কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

হারামাইন শারীফাইনের দেশে হালাল উপার্জন এবং নিরাপত্তার প্রাচুর্য

[১৫শাবান, ১৪৪৩ হি. মোতাবেক ১৮ মার্চ, ২০২২। পবিত্র হারামে মাক্কীর (কা‘বা) জুমআর খুৎবা প্রদান করেন শায়খ. ছালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ  হাফিযাহুল্লাহ। উক্ত খুৎবা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, রাজশাহীর সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষক শায়খ মাহবূবুর রহমান মাদানী। খুৎবাটি ‘মাসিক আল-ইতিছাম’-এর সুধী পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হলো।]

প্রথম খুৎবা

সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য, যিনি পথ দেখান ও বিপথগামী করেন এবং সম্মানিত করেন ও লাঞ্ছিত করেন। তিনি উচ্চ ও পুত-পবিত্র। তাঁরই প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। তিনি যা করেন সে বিষয়ে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না। তিনি ছাড়া সকলেই জিজ্ঞাসিত হবে।

আমি আরও সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আমাদের নেতা ও নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। যিনি সর্বোচ্চ স্থানের এবং পরিপূর্ণ চরিত্রের অধিকারী। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর প্রতি এবং তাঁর পরিবার ও তাঁর সকল ছাহাবীদের প্রতি, যাদের দ্বারা আল্লাহ এই দ্বীনের সাহায্য করেছেন এবং তাঁর শত্রুদের ব্যর্থ করেছেন। আরও সালাম ও শান্তি বর্ষিত হোক তাবেঈন এবং যারা তাঁদের উত্তমভাবে অনুসরণ করেন তাদের প্রতি।

অতঃপর, হে মানুষ সকল! আমি আপনাদের সকলকে সেই সাথে নিজেকেও আল্লাহভীরুতার উপদেশ দিচ্ছি। আপনারা আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহ আপনাদের অনুগ্রহ করুন! আপনারা কল্যাণকর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করুন। কেননা আপদ-বিপদ সামনে উপস্থিত আর প্রতিবন্ধকতা বাধা দিচ্ছে। মৃত্যু হঠাৎ আসবে। যে তার কর্তাকে ভয় করে বিপদ ও দুর্যোগ তার উপর সহজ হয়। যে নিজের মতামতে আশ্চার্যান্বিত হয় সে অন্যের মতামতকে গ্রহণ করে না। আপনার রবের ব্যাপারে ভালো ধারণা পোষণ করুন। আপনার ভাইদের জন্য ওযর সন্ধান করুন। বিরোধিতায় ব্যস্ত হয়েন না। সকাল-সন্ধ্যা ইস্তেগফার করুন ও আপনার রবের যিকির করুন। আর গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়েন না।

ক্ষমা করুন ও তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি উপেক্ষা করুন। ‘তোমরা কি পছন্দ কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিন? (আন-নূর, ৬৪/২২)

হে মুসলিমগণ! পবিত্র-হালাল জিনিস দ্বারা অন্তঃকরণ এবং বাড়ি-ঘর ভালো হয়। কেননা এটা স্থির ও স্বীকৃত যে, মানুষের চালচলন এবং চরিত্র স্পষ্ট ও বড় ধরনের প্রভাবান্বিত হয় যা কিছু তার পেটে প্রবেশ করে এবং যা তার শরীরের মিশে যায় তা দ্বারা।

কিছু আলেম বলেছেন, এটা প্রত্যক্ষ যে, যখন হালাল খাদ্য বৃদ্ধি পায় এবং সন্দেহ-সংশয় থেকে দূরে থাকা হয়, তখন নেক্কার ও পরহেযগার ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় । তার বিপরীতটা হলো বিপরীত দ্বারা। এর প্রমাণে সম্মানিত খত্বীব কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করেন, ‘হে রাসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার করো এবং নেক আমল করো’ (আল-মুমিনূন, ২৩/৫১)। বিদ্বানগণ বলেন, নেক আমলের উপর পবিত্র বস্তু আহার করাকে আগে নিয়ে আসার মধ্যে এই নির্দেশ বা প্রেরণা রয়েছে যে, এই পবিত্র-হালাল খাদ্য খাওয়া ফল দেয় সৎ আমলের। কেননা পবিত্র খাদ্য অন্তর ও দেহ জন্য উপুক্ত হয়। ফলে আমলসমূহ সঠিক হয়। যেমন দূষিত খাবার দ্বারা অন্তর ও দেহ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যায়।

