কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৩) : আমার মা কুরআন মাজীদ শেখার সময় মানত করেছিল যে, শিখতে পারলে জীবনভর জুমআর দিন ছিয়াম রাখবে। আগে ছিয়াম রাখত। কিন্তু এখন অসুস্থতার জন্য পারে না। এখন করণীয় কী?

উত্তর : এ মানত হাদীছ বিরোধী। সুতরাং নযর পূর্ণ করা যাবে না এবং শুধু জুমআর দিন ছিয়াম রাখা যাবে না। কেননা শুধু জুমআর দিন ছিয়াম রাখা নিষিদ্ধ। মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ বলেন, আমি জাবেরকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর দিন ছিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৮৪)। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের কেউ যেন জুমআর দিন ছিয়াম না রাখে। কিন্তু যদি এর সাথে আগে বা পরে একদিন রাখলে রাখতে পারে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৮৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৪৪)। উক্ববা ইবনু আমের থেকে বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানতের কাফফারা হলো কসম ভঙ্গের কাফফারা’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৪৫; আবূ দাঊদ, হা/৩৩২৩)। আর কসম ভঙ্গের কাফফারা হলো, মহান আল্লাহ বলেন, ‘কসম ভঙ্গের কাফফারা হলো দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাবার খাওয়ানো যা তোমরা তোমাদের পরিবারকে খাওয়াও অথবা তাদের কাপড় পরানো অথবা একটি গোলাম আযাদ করা, এগুলোর কোনো একটি করতে না পারলে লাগাতার তিন দিন ছিয়াম পালন করা (আল-মায়েদা, ৫/৮৯)।

প্রশ্নকারী : সুমাইয়া

নিয়ামতপুর,নওগাঁ।


Magazine