উত্তর : হ্যাঁ, যাবে। এমনকি বিনা ওযূতে কুরআন-হাদীছও স্পর্শ করে পড়া যায়। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করতেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৭৩; সুবুলুস সালাম, ১/১২১, হা/৭২, ১২)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় আল্লামা ছানআনী বলেন, فيدخل تلاوة القرآن ولو كان جنبا ‘সর্বাবস্থায় যিকির করার মধ্যে অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াতও অন্তর্ভুক্ত’। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর বাণী, لاَيَمَسُّهُ إِلاَّ الْمُطَهَّرُوْنَ অর্থাৎ ‘পবিত্রগণ ব্যতীত কেউ তা স্পর্শ করে না’ (ওয়াক্বিআহ, ৫৬/৭৯)। এ দ্বারা বিনা ওযূ উদ্দেশ্য নয়; বরং বিনা ওযূতে কুরআন পড়া জায়েয (ঐ, দ্রঃ)। ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম শাফেঈ q বলেন, অপবিত্র অবস্থায় দু‘আ হিসাবে, শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ও যিকির-আযকার হিসাবে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয। যেমন সফরের দু‘আয় কুরআনের আয়াত পাঠ করা (আল-ফিক্বহুল ইসলামী, ১/৩৮৪)। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা বিনা ওযূতে তেলাওয়াতের সিজদা করতেন (ফাতাওয়া উছায়মীন, ১৪/৩১১)।
-জাহিদুল ইসলাম