কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪) : আবূ দাঊদ [৩৮৯৩] নম্বর তাবীয সংক্রান্ত হাদীছটিকে ইমাম তিরমিযী হাসান বলেছেন। কিন্তু আরো হাদীছ সরাসরী এর বিরুদ্ধে যাচ্ছে, কারণ তাবীয শিরক এটা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। তাহলে কেন ইমাম তিরমিযী এটাকে হাসান বললেন? আর আসলেও এটা আমল যোগ্য নাকি বিভ্রান্তি?

উত্তর: তাবীয ব্যবহার করা শিরক। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলালো, সে শিরক করল’ (মুসনাদে আহমাদ, ৪/১৫৬, হা/১৭৪৫৮; সিলসিলা ছহীহা, হা/৪৯২, সনদ ছহীহ)। উক্ত হাদীছে ছোট-বড়, কুরআন জানা অজানার মাঝে কোন পার্থক্য করা হয়নি। বরং ছোটদের ব্যাপারে স্পষ্টভাবে হাদীছে এসেছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ পড়ে হাসান ও হুসাইনকে ফুঁক দিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৭১)। তাই ছোট বাচ্চারা কুরআন পড়তে পারে না, এই অসীলায় তাদের গলায় তাবীয ঝুলানো জায়েয নয়। বরং পিতা-মাতা সূরা নাস, ফালাক্ব ও উল্লিখিত দু‘আ পড়ে বাচ্চার গায়ে ফুঁক দিবে। তিরমিযীর ৩৫২৮ নম্বরে বর্ণিত হাদীছ এবং আবূ দাউদে বর্ণিত ৩৮৯৩ নম্বর হাদীছটির ‘গলায় ঝুলানো অংশটুকু ছহীহ নয়। অনেক হাদীছ বিশারদগণ ‘বাচ্চাদের গলায় তাবীয ঝুলানো’ অংশটুকুকে দূর্বল বলেছেন (সিলসিলা ছহীহা, ১/৫২৯ পৃ.; আত-তা‘লীক্ব আলা মুসনাদে আহমাদ, ১১/২৯৬ পৃ.)। সুতরাং তিরমিযীর বর্ণিত হাদীছকে হাসান গণ্য করে তাবীয ঝুলানোকে বৈধতা দেওয়া জাতিকে ধোঁকা দেওয়া বৈ কিছুই নয়।


প্রশ্নকারী : সাব্বির আহমাদ, পুঠিয়া, রাজশাহী।

Magazine