কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

হজ্জ ও উমরা (পর্ব-১৯)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضي الله عنه أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى فَجَعَلَ الْبَيْتَ عَنْ يَسَارِهِ وَمِنًى عَنْ يَمِينِهِ وَرَمَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَمَى الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ.

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি জামরাতুল কুবরার (বড় জামরার) নিকট পৌঁছে বায়তুল্লাহকে বামে আর মিনাকে ডানে রেখে সাতটি কঙ্কর মারলেন। এতে প্রত্যেকবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলেছেন। অতঃপর তিনি বললেন, যাঁর উপর সূরা আল-বাক্বারা নাযিল হয়েছে, তিনিও ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে পাথর মেরেছেন।[1] ১০ তারিখের কাজগুলো আগ-পিছ হলে কোনো দোষ নেই।[2]

যাকরানিষেধ :

(১) আরাফা হতে মুযদালিফায় দৌড়ঝাঁপ করে আসা।

(২) মুযদালিফায় রাত যাপনের জন্য বিশেষ গোসল করা।

(৩) মুযদালিফায় বিশেষ দু‘আ ও ওয়াযীফা পাঠ করা।

(৪) মুযদালিফায় পৌঁছে ছালাত আদায় না করে তাড়াহুড়া করে পাথর সংগ্রহ করা।

(৫) মাগরিব ও এশার সুন্নাত এবং বিতর পড়া।

(৬) মুযদালিফার রাতে না ঘুমিয়ে জেগে ইবাদত করা বা গল্পগুজব করা।

যিলহজ্জের১০তারিখেরদ্বিতীয়কাজ : ১০ তরিখের দ্বিতীয় কাজ হলো হাদী যবেহ করা। হাদীর জন্য উত্তম হলো উট। তারপর গরু, তারপর ছাগল বা দুম্বা অথবা উট বা গরুর সাত ভাগের এক ভাগ। হাদীর বয়স ও বৈশিষ্ট্য কুরবানীর পশুর মতোই হতে হবে।[3] হাদী একাধিক হতে পারে। যেমন- নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদী ছিল ১০০টি উট। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে ৬৩টি যবেহ করেছিলেন আর বাকিগুলো আলী রযিয়াল্লাহু আনহু যবেহ করেছিলেন।[4] পশু যবেহর স্থান সম্পর্কে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিনা পশু যবেহর স্থান। আর মক্কার প্রতিটি পথ চলাচল এবং পশু যবেহর স্থান। অতএব তোমরা তোমাদের বাড়ি-ঘরে কুরবানী করতে পার বা পশু যবেহ করতে পার। হাদী ও কুরবানী যবেহর সময় মোট চার দিন। তা হলো, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, كُلُّ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ ذَبْحٌ ‘আইয়ামে তাশরীকের ১১, ১২ ও ১৩ এর প্রতিটি দিনই হাদী যবেহ করার দিন’।[5] অতএব এ চার দিনের যেকোনো সময় হাদী করতে পারে। আর সুন্নাত হচ্ছে কুরবানীদাতা নিজ হাতে কুরবানী করবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে কুরবানী করেন।[6] যদি না হয়, তাহলে অন্য কাউকে প্রতিনিধি বানাবে।[7] কেবলামুখী করে বাম কাতে ফেলে যবেহ করা সুন্নাত। কেবলামুখী ছাড়া যবেহ করলে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা সেটা খাওয়া অপছন্দ করতেন।[8] আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ‘আল্লাহর নামে যবেহ করছি। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদের পক্ষ থেকে, তার পরিবারের পক্ষ থেকে ও তার উম্মতের পক্ষ থেকে কবুল করো’।[9]

যদি কোনো ব্যক্তি অর্থের অভাবে কুরবানী দিতে না পারে, তাহলে হজ্জের সময় তিন দিন এবং বাড়িতে ফিরে সাত দিন মোট ১০ দিন ছিয়াম পালন করবেন। মহান আল্লাহ বলেন,فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ‘যে ব্যক্তি হজ্জের সাথে উমরাকে মিলিয়ে উপকার লাভ করতে চায়, সে যেমন সম্ভব কুরবানী দিবে। কিন্তু কেউ যদি তা না পায়, তাহলে সে হজ্জের দিনগুলোতে তিন দিন এবং বাড়ি ফেরার পর সাত দিন মোট ১০ দিন ছিয়াম থাকবে’ (আল-বাক্বারা, ২/১৯৬)

