কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

সালাম : ইসলামের এক অনুপম সৌন্দর্য

ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সবকিছুর গাইডলাইন ইসলাম দিয়েছে। আর আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হলো ইসলাম। আমাদের এই সংক্ষিপ্ত জীবনে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়, সম্পর্ক হয়। ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের এবং সম্পর্ক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হলো এই সালাম। এই চমৎকার অভিবাদনটি অতি সহজেই অপরিচিত মানুষকে আপন করে নেয়।

‘সালাম’ শব্দটি আরবী এবং তা বাবে ‘তাফঈল’-এর মাছদার। ‘আল-মু‘জামুল ওয়াফী আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান’ অনুযায়ী সালামের আভিধানিক অর্থ শান্তি, নিরাপত্তা, সালাম ও অভিবাদন। অর্থাৎ ‘আস-সালামু আলাইকুম’ অর্থ হলো— আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

শরীআতের পরিভাষায়- একজন মুসলিম আরেকজন মুসলিমের সাথে সাক্ষাতের সময় যে বাক্য দ্বারা অভিবাদন জানায়, স্বাগত জানায় এবং ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, শান্তি, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও দু‘আ কামনা করে, তাকেই আমরা সালাম বলে থাকি।

সালামের প্রচলন :

সালামের প্রচলন আদম আলাইহিস সালাম-কে সৃষ্টির শুরু থেকে ছিল। এটি নতুন কোনো আবিষ্কার না। হাদীছে এসেছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا ثُمَّ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوا السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‘আল্লাহ তাআলা আদম আলাইহিস সালাম-কে সৃষ্টি করলেন। তার উচ্চতা ছিল ৬০ হাত। তারপর আদম আলাইহিস সালাম-কে নির্দেশ করলেন। তুমি ঐ সকল ফেরেশতার কাছে যাও এবং তাদেরকে সালাম করো। দেখো, তারা কীভাবে উত্তর দেয়। সেটিই তোমার এবং তোমার সন্তানাদির অভিবাদন। তখন তিনি ফেরেশতাদেরকে সালাম করেন এবং তারা তার সালামের জবাব দেন’।[1]

সালামের সঠিক ব্যবহার :

সালাম দেওয়া সুন্নাত এবং সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। কেউ সালাম দিলে তার জবাব না দিলে সে গুনাহগার হবে। সালামের সঠিক উচ্চারণ হলো— আস-সালামু আলাইকুম। আর পরিপূর্ণ জবাব হলো— ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। নিয়ম হলো— কথা বলার আগেই সালাম দেওয়া। প্রথমে সালাম না দিলে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা বলার অনুমতি দিতে নিষেধ করেছেন। আমরা অনেকেই ভুলবশত এ বিষয়টি খেয়াল করতে পারি না। আমরা কারো সাথে কথা বলার শুরুতে ‘হ্যালো’ বলে ‘আস-সালামু আলাইকুম’ বলে থাকি। অথচ শুরুতেই সালাম দিয়ে কথা শুরু করতে হবে। বিভিন্ন অফিস বা কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে তথ্যের জন্য ফোন দিলে যারা ফোন রিসিভ করেন তাদের কেউ কেউ সালাম দেয় আবার কেউ কেউ সালাম দেয় না। আর যারা সালাম দেয়, তারা ভুল উচ্চারণের মাধ্যমে আমাদের মৃত্যু কামনা করেন। কারণ সালামের উচ্চারণটা ঠিকঠাক উচ্চারণ না হলে শান্তির জায়গায় মৃত্যু কামনা অর্থ হয়ে যায়। নির্বিশেষে সকলকে বিকৃত সালাম ‘স্লামালাইকুম’-এর জায়গায় ‘আস-সালামু আলাইকুম’ বলে শুদ্ধচর্চায় অভ্যস্ত হতে হবে।

কে কাকে সালাম দিবে :

