‘হেপাটাইটিস সি’ হচ্ছে একটি নীরব ঘাতক। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ শরীরে খুব কম প্রকাশ পায়। অনেক সময় ভাইরাসটি শনাক্ত করাও যায় না এবং প্রায় নীরবেই শুষে নেয় জীবনীশক্তি। তবে এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে স্বস্তির সংবাদ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া ‘হেপাটাইটিস সি’ চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকরী ও খরচের দিক দিয়ে সাশ্রয়ী একটি ওষুধকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (Wরাযিয়াল্লাহু আনহুমারাহিমাহুমুল্লাহ) কাছে আবেদন করেছে। জানানো হয়েছে, হেপাটাইটিস সি চিকিৎসায় ব্যবহৃত সোফোসবুভির সাথে রাভিডাসভির মেডিসিনটি যুক্ত করে অনেক ভালো সাড়া পাওয়া যায়। বিগত ৫ বছর যাবত ড্রাগস ফর নেগলেক্টেড ডিজিজ ইনিশিয়েটিভের (DNDI) সঙ্গে গবেষণার পর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় মালয়েশিয়া সরকার তাদের দেশে এটিকে অনুমোদন দেয়। এখন সারা বিশ্বে একই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে অন্তত ৭১ কোটিরও বেশির মানুষ হেপাটাইটিস সি নিয়ে জীবনযাপন করছে। এটি রক্তে বাহিত হওয়া একটি ভাইরাস যা লিভার সিরোসিসের দিকে নিয়ে যায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে। এই ভাইরাস লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি কারণ এই রোগের কোনো লক্ষণই ধরা পড়ে না। যখন ধরা পড়ে ততক্ষণে লিভার গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ মানুষ মারা গেছেন। বাংলাদেশেও হেপাটাইটিস রোগটির প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে প্রায় ১ কোটি হেপাটাইটিস বি ও সি রোগী রয়েছে।