জরুরী কথা, হজ্জের দিনগুলোতে যারা ছিয়াম থাকবে, তারা ১১, ১২ ‍ও ১৩ তারিখে ছিয়াম রাখতে পারে- যদিও এ দিনগুলোতে ছিয়াম রাখা নিষেধ। হজ্জের দিনগুলোতে শুধু তারা ছিয়াম থাকবে, যারা কুরবানীর ব্যবস্থা করতে পারেনি (আল-বাক্বারা, ২/১৯৬)

১০ তারিখের তৃতীয় কাজ হলো, মাথা ন্যাড়া করা বা চুল ছোট করা। ১০ তারিখের চতুর্থ কাজ হলো, তাওয়াফে ইফাযা বা তাওয়াফে যিয়ারাহ করা। এটা মূলত হজ্জের রুকন। এ তাওয়াফে ইযত্বেবা এবং রমল নেই। শুধু কা‘বায় সাত চক্কর তাওয়াফ এবং দুই রাকআত ছালাত। অতঃপর যমযমের পানি পান করবে। এ তাওয়াফের মাধ্যমে ইহরামের সব নিষিদ্ধ বিষয় হালাল হয়ে যাবে। ১০ তারিখের ৫ম কাজ হলো ছাফা ও মারওয়ায় সাঈ করা। মূলত এটা তামাত্তু হজ্জের জন্য। আর যারা ক্বিরান বা ইফরাদ হজ্জ করবে, তারা তাওয়াফে কুদূমের সময় সাঈ করলে ১০ তারিখে সাঈ করতে হবে না। আর না করলে ১০ তারিখে তাওয়াফের পর সাঈ করতে হবে। কারণ তামাত্তু হজ্জের জন্য দুটি সাঈ এবং ক্বিরান ও ইফরাদের জন্য একটি সাঈ। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যারা শুধু উমরার ইহরাম বেধেছে, তামাত্তু হজ্জের জন্য তারা কা‘বায় তাওয়াফ এবং ছাফা-মারওয়ায় সাঈ করার পর হালাল হয়ে যাবে। অতঃপর মিনায় হজ্জের কাজ শেষ করে এসে পুনরায় তাওয়াফ এবং ছাফা-মারওয়া সাঈ করবে। আর যারা হজ্জ এবং উমরার এক সাথে ইহরাম বেঁধেছে, তারা শুধু একবার তাওয়াফ করবে এবং একবার ছাফা-মারওয়ায় সাঈ করবে।[10] এভাবেই ১০ তারিখের কাজ শেষ হবে।

যা বর্জনীয় :

(১) পাথর মারার জন্য বিশেষ কোনো গোসল করা।

(২) পাথর মারার জন্য হাত ধৌত করা।

(৩) পাথর মারার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ ছাড়া অন্য কোনো দু‘আ পড়া।

(৪) শয়তানকে গালিগালাজ করা এবং জুতা ছুড়ে মারা।

(৫) হাদী বা কুরবানী না করে মূল্য ছাদাক্বা করা।

(৬) ১০ তারিখের পূর্বে হাদী যবেহ করা।

(৭) মাথার চুল কিছু অংশ কাটা বা ন্যাড়া করা।

(৮) হজ্জের কাজ মনে করে মিনায় ঈদের ছালাত আদায় করা।

১১, ১২১৩তারিখমিনায় রাত্রিযাপন : ১০ তারিখ দিন পার হলে হবে ১১ তারিখের রাত। তারপর হবে ১২ ও ১৩ তারিখের রাত। এ তিন রাত মিনায় রাতযাপন করা উচিত। তবে এ তিন রাতের মধ্যে ১১ ও ১২ রাতযাপন করেও চলে আসতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ لِمَنِ اتَّقَى وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ ‘আর নির্ধারিত দিনসমূহে আল্লাহকে স্মরণ করো। অতঃপর কেউ যদি দু’দিনের মধ্যে (মক্কায় ফিরে যেতে) তাড়াতাড়ি করে, তবে তার জন্য কোনো পাপ নেই। পক্ষান্তরে কেউ যদি বিলম্ব করে, তবে তার জন্যও পাপ নেই এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ও জেনে রেখো যে, অবশ্যই তোমাদের সকলকে তাঁরই নিকট সমবেত করা হবে’ (আল-বাক্বারা, ২/২০৩)। যদি কেউ ১২ তারিখে চলে আসতে চায়, তাকে ১২ তারিখ সূর্য ডুবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হবে। ১২ তারিখ সূর্য ডুবে গেলে ১৩ তারিখ বিকালে পাথর মেরেই আসতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন,مَنْ غَرَبَتْ لَهُ الشَّمْسُ مِنْ أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ وَهُوَ بِمِنًى، لا يَنْفِرَنَّ حَتَّى يَرْمِيَ الْجِمَارَ مِنَ الْغَدِ ‘তাশরীকের মধ্যদিনে অর্থাৎ ১২ তারিখে যার মিনায় সূর্য ডুবে যাবে, সে যেন পরের দিন ১৩ তারিখে পাথর মারার পূর্বে মিনা ত্যাগ না করে’।[11] অতএব তিন রাত থাকা এবং তিন দিন পাথর মারা সবচেয়ে ভালো।

