উত্তর : (ক) যাকাতের অর্থ জানিয়ে দেওয়া ভালো। কেননা অনেকে যাকাতের হক্বদার হওয়া সত্ত্বেও আত্মমর্যাদার কারণে যাকাত গ্রহণ করতে চায় না। বরং পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে ভালোবাসে। আবার সবার জন্য যাকাত গ্রহণ করা জায়েযও নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِىٍّ وَلاَ لِذِى مِرَّةٍ سَوِىٍّ ‘ধনী ব্যক্তি ও সুঠাম দেহের অধিকারী কর্মক্ষম ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ (বা তাদের যাকাত প্রদান) বৈধ নয় (আবূ দাউদ, হা/১৬৩৪)। আত্বা ইবনু ইয়াসার রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচ শ্রেণির লোক ব্যতীত ধনী ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ নয় ১. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যোগদানকারী ২. যাকাত আদায়ের জন্য নিযুক্ত কর্মচারী ৩. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ৪. কোন ধনী ব্যক্তির গরীবের প্রাপ্ত যাকাত স্বীয় অর্থের বিনিময়ে খরিদ করা ৫. যার মিসকীন প্রতিবেশী নিজের প্রাপ্ত যাকাত তাকে উপঢৌকন হিসাবে দান করলে ধনী হওয়া সত্বেও তা গ্রহণ বৈধ (আবূ দাউদ, হা/১৬৩৫)। তবে যদি নিশ্চিত জানা থাকে যে ঐ ব্যক্তি দরিদ্র এবং তাকে অবগত করলে অভাবগ্রস্ত হলেও যাকাত গ্রহণ করবে না। তাহলে তাকে না জানিয়েও যাকাত দেওয়া যায় (আল-মুগনী ‘ইবনু কুদামা, ২/৫০৮ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : ফারুকুর রহমান
সিরাজগঞ্জ সদর।