চলমান ব্যক্তি উপবিষ্টকে, আরোহী পদব্রজে ব্যক্তিকে, কমসংখ্যক লোক অধিকসংখ্যককে এবং ছোটোরা বড়দেরকে সালাম দিবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِى وَالْمَاشِى عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‘আরোহী পদচারীকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্পসংখ্যক অধিকসংখ্যককে সালাম দিবে’।[2] অন্যত্র তিনি বলেন,يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‘ছোটোরা বড়দেরকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্পসংখ্যক অধিকসংখ্যককে সালাম দিবে’।[3] আমরা যদি আমাদের শ্রেণিকক্ষের দিকে খেয়াল করি, তাহলে খেয়াল করতে পারব যে, স্যার যখন ক্লাসে প্রবেশ করেন তখন আমরা সবাই দাঁড়িয়ে স্যারকে সালাম দেই। অথচ এটাও ভুল চর্চা। কেননা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কমসংখ্যক লোক বেশিসংখ্যক লোককে সালাম দিবে। মুসলিম পুরুষের সাথে সালাম বিনিময়ের পাশাপাশি মুছাফাহা (পরস্পর হাত মিলানো) উত্তম। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ إِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا ‘দুজন মুসলিম একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে মুছাফাহা করলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়’।[4]

উল্লেখ্য, মুছাফাহা এক হাতে অর্থাৎ দু’জনের দু’হাতে হবে। দু’জনের চার হাতে নয়। এটাও সমাজে বহুল প্রচলিত ভুল। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহশিক্ষা থাকার কারণে যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বলতে হয় যে, গায়রে মাহরাম অর্থাৎ যাদের সাথে বিবাহ বৈধ নয় এরূপ মহিলাদের সাথে মুছাফাহা করা হারাম। উমায়মা বিনতে রুকায়কা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন,جِئْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نِسْوَةٍ نُبَايِعُهُ فَقَالَ لَنَا ‏ فِيمَا اسْتَطَعْتُنَّ وَأَطَقْتُنَّ إِنِّي لاَ أُصَافِحُ النِّسَاءَ ‘বায়আত নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি কতক মহিলা সমভিব্যাহারে মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাদের বলেন, যতদূর তোমাদের সামর্থ্যে ও শক্তিতে কুলায় আমি মহিলাদের সাথে মুছাফাহা (করমর্দন) করি না’।[5] অন্যত্র রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,لَأَنْ يُطْعَنَ فِي رَأْسِ أَحَدِكُمْ بِمِخْيَطٍ مِنْ حَدِيدٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمَسَّ امْرَأَةً لَا تَحِلُّ لَهُ ‘নিশ্চয় তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেওয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক শ্রেয়, যে তার জন্য হালাল নয়’।[6] অন্য বর্ণনায় এসেছে, আলক্বামা বিনতু ওবায়েদ রযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‌لَا ‌أَمَسُّ ‌أَيْدِي ‌النِّسَاءِ ‘আমি নারীদের হাত স্পর্শ করি না’।[7] অর্থাৎ গায়রে মাহরাম।

সালাম দেওয়ার গুরুত্ব ও ফযীলত :

‘সালাম’ নামক ইসলামিক অভিবাদনের মধ্যে লুকিয়ে আছে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। নিছক বাক্য হলেও সালাম এমন এক আকর্ষণীয় চুম্বক শক্তি, যা মনের সকল প্রকার দূরত্ব, হিংসা-বিদ্বেষ অনৈক্য দূর করে সবাইকে কাছে এনে ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয়। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু নির্দেশই দেননি, বরং নিজেও বাস্তব জীবনে এর উপর আমল করে উম্মতের সামনে এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি সবাইকে আগে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করতেন। হাদীছে এমন রয়েছে যে, অনেকেই তার আগে সালাম দেওয়ার জন্য চেষ্টায় থেকেও তাকে আগে সালাম দিতে পারতেন না। শুধু তাই নয় তিনি ছোটদেরকে শিক্ষার জন্য তাদেরকে সালাম দিতেন। নিচে কিছু সালামের গুরুত্ব ও ফযীলত নিয়ে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে আলোকপাত করা হলো :

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا﴾ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না’ (আন-নূর, ২৪/২৭)। অন্যত্র আল্লাহ বলেছেন,﴿فَإِذَا دَخَلْتُمْ بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِنْ عِنْدِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً﴾ ‘যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে, তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন’ (আন-নূর, ২৪/৬১)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা আরও বলেছেন,﴿وَإِذَا حُيِّيتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا﴾ ‘যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করো অথবা ওরই অনুরূপ করো’ (আন-নিসা, ৪/৮৬)

সালামের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদীছে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আছ রযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন,أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ‘সর্বোত্তম ইসলামী কাজ কী?’ তিনি বললেন, ‘ক্ষুধার্তকে অন্ন দান করবে এবং পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে (ব্যাপকভাবে) সালাম পেশ করবে’।[8] আবূ ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি,أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلاَمَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصَلُّوا وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِسَلاَمٍ ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) অন্ন দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখো এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা ছালাত পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[9]