(চলবে)


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/১৭৪৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১২৯৬; মিশকাত, হা/২৬২১।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৮৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩০৬; মিশকাত, হা/২৬৫৫, ২৬৫৬।

[3]. আলবানী, মানাসিকুল হাজ্জ ওয়াল উমরা, পৃ. ৩৫।

[4]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮।

[5]. আহমাদ, হা/১৬৭৫৭; সিলসিলা ছহীহা, হা/২৪৭৬।

[6]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৬৭; মিশকাত, হা/১৪৫৪।

[7]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৬৭; মিশকাত, হা/১৪৫৪।

[8]. মুছাননাফ আব্দুর রাযযাক, হা/৮৬১৬।

[9]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৪৯১; মিশকাত, হা/১৪৫৪।

[10]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৭২।

[11]. মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৫১১; আলবানী, মানাসিকুল হাজ্জ ওয়াল উমরা পৃ. ৩৮।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (২) : বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র এবং উপার্জনের মধ্যে অধীনস্থতা বাধ্যতামূলক ও ইচ্ছাকৃত যে সকল শিরক ও হারাম মিশে আছে সেগুলো কী কী? তা স্পষ্ট করার জন্য অনুরোধ রইলো।

প্রশ্ন (৩) : শবে বরাত ইসলামী পরিভাষা না হলেও উপমহাদেশে শা‘বান মাসের মধ্যবর্তী রজনীকে বুঝানো হয়। এ মর্মে হাদীছগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হলেও ইবনু মাজাহতে বর্ণিত (১৩৯০ নং) হাদীছকে আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। তাহলে আহলেহাদীছগণ একে বিদ‘আত বলেন কেন?

প্রশ্ন (৪) : জুম’আর খুৎবায় অনেক খতীব বলে থাকেন যে, রমাযান মাস পর্যন্ত জীবিত থাকার জন্য এবং রামাযানের ফযীলত লাভের জন্য اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ এই দু’আটি বেশি বেশি পাঠ করা সুন্নাত। এই মর্মে সঠিক সমাধান জানতে চাই।

প্রশ্ন (২৫) : আমাদের এলাকায় মানুষ মারা গেলে বাড়ি থেকে জানাযার স্থানে নেওয়ার সময় চল্লিশ কদম পর্যন্ত গণনা করা হয়। প্রতি দশ কদম পর পর খাটিয়া বহনকারীদের পরিবর্তন করা হয়। ইহা কতটা শরীয়া সম্মত?

প্রশ্ন (২৬) : মৃত মহিলাকে গোসল দেওয়ার পর শরীরে আতর, করপুর, সুরমা লাগানো যাবে কি?

প্রশ্ন (২৭) : কোনো নারীকে যদি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার কোনো অভিভাবক খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে ঐ নারীকে আমরা কাফন-দাফন ও জানাযা পড়ে কবরস্থ করব না-কি আগুনে পুড়িয়ে কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলব? কেননা নারী হওয়ার কারণে মুসলিম না-কি অমুসলিম আমরা বুঝতে পারছি না।

প্রশ্ন (২৮) : আমরা জানি যে, মৃত ব্যক্তির বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান করা বিদ’আত। কিন্তু মৃত ব্যক্তির পরিবার ও দূর-দুরান্ত থেকে জানাযায় উপস্থিত হতে আসা লোকজন, আত্মী-স্বজনদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য সমাজের পক্ষ থেকে নিজ অর্থায়নে ব্যবস্থা করা যাবে কি? বেঁচে যাওয়া টাকা কি করতে হবে?

