কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৯) : তাবীয ব্যবহার শিরকজানা সত্ত্বেও একজন অসুস্থ মহিলা জিনের আছর থেকে মুক্তির জন্য তাবীয ব্যবহার করেন। এমতাবস্থায় তিনি মারা গেলে পরিণাম কী হবে? উল্লেখ্য যে, তিনি তাবীয ব্যবহারকালীন সময়ে সুস্থ থাকেন কিন্তু যখনই তা খুলে রাখেন তার দু-একদিন পরেই জিনেরা তাকে আছর করে এবং চরমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

উত্তর : কোনো অবস্থাতেই তাবীয ব্যবহার করা যাবে না। কারণ তাবীয কোনো ঔষধ নয়, বরং আক্বীদাগত কারণে তাবীয ব্যবহার করা শিরক। কখনো কখনো শিরকী কর্ম করার দ্বারা মানুষের ধারণা মতে সাময়িক উপকার হতে পারে। কিন্তু তা স্থায়ীভাবে ক্ষতি করে। তাবীয থাকার কারণে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ছাহাবীর বায়আত নেননি। সে তা কেটে ফেলে দিলে তিনি তার বায়আত গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ, হা/১৬৯৬৯; ছহীহুল জামে‘, হা/৬৩৯৪; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৪৯২)। সুতরাং তাবীয ব্যবহারকারী তওবা না করে মারা গেলে সে মুশরিক অবস্থায় মারা যাবে। আর মুশরিকের পরিণাম জাহান্নাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে (অন্য কাউকে) অংশীদার স্থাপন করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম, আর এরূপ অত্যাচারীদের জন্য কোনো সাহায্যকারী হবে না’ (আল-মায়েদাহ, ৫/৭২)। এমতাবস্থায় কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মাধ্যমে ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় অথবা যারা রুকিয়্যা পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে তাদের কাছে যাওয়া যায়।

প্রশ্নকারী : আব্দুছ ছামাদ, পীরগঞ্জ, রংপুর।



Magazine