পরিশেষে বলতে চাই, সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আল্লাহ আমাদেরকে এই সুন্দর বিধানটি মেনে চলার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

এ. এস. এম. মাহবুবুর রহমান

শিক্ষার্থী, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া; দাওরায়ে হাদীছ, মাদরাসা মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, ঢাকা।


[1]. ছহীহ বুখারী, হ/৩৩২৬।

[2]. ছহীহ বুখারী, হ/৬২৩২; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৬০; মিশকাত, হা/৪৬৩২।

[3]. ছহীহ বুখারী, হ/৬২৩৪; মিশকাত, হা/৪৬৩৩।

[4]. আবূ দাঊদ, হ/৫২১২; তিরমিযী, হা/২৭২৭, হাদীছ ছহীহ।

[5]. ইবনু মাজাহ, হা/২৮৭৪; তিরমিযী, হা/১৫৯৭, হাদীছ ছহীহ।

[6]. ত্বাবরানী, সিলসিলা ছহীহা, হা/২২৬।

[7]. ত্বাবরানী, কাবীর, ২৪/৩৪২; ছহীহুল জামে‘, হা/৭০৫৪।

[8]. ছহীহ বুখারী, হ/১২; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৯; মিশকাত, হা/৪৬২৯।

[9]. তিরমিযী, হা/২৪৮৫, হাদীছ ছহীহ।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৩) : পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের সঠিক সময় ঘড়ি ছাড়া কীভাবে বুঝব?

প্রশ্ন (৪) : ছালাতের ভিতরে তাশাহহুদ, দরূদ কিংবা অন্য কোনো ওয়াজিব দু‘আ পড়ার সময় যদি কোনো অপ্রত্যাশিত কারণে মাঝখানেই থেমে যায় কিংবা পড়ার সময় ভুল পড়ি, তাহলে কি আমাকে সেটা পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করতে হবে এবং সাহূ সিজদা দিতে হবে?

প্রশ্ন (৫) : এক এলাকার মসজিদে আযান ও ছালাত হয় না। সেএলাকার মুসলিমদের বিধান কী?

প্রশ্ন (৬) : অনেক সময় কাজের চাপের কারণে বা রাস্তায় থাকার কারণে ছালাতগুলো প্রথম ওয়াক্তে আদায় করতে পারি না বা যোহরের ছালাত আছরের সাথে আদায় করতে হয়। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?

প্রশ্ন (১২) : অনেকেই বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার শাওয়ালের ছিয়াম রাখা জায়েয নয়। এর সত্যতা আছে কি?

প্রশ্ন (১৫) : ইফতার খাওয়ানোর জন্য মানুষকে মাইকে ডাকা যাবে কি?

প্রশ্ন (২৮) : মেয়ের বাবা মেয়েকে তার স্বামীর কাছ থেকে আলাদা করে নিতে চায়। মেয়ের পেটে বাচ্চা আছে সে বাচ্চা নষ্ট করে দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করতেছে। মেয়ের বাবার এমন কাজ শরীআত সম্মত হবে কি?

প্রশ্ন (২৯) : আমি আমার বউকে এস এম এস এর মাধ্যমে ২৬/০৭/২০২২ তারিখে শুধু ‘তালাক দিলাম’ বলেছি। এখানে এক বা দুই তালাক বলিনি। তারপর ৩০/০৭/২০২২ তারিখে তার সাথে থেকেছিএবং পরবর্তীতে আমি চাকরিতে চলে আসি। তখন তাকে অনেক বার বলেছি আমি তোমাকে তালাক দেব এবং আরও বলেছি তোমাকে তালাক দিয়েছি। এখন আমাদের তালাক হবে কি?

প্রশ্ন (৩০) : সৎ ছেলের সাথে সৎ মায়ের আগের স্বামীর ঔরসে জন্ম নেওয়া মেয়ের বিয়ে জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৩১) : আমি আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে বিয়ে করে সংসার করছি। আমাদের ২টি বাচ্চা আছে। আমরা যখন বিয়ে করি তখন আমাদের অভিভাবক কেউ ছিল না।আমার ৪/৫ জন বন্ধু ছিল। কাজী এবং উকিল ডেকে বিয়ে করি, বিয়ের ৭ দিন পরেই আমাদের উভয়ের পরিবার জানতে পারে এবং উভয়ের সম্মতিতে আমাদের বাসায় নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে আমাদের আবার বিয়ে পড়ানোর প্রয়োজন আছে কি?