প্রশ্ন (২৯) : মৃত ব্যক্তির ভিডিও কিংবা অডিও লেকচার শোনা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩০) : মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করার কয়েক মাস পর ধসে তা নিচু হয়ে যায়। ফলে সেখানে বিভিন্ন জীব-জন্তু বসবাস করতে আরম্ভ করে। আমরা কি কবরগুলি ভরাট করতে পারব? বা এ ক্ষেত্রে করণীয় কী? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (৫) : রজব মাসের বিশেষ ছালাত ‘ছালাতুররাগায়েব’ বলতে কোনো ছালাত আছে কি? থাকলে তা পড়ার পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (৭) : হায়েয শেষ হওয়ার পর ছালাতের ওয়াক্ত রয়েছে। কিন্তু পবিত্রতা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে যদি ওয়াক্ত চলে যায়, তাহলে ঐ ছালাত কি ক্বাযা করতে হবে? যদি করতে হয় তাহলে নিয়ম কী?

প্রশ্ন (৮) : ‘রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত ’বইয়ে জানাযার জন্য ২টি দু’আ দেওয়া রয়েছে। দু’আ ২টি একসাথে পড়া যাবে কি? দু’আগুলো একাধিকবার পড়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৯) : যোহর, আছর, মাগরিব এবং এশার ফরয ছালাতে এক বা দুই রাকা‘আত ছুটে গেলে, ছুটে যাওয়া রাকা’আত আমি কিভাবে পড়ব?

প্রশ্ন (১০) : আমার বাবা পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত পড়েন। কিন্তু ছহীহ পদ্ধতিতে পড়েন না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি কিন্তু তিনি বুঝার চেষ্টা করেন না। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?

প্রশ্ন (১১) : আমি একজন মেয়ে। আমার বয়স ১৮ বছর। আমি একটি মেসে থাকি। আমি নিয়মিত ছালাত পড়ি। কিন্তু আমার রুমমেট হিন্দু। হিন্দু মহিলাটির সামনে আমার ছালাত ছহীহ হবে কি? আর হিন্দু মেয়েটার সাথে একই রুমে থাকা শরীয়তসম্মত হবে কি?

প্রশ্ন (১২) : ফজরের ২ রাকা’আত সু্ন্নাত ও ফরযের মধ্যে না-কি আর কোনো ছালাত আদায় করা যায় না। এখন কেউ যদি ফজরের ২ রাকা’আত সুন্নাত ছালাত বাসায় পড়ে মসজিদে যায়; তাহলে আবার মসজিদে বসার পূর্বে ২ রাকা’আত ছালাত আদায় করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (১৩) : যে সমস্ত ইমাম মীলাদ-ক্বিয়াম করে এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নূরের তৈরি বিশ্বাস করে। দলীল দেওয়ার পরও সে তার এই বিশ্বাস থেকে ফিরে আসে না। এমন ইমামের পিছনে ছালাত হবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : যোহরের পূর্বের চার রাকা’আত সুন্নাত ছালাতের প্রত্যেক রাকা’আতেই কি সূরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা পড়তে হবে?

প্রশ্ন (১৫) : ছালাতে সিজদারত অবস্থায় সিজদার তাসবীহ পড়ার পর আল্লাহর কাছে নিজ মাতৃভাষায় কিছু চাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৪৭) : আমরা জানি যে, দু’আর শুরুতে হামদ ও দরূদ পাঠের কথা হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (তিরমিযী, হা/৩৪৭৬)। দু’আর শেষে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু অনেক দু’আর বইয়ে দু’আর শেষে হামদ ও দরূদ পাঠের কথা লিখা আছে। প্রশ্ন হলো- হামদ ও দরূদ দ্বারা দু’আ শেষ করা কি শরীয়তসম্মত?

প্রশ্ন (৪৮) : আমি শুনেছি যে আল্লাহর ৯৯টি নাম পড়ে কেউ যদি হাত তুলে দু‘আ করে,তাহলে তার দু‘আ কবুল হয়, এ কথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৪৯) : এক প্রতিবেশি থেকে অপর প্রতিবেশি যদি খুবই সামান্য পরিমাণ (৫০, ১০০ গ্রাম) লবন ধার নেয় তাহলে সেটা ফেরত না নেওয়ার ব্যাপারে ইসলাম কিছু বলেছে কি? আমি শুনেছি লবন, পানি কাউকো দিলে তা ফেরত নিতে হয় না।

প্রশ্ন (৫০) : আমি কিছু অমুসলিমদের ইসলামের দাওয়াত দিয়েছি। ডা. জাকির নায়েকের লেকচার দেখে তারা ইসলাম সম্পর্কে জানতেঅনেকআগ্রহী। তারা পবিত্র কুরআন পড়তে চায়। তাদেরকে আমি কুরআন মাজীদউপহার দিতে চাচ্ছি। আমি কি তাদেরকে কুরআন মাজীদ দিতে পারব? যদি দিতেপারি তাহলে নির্ভরযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থ কোনটি দয়া করে জানাবেন।

