কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪২): আমি বিবাহ করার ২৮ দিন পরে আমার স্ত্রীর গোপন কিছু কথা জানতে পারি। সেগুলো আমার গায়রতে (আত্মমর্যাদায়) আঘাত লাগে। যার কারণে আমি রাগের মাথায় আমার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে কলের মাধ্যমে ২ দিনে ৪ বারে ১২ বার তালাক দেই। দু্ই দিন পর মীমাংসা হয়ে সংসার শুরু করি। প্রশ্ন হলো আমরা কি হালাল সম্পর্কে আছি? আমার সন্তান কি বৈধ সন্তান হবে?

উত্তর: জি, উক্ত সম্পর্ক হালাল এবং আপনাদের সন্তান হলে তা হবে বৈধ সন্তান। কেননা এক তুহূতে যতবারই তালাক দেওয়া হোক না কেন তা এক তালাক বলেই বিবেচিত হবে এবং স্বামী স্ত্রীকে নতুন বিবাহ ছাড়াই ফেরত নিতে পারবে। ইবনু আব্বাস h-এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এবং আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু-এর যুগেও উমার রযিয়াল্লাহু আনহু-এর খেলাফাতের প্রথম দুবছর পর্যন্ত তিন তালাক এক তালাক সাব্যস্ত হতো। পরে উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, লোকেরা একটি বিষয়ে অতি ব্যস্ততা দেখিয়েছে যাতে তাদের জন্য ধৈর্যের (ও সুযোগ গ্রহণের) অবকাশ ছিল। এখন যদি বিষয়টি তাদের জন্য কার্যকর সাব্যস্ত করে দেই... (তবে তা-ই কল্যাণকর হবে)। সুতরাং তিনি তা তাদের জন্য বাস্তবায়িত ও কার্যকর সাব্যস্ত করলেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৫৬৫)। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস h থেকে বর্ণিত, আবূ রুকানা নামে একজন লোক তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীকে তার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এটা এক তালাক হয়েছে’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৮৭)। তবে মনে রাখতে হবে, তালাক একটি শরীআতের বিধান। এটা কোনো হাসি-তামাশার বিষয় নয়। তাই তালাক দিতে হলে শরীআতের বিধান মেনেই তালাক দেওয়া উচিত।

প্রশ্নকারী : মোহাম্মদ রুবেল হোসাইন

নওগাঁ সদর, নওগাঁ।


Magazine