআত সেটা তারাবী নয় তাহাজ্জুদ। তাদের দাবির সত্যতা কতটুকু?

প্রশ্ন (৩২) : বর্তমানে অনলাইনওঅফলাইন শপ এ কিছু পোশাক পাওয়া যায় যেগুলোতে সংক্ষেপে কুরআনের আয়াত বা হাদীছ লেখা থাকে, দ্বীন প্রচারের জন্য এমন পোশাক পরিধান করা কি বৈধ? বা এভাবে দ্বীন প্রচার করাকে কি ইসলাম সমর্থন করে?

প্রশ্ন (৩৩) : আইনজীবীদের পেশা কি হালাল নাকি হারাম? আইনজীবীরা সাধারণত মামলার পক্ষের ব্যক্তিদের কথার ভিত্তিতে আদালতে কথা বলে।

প্রশ্ন (৩৪) : হাট-বাজারে বা রাস্তা-ঘাটে মানুষের কাছ থেকে মসজিদের জন্য টাকা তোলা হয় সেটা কি জায়েজ?

প্রশ্ন (৩৫) : বর্ণমালা প্যকেজের টেলিটক সিমে ৩০ টাকা মোবাইলে রিচার্জে ৩০ মিনিট ফ্রী দেয়। এটা কিসূদ হবে?

প্রশ্ন (৩৬) : আমি একটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে জব করি। আমাকে কিছু গিফট দেওয়া হয় ডাক্তারকে দেওয়ার জন্য, যাতে করে ডাক্তার আমার কোম্পানির ওষুধগুলো প্রেসক্রিপশন করে। আমি যদি ডাক্তারকে সবগুলো গিফট না দিয়ে ডাক্তারকে ম্যানেজ করে কিছু গিফট নিজে ব্যবহার করি তাহলে এটা কি ঠিক হবে?

প্রশ্ন (৩৭) : কবরস্থানে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো হচ্ছে। শরীআতের দৃষ্টিতে এই কাজটি কি জায়েয হবে?

প্রশ্ন (৩৮) : যদি কেউ তার সন্ধান দিতে পারে, তাহলে তাকে এত টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কারোর সন্ধান দিয়ে এমন পুরস্কার নেওয়া কি বৈধ হবে?

প্রশ্ন (৩৯) : এক মাদ্রাসায় যেখানে বার্ষিক মোটা অঙ্কের হারাম টাকা তথা বিড়ির টাকার অনুদান আসে।আর তা মাদ্রাসা কমিটি নির্দ্বিধায় গ্রহণ করে চলেছে। আর শিক্ষকদেরসেই রকম কোনো প্রতিবাদ নেই, অথচ এরা নেশাজাতদ্রব্য পান করাকে হারাম মনে করে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই মাদ্রাসায় পড়া যাবে কি? এবং এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৪০) : সন্তান জন্ম নিলে খুশি হয়ে বন্ধু, কলিগ এবং প্রতিবেশিকে মিষ্টিখাওয়ানো যাবে কি? শরীআত এ সম্পর্কে কী বলে?

প্রশ্ন (৪১) : নেশা করে এমন শ্রমিককে কাজে নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৪২) : কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা রসুন কি যেকোনোভাবে খাওয়াই নিষেধ?

প্রশ্ন (৪৩) : সেনা বাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীতে আবেদন করলে, একপর্যায়ে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে মেডিকেল টেস্ট করা হয় এবং তা বাধ্যতামূলক।এ ধরনের চাকুরির জন্য কি এই টেস্ট করা যাবে?

প্রশ্ন (৪৪) : পশ্চিবঙ্গের কুচবিহারে ব্যাপকভাবে তামাক চাষ হয়ে থাকে এবং এর উপর কেনাবেচা হয়, ব্যাবসা বাণিজ্য রমরমা চলে। এই জেলার অগণিত মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এর উপর নির্ভশীল। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে এর চাষাবাদ, ব্যবসা করা কি জায়েয?

প্রশ্ন (৪৫) : ছেঁড়া টাকা কম মূল্যে বিক্রি করা কি বৈধ? যেমন ১০০ টাকার নোট ৬০ টাকার মূল্যে।

প্রশ্ন (৪৬) : আমার ঘরে বিছানা উত্তর দক্ষিন, রাতে ঘুমালে উত্তরে পা, দক্ষিন দিকে মাথা দিতে হয়। খাট সরানোর তেমন ব্যবস্থা নাই, এতে কি আমার গোনাহ হবে?

প্রশ্ন (৪৭) : আমরা ব্যাংক এ সঞ্চয় হিসাবে যে টাকা জমা রাখি। তার ওপর কোন নিদিষ্ট সুদের হার উল্লেখ না করার শর্তে ব্যাংক বছর শেষে আমাদের টাকার অংকে আমাদের সঞ্চয় এর ওপর কিছু বাড়তি টাকা দেয়। এটা কি সুদ হবে?

Magazine