স্বাধীনতার মাসে দেশের শান্তি-সমৃদ্ধির শপথ নিন

হক্বের মানদণ্ড (পর্ব-৩)

প্রশ্ন (৩৯) : ছহীহ হাদীছে এক পাপাচারী মহিলা কর্তৃক তৃষ্ঞার্ত কুকুরকে কুয়া থেকে পানি উঠিয়ে পান করানোর প্রতিদানে জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। আবার ছহীহ হাদীছে বলা হয়েছে, যে বাড়িতে কুকুর থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাই। মুমিন ব্যক্তি কি কোনো অসুস্থ বিপন্ন কুকুরকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিলে তা ক্ষতিকর হবে?

প্রশ্ন (৪০) : ‘কোনো বান্দার পাপ বেড়ে গেলে আল্লাহ তাকে বেশি সন্তান দিয়ে তার পাপ মোচন করে দেন’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৩৬)। অত্র হাদীছটি কি ছহীহ?

প্রশ্ন (৪১) : মেয়েরা কি রেস্টুরেন্টে গিয়ে শুধুমাত্র খাওয়ার সময় মুখ খুলতে পারবে?

প্রশ্ন (৪২) : আমরা ছহীহ হাদীছ থেকে জানতে পারি যে, অহংকারসহ ও অহংকার ছাড়া টাখনুর নিচে পুরুষদের জন্য কাপড় ঝুলানো জায়েয না। কিন্তু একটি নির্ভরোগ্য ফতওয়া ওয়েবসাইট-এ পড়লাম, চার মাযহাবের বেশির ভাগ আলেমের মতে অহংকার ছাড়া টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহ বা জায়েয। অথচ আমরা উমার রযিয়াল্লাহু আনহু-এর ঘটনা জানি, তিনি এক যুবককে কাপড় টাখনুর উপর উঠাতে বলেছিলেন। সঠিক সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (৪৩) : মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে নির্দেশনা রয়েছেযে, রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হাঁটতে হবে। কিন্তুসরকারি নিয়ম বাম পাশ দিয়ে হাঁটতে হবে। এখন আমাদের করণীয় কী?

প্রশ্ন (৪৪) : যে ব্যক্তি যাদু ও কুফুরীকালাম দ্বারা আক্রান্ত তারা কিভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করবে?

শা‘বান মাসে নফল ছিয়াম ও ছালাত

প্রশ্ন (১৮) : জনৈক আলেম বলেছেন, শা’বান মাসে মালাকুল মাউত বেশি পরিমাণ রূহ কবয করে থাকেন। অর্থাৎ বেশি মানুষ মারা যায়। এমন কোনো ছহীহ হাদীছ বা আছার আছে কি?

প্রশ্ন (১৯) : আমার বাবা মৃত্যুর পূর্বে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে রমাযানের কয়েকটি ছিয়াম পালন করতে পারেননি। এজন্য তিনি খুবই মর্মাহত হোন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। তাই আমি উনার সন্তান হিসেবে ছিয়ামগুলো পালন করবো মর্মে কথা দেই। কিন্তু কয়েকজন বলল যে, ছিয়ামগুলো আমি পালন করলে বাবার পক্ষ থেকে আদায় হবে না বরং ফিদিয়া দিতে হবে। এ বিষয়ে সঠিক সমাধান দানে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২০) : ইয়াওমুশ-শাকবাসন্দেহের দিন বলতে কোন দিনকে বোঝানো হয়। এইদিনেকিগতবছরেরক্বাযাছিয়ামপালনকরাযাবে?

প্রশ্ন (২১) : শুনেছি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, অন্যান্য মাসের তুলনায় রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শা‘বান মাসে বেশি ছিয়াম পালন করতেন। তাহলে কি পুরোশা‘বানমাস ছিয়াম পালন করা যাবে?

প্রশ্ন (২৩) : আছরের ফরয ছালাতের পরে নফল ইবাদত করা যায় না। প্রশ্ন হলো-আছর ছালাতের পর জানাযা দেওয়া যাবে কি-না? আমাদের এলাকায় বেশির ভাগ জানাযা আছরের পর হয়।হাদীছসহ উত্তর প্রত্যাশা করি।

Magazine