রামাযানে একজন মুমিনের মৌলিক কর্মসূচি

পবিত্র রামাযানে কুরআন পাঠ ও শেখার গুরুত্ব

আহলান ওয়া সাহলান, ইয়া রামাযান!

মধুময় মাস রামাযান

প্রশ্ন (৯) : শবেবরাত ইসলামী পরিভাষা না হলেও উপমহাদেশে শা‘বান মাসের মধ্যবর্তী রজনীকে বুঝানো হয়। এ মর্মে হাদীছগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হলেও ইবনু মাজাহতে বর্ণিত (১৩৯০ নম্বর) হাদীছকে আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। তাহলে আহলেহাদীছগণ একে বিদআত বলেন কেন?

প্রশ্ন (১০) : কেউ মারা গেলে তার মাগফিরাতের জন্য ছিয়াম রাখা যাবে কি?

প্রশ্ন (১১) : বিবাহের সামর্থ্য না থাকলে ছিয়াম রাখার পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (১৩) : ছিয়াম অবস্থায় মুখের লালা খাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : রামাযান মাসে মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১৬) : রামাযানের ছিয়াম কত হিজরীতে ফরয হয়েছিল? আগের উম্মতের উপর কি রামাযানের ছিয়াম ফরয ছিল?

প্রশ্ন (১৭) : আমরা কীভাবে রামাযানের জন্য প্রস্তুতি নিব? এই মহান মাসে কোন আমলগুলো অধিক উত্তম?

প্রশ্ন (১৮) : সাইরেন বাজিয়ে রামাযানের আগমন উৎসব পালন করা যাবে কি? ইসলাম এ সম্পর্কে কী বলে?

প্রশ্ন (১৯) : রামাযানে দিনের বেলায় কোন আমলটি উত্তম, কুরআন তেলাওয়াতনাকি নফল ছালাত আদায় করা?

প্রশ্ন (২০) : রামাযানের শেষ দশদিনে কি উমরা করা মুস্তাহাব?

প্রশ্ন (২১) : রাসূল (সা.) কীভাবে ছিয়াম পালন করতেন তার একটি বিবরণ জানতে চাই।

প্রশ্ন (২২) : রামাযান মাস তাক্বওয়া অর্জনের মাস বলে আমরা জানি। আসলে রামাযানে কীভাবে তাক্বওয়াশীল হওয়া যায়? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২৩) : ইসলাম গ্রহণের পূর্বে যে রামাযানগুলো পার হয়ে গেছে, মুসলিম হওয়ার পর কি সে ছিয়ামগুলো ক্বাযা করতে হবে?

প্রশ্ন (২৪) : আমরা ২৯ শা‘বান দিবাগত রাত তথা ৩০ই শা‘বানের রাত্রিতে চাঁদ দেখার জন্য বের হই। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা যাইনি। এমতাবস্থায় আমরা কি ৩০ শা‘বান রামাযানের ছিয়াম রাখব? যেহেতু এটি সন্দেহপূর্ণ দিন?

প্রশ্ন (২৫) : স্কুলে অধ্যয়নকালে আমি মনে করতাম যে, শুধু ইফতারের সময় বিশেষ দু‘আ আছে; সাহারীর সময়ে নয়। কারণ সাহারীর সময় নিয়্যত করা হয়; আর নিয়্যতের স্থান হলো অন্তর। তবে আমার স্বামী আমাকে বলেছেন যে, সাহারীর সময়ও বিশেষ দু‘আ আছে। আশা করি বিষয়টি স্পষ্ট করবেন- এই কথা সঠিক কি-না?

প্রশ্ন (২৬) : রাসূল (সা.) রামাযানের রাত্রিগুলো কীভাবে জাগরণ করতেন জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২৭) : তারাবী সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে, এই ছালাত বিশ রাকআত। আট রাকআত বলতে কিছু নেই। আট রাকআত সেটা তারাবী নয় তাহাজ্জুদ। তাদের দাবির সত্যতা কতটুকু?

প্রশ্ন (৩২) : বর্তমানে অনলাইনওঅফলাইন শপ এ কিছু পোশাক পাওয়া যায় যেগুলোতে সংক্ষেপে কুরআনের আয়াত বা হাদীছ লেখা থাকে, দ্বীন প্রচারের জন্য এমন পোশাক পরিধান করা কি বৈধ? বা এভাবে দ্বীন প্রচার করাকে কি ইসলাম সমর্থন করে?

