কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩) : শবে বরাত ইসলামী পরিভাষা না হলেও উপমহাদেশে শা‘বান মাসের মধ্যবর্তী রজনীকে বুঝানো হয়। এ মর্মে হাদীছগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হলেও ইবনু মাজাহতে বর্ণিত (১৩৯০ নং) হাদীছকে আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। তাহলে আহলেহাদীছগণ একে বিদ‘আত বলেন কেন?

উত্তর : শবে বরাত ইসলামী পরিভাষা নয়, একথায় ঠিক। শবে বরাত বলে ১৫ শা‘বান বুঝালেও তা পরিহার করতে হবে। কেননা তা রাসূল ছা. এর বলা শব্দ নয়। রাসূলুল্লাহ ছা. বলেছেন, ‘নিসফ শা‘বান’। সাথে সাথে শবে বরাত বলে, সমাজের লোক যা বুঝে তা ১৫ শা‘বানের ঘটনা নয় বরং তা হয় রামাযান মাসের লায়লাতুল ক্বদরের রাত্রি। আর হাদীছ জাল বা যয়ীফ একথায় ঠিক। কারণ আলবানী (রহ) অত্র হাদীছের সূত্রকে যয়ীফ বলেছেন। তবে তিনি অন্যান্য সনদ ও ‘শাহেদ’-এর উপর ভিত্তি করে হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন (সিলসিলা ছহীহাহ, ৩/১৩৮ পৃ., হা/১১৪৪)। শায়খ আলবানী রহিমাহুল্লাহ-এর ইলম, মর্যাদা, গ্রহণযোগ্যতা সত্ত্বেও এই হাদীছটিতে তাঁর ইজতিহাদ বা গবেষণা আমাদের কাছে অগ্রাধিকারযোগ্য মনে হয়নি। কারণ, হাদীছটির অন্যান্য সনদ ও শাহেদ এমন ত্রুটিপূর্ণ, যা পরস্পর মিলেও ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। বরং শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত হাদীছগুলো হয় জাল, না হয় দুর্বল (দ্রষ্টব্য : ইবনু রজব, লাত্বায়েফুল মা‘আরেফ, পৃঃ ১৩৭; মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ইবনে বায ১/১৮৭ পৃ.)। তর্কের খাতিরে আমরা যদি ধরে নিই যে, শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে ‘গ্রহণযোগ্য’ হাদীছ আছে, কিন্তু ঐ দিনে বা রাতে অতিরিক্ত ও বিশেষ কোন ইবাদত সম্পর্কে ‘ছহীহ’, ‘হাসান’ বা এমনকি ‘অল্প যঈফ’ হাদীছও বর্ণিত হয়নি। বরং এ সম্পর্কিত সব হাদীছ হয় অত্যন্ত দুর্বল, আর না হয় জাল। এজন্য, আহলেহাদীছগণ শুধু নয়; বরং সর্বযুগের জগদ্বিখ্যাত ওলামায়ে কেরাম শবে বরাত উপলক্ষ্যে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগীকে বিদ‘আত বলেছেন। এমনকি যে আলবানী রহিমাহুল্লাহ ইবনু মাজাহর উপর্যুক্ত হাদীছকে ‘ছহীহ’ বলেছেন, খোদ তিনিই বলেছেন, نعم لا يلزم من ثبوت هذا الحديث اتخاذ هذه الليلة موسمًا يجتمع الناس فيها، ويفعلون فيها من البدع ‘তবে হ্যাঁ, এই হাদীছ প্রমাণিত হওয়ার অর্থ এই নয় যে, এই রাত্রিকে এমন মৌসুম হিসাবে গ্রহণ করতে হবে, যাতে মানুষ মসজিদে একত্রিত হবে এবং বিদ‘আতসমূহ করবে’ (আল-ক্বাসেমী, ইছলাহুল মাসাজিদ মিনাল বিদা‘ ওয়াল আওয়ায়েদ, পৃঃ ৯৯, টীকা নং ২)।