প্রশ্ন (৩৩) : আইনজীবীদের পেশা কি হালাল নাকি হারাম? আইনজীবীরা সাধারণত মামলার পক্ষের ব্যক্তিদের কথার ভিত্তিতে আদালতে কথা বলে।

প্রশ্ন (৩৪) : হাট-বাজারে বা রাস্তা-ঘাটে মানুষের কাছ থেকে মসজিদের জন্য টাকা তোলা হয় সেটা কি জায়েজ?

প্রশ্ন (৩৫) : বর্ণমালা প্যকেজের টেলিটক সিমে ৩০ টাকা মোবাইলে রিচার্জে ৩০ মিনিট ফ্রী দেয়। এটা কিসূদ হবে?

প্রশ্ন (৩৬) : আমি একটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে জব করি। আমাকে কিছু গিফট দেওয়া হয় ডাক্তারকে দেওয়ার জন্য, যাতে করে ডাক্তার আমার কোম্পানির ওষুধগুলো প্রেসক্রিপশন করে। আমি যদি ডাক্তারকে সবগুলো গিফট না দিয়ে ডাক্তারকে ম্যানেজ করে কিছু গিফট নিজে ব্যবহার করি তাহলে এটা কি ঠিক হবে?

প্রশ্ন (৩৭) : কবরস্থানে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো হচ্ছে। শরীআতের দৃষ্টিতে এই কাজটি কি জায়েয হবে?

প্রশ্ন (৩৮) : যদি কেউ তার সন্ধান দিতে পারে, তাহলে তাকে এত টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কারোর সন্ধান দিয়ে এমন পুরস্কার নেওয়া কি বৈধ হবে?

প্রশ্ন (৩৯) : এক মাদ্রাসায় যেখানে বার্ষিক মোটা অঙ্কের হারাম টাকা তথা বিড়ির টাকার অনুদান আসে।আর তা মাদ্রাসা কমিটি নির্দ্বিধায় গ্রহণ করে চলেছে। আর শিক্ষকদেরসেই রকম কোনো প্রতিবাদ নেই, অথচ এরা নেশাজাতদ্রব্য পান করাকে হারাম মনে করে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই মাদ্রাসায় পড়া যাবে কি? এবং এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৪০) : সন্তান জন্ম নিলে খুশি হয়ে বন্ধু, কলিগ এবং প্রতিবেশিকে মিষ্টিখাওয়ানো যাবে কি? শরীআত এ সম্পর্কে কী বলে?

প্রশ্ন (৪১) : নেশা করে এমন শ্রমিককে কাজে নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৪২) : কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা রসুন কি যেকোনোভাবে খাওয়াই নিষেধ?

প্রশ্ন (৪৩) : সেনা বাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীতে আবেদন করলে, একপর্যায়ে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে মেডিকেল টেস্ট করা হয় এবং তা বাধ্যতামূলক।এ ধরনের চাকুরির জন্য কি এই টেস্ট করা যাবে?

প্রশ্ন (৪৪) : পশ্চিবঙ্গের কুচবিহারে ব্যাপকভাবে তামাক চাষ হয়ে থাকে এবং এর উপর কেনাবেচা হয়, ব্যাবসা বাণিজ্য রমরমা চলে। এই জেলার অগণিত মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এর উপর নির্ভশীল। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে এর চাষাবাদ, ব্যবসা করা কি জায়েয?

প্রশ্ন (৪৫) : ছেঁড়া টাকা কম মূল্যে বিক্রি করা কি বৈধ? যেমন ১০০ টাকার নোট ৬০ টাকার মূল্যে।

প্রশ্ন (৪৬) : আমার ঘরে বিছানা উত্তর দক্ষিন, রাতে ঘুমালে উত্তরে পা, দক্ষিন দিকে মাথা দিতে হয়। খাট সরানোর তেমন ব্যবস্থা নাই, এতে কি আমার গোনাহ হবে?

প্রশ্ন (৪৭) : আমরা ব্যাংক এ সঞ্চয় হিসাবে যে টাকা জমা রাখি। তার ওপর কোন নিদিষ্ট সুদের হার উল্লেখ না করার শর্তে ব্যাংক বছর শেষে আমাদের টাকার অংকে আমাদের সঞ্চয় এর ওপর কিছু বাড়তি টাকা দেয়। এটা কি সুদ হবে?

Magazine