প্রশ্নকারী : আব্দুর রাকিব

গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।


সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (২) : বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র এবং উপার্জনের মধ্যে অধীনস্থতা বাধ্যতামূলক ও ইচ্ছাকৃত যে সকল শিরক ও হারাম মিশে আছে সেগুলো কী কী? তা স্পষ্ট করার জন্য অনুরোধ রইলো।

প্রশ্ন (৩) : শবে বরাত ইসলামী পরিভাষা না হলেও উপমহাদেশে শা‘বান মাসের মধ্যবর্তী রজনীকে বুঝানো হয়। এ মর্মে হাদীছগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হলেও ইবনু মাজাহতে বর্ণিত (১৩৯০ নং) হাদীছকে আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। তাহলে আহলেহাদীছগণ একে বিদ‘আত বলেন কেন?

প্রশ্ন (৪) : জুম’আর খুৎবায় অনেক খতীব বলে থাকেন যে, রমাযান মাস পর্যন্ত জীবিত থাকার জন্য এবং রামাযানের ফযীলত লাভের জন্য اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ এই দু’আটি বেশি বেশি পাঠ করা সুন্নাত। এই মর্মে সঠিক সমাধান জানতে চাই।

প্রশ্ন (২৫) : আমাদের এলাকায় মানুষ মারা গেলে বাড়ি থেকে জানাযার স্থানে নেওয়ার সময় চল্লিশ কদম পর্যন্ত গণনা করা হয়। প্রতি দশ কদম পর পর খাটিয়া বহনকারীদের পরিবর্তন করা হয়। ইহা কতটা শরীয়া সম্মত?

প্রশ্ন (২৬) : মৃত মহিলাকে গোসল দেওয়ার পর শরীরে আতর, করপুর, সুরমা লাগানো যাবে কি?

প্রশ্ন (২৭) : কোনো নারীকে যদি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার কোনো অভিভাবক খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে ঐ নারীকে আমরা কাফন-দাফন ও জানাযা পড়ে কবরস্থ করব না-কি আগুনে পুড়িয়ে কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলব? কেননা নারী হওয়ার কারণে মুসলিম না-কি অমুসলিম আমরা বুঝতে পারছি না।

প্রশ্ন (২৮) : আমরা জানি যে, মৃত ব্যক্তির বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান করা বিদ’আত। কিন্তু মৃত ব্যক্তির পরিবার ও দূর-দুরান্ত থেকে জানাযায় উপস্থিত হতে আসা লোকজন, আত্মী-স্বজনদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য সমাজের পক্ষ থেকে নিজ অর্থায়নে ব্যবস্থা করা যাবে কি? বেঁচে যাওয়া টাকা কি করতে হবে?

প্রশ্ন (২৯) : মৃত ব্যক্তির ভিডিও কিংবা অডিও লেকচার শোনা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩০) : মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করার কয়েক মাস পর ধসে তা নিচু হয়ে যায়। ফলে সেখানে বিভিন্ন জীব-জন্তু বসবাস করতে আরম্ভ করে। আমরা কি কবরগুলি ভরাট করতে পারব? বা এ ক্ষেত্রে করণীয় কী? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (৫) : রজব মাসের বিশেষ ছালাত ‘ছালাতুররাগায়েব’ বলতে কোনো ছালাত আছে কি? থাকলে তা পড়ার পদ্ধতি কী?

প্রশ্ন (৭) : হায়েয শেষ হওয়ার পর ছালাতের ওয়াক্ত রয়েছে। কিন্তু পবিত্রতা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে যদি ওয়াক্ত চলে যায়, তাহলে ঐ ছালাত কি ক্বাযা করতে হবে? যদি করতে হয় তাহলে নিয়ম কী?

প্রশ্ন (৮) : ‘রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত ’বইয়ে জানাযার জন্য ২টি দু’আ দেওয়া রয়েছে। দু’আ ২টি একসাথে পড়া যাবে কি? দু’আগুলো একাধিকবার পড়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৯) : যোহর, আছর, মাগরিব এবং এশার ফরয ছালাতে এক বা দুই রাকা‘আত ছুটে গেলে, ছুটে যাওয়া রাকা’আত আমি কিভাবে পড়ব?

প্রশ্ন (১০) : আমার বাবা পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত পড়েন। কিন্তু ছহীহ পদ্ধতিতে পড়েন না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি কিন্তু তিনি বুঝার চেষ্টা করেন না। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?

প্রশ্ন (১১) : আমি একজন মেয়ে। আমার বয়স ১৮ বছর। আমি একটি মেসে থাকি। আমি নিয়মিত ছালাত পড়ি। কিন্তু আমার রুমমেট হিন্দু। হিন্দু মহিলাটির সামনে আমার ছালাত ছহীহ হবে কি? আর হিন্দু মেয়েটার সাথে একই রুমে থাকা শরীয়তসম্মত হবে কি?

প্রশ্ন (১২) : ফজরের ২ রাকা’আত সু্ন্নাত ও ফরযের মধ্যে না-কি আর কোনো ছালাত আদায় করা যায় না। এখন কেউ যদি ফজরের ২ রাকা’আত সুন্নাত ছালাত বাসায় পড়ে মসজিদে যায়; তাহলে আবার মসজিদে বসার পূর্বে ২ রাকা’আত ছালাত আদায় করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (১৩) : যে সমস্ত ইমাম মীলাদ-ক্বিয়াম করে এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নূরের তৈরি বিশ্বাস করে। দলীল দেওয়ার পরও সে তার এই বিশ্বাস থেকে ফিরে আসে না। এমন ইমামের পিছনে ছালাত হবে কি?

প্রশ্ন (১৪) : যোহরের পূর্বের চার রাকা’আত সুন্নাত ছালাতের প্রত্যেক রাকা’আতেই কি সূরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা পড়তে হবে?

প্রশ্ন (১৫) : ছালাতে সিজদারত অবস্থায় সিজদার তাসবীহ পড়ার পর আল্লাহর কাছে নিজ মাতৃভাষায় কিছু চাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৪৭) : আমরা জানি যে, দু’আর শুরুতে হামদ ও দরূদ পাঠের কথা হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (তিরমিযী, হা/৩৪৭৬)। দু’আর শেষে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু অনেক দু’আর বইয়ে দু’আর শেষে হামদ ও দরূদ পাঠের কথা লিখা আছে। প্রশ্ন হলো- হামদ ও দরূদ দ্বারা দু’আ শেষ করা কি শরীয়তসম্মত?

প্রশ্ন (৪৮) : আমি শুনেছি যে আল্লাহর ৯৯টি নাম পড়ে কেউ যদি হাত তুলে দু‘আ করে,তাহলে তার দু‘আ কবুল হয়, এ কথা কি ঠিক?

প্রশ্ন (৪৯) : এক প্রতিবেশি থেকে অপর প্রতিবেশি যদি খুবই সামান্য পরিমাণ (৫০, ১০০ গ্রাম) লবন ধার নেয় তাহলে সেটা ফেরত না নেওয়ার ব্যাপারে ইসলাম কিছু বলেছে কি? আমি শুনেছি লবন, পানি কাউকো দিলে তা ফেরত নিতে হয় না।

প্রশ্ন (৫০) : আমি কিছু অমুসলিমদের ইসলামের দাওয়াত দিয়েছি। ডা. জাকির নায়েকের লেকচার দেখে তারা ইসলাম সম্পর্কে জানতেঅনেকআগ্রহী। তারা পবিত্র কুরআন পড়তে চায়। তাদেরকে আমি কুরআন মাজীদউপহার দিতে চাচ্ছি। আমি কি তাদেরকে কুরআন মাজীদ দিতে পারব? যদি দিতেপারি তাহলে নির্ভরযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থ কোনটি দয়া করে জানাবেন।

স্বাধীনতার মাসে দেশের শান্তি-সমৃদ্ধির শপথ নিন

হক্বের মানদণ্ড (পর্ব-৩)

প্রশ্ন (৩৯) : ছহীহ হাদীছে এক পাপাচারী মহিলা কর্তৃক তৃষ্ঞার্ত কুকুরকে কুয়া থেকে পানি উঠিয়ে পান করানোর প্রতিদানে জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। আবার ছহীহ হাদীছে বলা হয়েছে, যে বাড়িতে কুকুর থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাই। মুমিন ব্যক্তি কি কোনো অসুস্থ বিপন্ন কুকুরকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিলে তা ক্ষতিকর হবে?

প্রশ্ন (৪০) : ‘কোনো বান্দার পাপ বেড়ে গেলে আল্লাহ তাকে বেশি সন্তান দিয়ে তার পাপ মোচন করে দেন’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৩৬)। অত্র হাদীছটি কি ছহীহ?

প্রশ্ন (৪১) : মেয়েরা কি রেস্টুরেন্টে গিয়ে শুধুমাত্র খাওয়ার সময় মুখ খুলতে পারবে?

প্রশ্ন (৪২) : আমরা ছহীহ হাদীছ থেকে জানতে পারি যে, অহংকারসহ ও অহংকার ছাড়া টাখনুর নিচে পুরুষদের জন্য কাপড় ঝুলানো জায়েয না। কিন্তু একটি নির্ভরোগ্য ফতওয়া ওয়েবসাইট-এ পড়লাম, চার মাযহাবের বেশির ভাগ আলেমের মতে অহংকার ছাড়া টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহ বা জায়েয। অথচ আমরা উমার রযিয়াল্লাহু আনহু-এর ঘটনা জানি, তিনি এক যুবককে কাপড় টাখনুর উপর উঠাতে বলেছিলেন। সঠিক সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (৪৩) : মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে নির্দেশনা রয়েছেযে, রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হাঁটতে হবে। কিন্তুসরকারি নিয়ম বাম পাশ দিয়ে হাঁটতে হবে। এখন আমাদের করণীয় কী?

প্রশ্ন (৪৪) : যে ব্যক্তি যাদু ও কুফুরীকালাম দ্বারা আক্রান্ত তারা কিভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করবে?

শা‘বান মাসে নফল ছিয়াম ও ছালাত

প্রশ্ন (১৮) : জনৈক আলেম বলেছেন, শা’বান মাসে মালাকুল মাউত বেশি পরিমাণ রূহ কবয করে থাকেন। অর্থাৎ বেশি মানুষ মারা যায়। এমন কোনো ছহীহ হাদীছ বা আছার আছে কি?

প্রশ্ন (১৯) : আমার বাবা মৃত্যুর পূর্বে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে রমাযানের কয়েকটি ছিয়াম পালন করতে পারেননি। এজন্য তিনি খুবই মর্মাহত হোন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। তাই আমি উনার সন্তান হিসেবে ছিয়ামগুলো পালন করবো মর্মে কথা দেই। কিন্তু কয়েকজন বলল যে, ছিয়ামগুলো আমি পালন করলে বাবার পক্ষ থেকে আদায় হবে না বরং ফিদিয়া দিতে হবে। এ বিষয়ে সঠিক সমাধান দানে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২০) : ইয়াওমুশ-শাকবাসন্দেহের দিন বলতে কোন দিনকে বোঝানো হয়। এইদিনেকিগতবছরেরক্বাযাছিয়ামপালনকরাযাবে?

প্রশ্ন (২১) : শুনেছি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, অন্যান্য মাসের তুলনায় রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শা‘বান মাসে বেশি ছিয়াম পালন করতেন। তাহলে কি পুরোশা‘বানমাস ছিয়াম পালন করা যাবে?

প্রশ্ন (২৩) : আছরের ফরয ছালাতের পরে নফল ইবাদত করা যায় না। প্রশ্ন হলো-আছর ছালাতের পর জানাযা দেওয়া যাবে কি-না? আমাদের এলাকায় বেশির ভাগ জানাযা আছরের পর হয়।হাদীছসহ উত্তর প্রত্যাশা করি।

Magazine