হে ভাই সকল! আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা, অন্তর পরিষ্কার করা এবং দৃষ্টিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভালো খাদ্য, পানীয়, পোশাক, সাজসজ্জা ও অলংকার এবং ওষুধের বিরাট প্রভাব রয়েছে। বরং ইবাদত গ্রহণ হওয়া এবং দু‘আ কবুল হওয়া পবিত্র ও হালাল খাদ্য খাওয়ার সাথে জড়িত। হাফেয ইবনু রজব রহিমাহুল্লাহ বলেন, রাসূলগণ ও তাঁদের উম্মতগণ পবিত্র তথা হালাল খাদ্য খাওয়ার জন্য এবং সৎ আমলের জন্য আদেশপ্রাপ্ত। যতক্ষণ খাদ্য হালাল হবে ততক্ষণ সৎ আমল গৃহীত হবে। আর যদি খাদ্য হালাল না হয় তাহলে কীভাবে আমল কবুল হবে?

হে মুসলিমগণ! এ ব্যাপারে আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু-এর হাদীছ থেকে বেশি স্পষ্ট ও অধিক বড় দলীল আর নেই। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘হে লোক সকল! আল্লাহ তাআলা পবিত্র। তাই তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই কবুল করে থাকেন’। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের ঐ কাজই করার নির্দেশ দিয়েছেন যা করার আদেশ তিনি রাসূলদের দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا ‘হে রাসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার করো এবং নেক আমল করো’ (আল-মুমিনূন, ২৩/৫১)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ ‘হে মুমিনগণ! আমরা তোমাদের যে পবিত্র জীবিকা দান করেছি তা থেকে খাও’ (আল-বাক্বারা, ২/১৭২)। তারপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে ব্যক্তি দীর্ঘ সফরে বের হয় এবং তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে; কাপড় ধুলোবালিতে ময়লা হয়ে আছে। অতঃপর সে নিজের দুই হাত আকাশের দিকে তুলে ধরে এবং বলে, হে রব! হে রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, সে হারামভাবে লালিত-পালিত হয়েছে এ অবস্থায় কেমন করে তার দু‘আ কবুল হতে পারে’।[1]

হে ভাই সকল! এই পবিত্র শারীআতের বিস্ময়কর বিষয় হলো, মুসলিমের খাদ্য ও রসদ যা তার পেটে প্রবেশ করে তা কীভাবে হালাল হবে তার সূক্ষ্ম অনুসন্ধান করে। উদাহরণস্বরূপ— মুসলিমের জন্য জন্তুর মধ্যে যা হালাল শারীআত তা ব্যাখ্যা করেছে, কীভাবে যবেহ করবে, তার পদ্ধতি কী? এর জন্য কিছু নীতিমালা, শর্ত ও আদব নির্ধারণ করেছে। যেমন— যবেহকারীর যোগ্যতা, যবেহ ও রক্ত প্রবাহের ধরন এবং ধারালো যন্ত্র দ্বারা কণ্ঠনালী, খাদ্যনালী ও ঘাড়ের দুই রগ কর্তন করা। সুন্দরভাবে যবেহ করা এবং জন্তুর প্রতিও অনুগ্রহ করা। অপরদিকে মৃত সকল প্রকার জন্তুকে হারাম করেছে। যেমন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত জন্তু, আঘাতে মৃত, উপর থেকে পতনের ফলে মৃত, সংঘর্ষে মৃত, হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু, আর যা কোনো মূর্তিপূজার বেদির উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয়েছে, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবেহকৃত জন্তু, কিন্তু যে নিরুপায় অবস্থায় পড়েছে অথচ সে নাফরমান এবং সীমালঙ্ঘনকারী নয়, তার কোনো পাপ হবে না’ (আল-মায়েদা, ৫/৩; আল-বাক্বারা, ২/১৭৩)। এটা ছাড়াও আরও কতক সূক্ষ্ম বিধিবিধান ও উচ্চ পর্যায়ের কিছু আদব রয়েছে, যাতে করে মুসলিম তার পেটে যা হারাম প্রবেশ করে তা হতে বাঁচতে পারে।

হে মুসলিম সম্প্রদায়! হালাল লুক্বমা শত্রুতা, ক্রোধ ও শাস্তি দূর করে দেয় এবং ব্যক্তি, মাল, সন্তান, আমল ও বাড়ি থেকে বিপদ-আপদ হটিয়ে দেয়। একদা ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহ-কে বলা হলো, অন্তরের রোগের চিকিৎসা কী? তিনি বলেন, হালাল উপার্জন। কিছু সৎকর্মশীল ব্যক্তি বলেছেন, অন্তর নরম হয় হালাল আহারের মাধ্যমে। একটু চিন্তা করুন যা আবূ আব্দুল্লাহ বাজী আয-যাহিদ বলেন, পাঁচটি গুণাবলি দ্বারা আমল সম্পূর্ণ হয়। আল্লাহর প্রতি ঈমান, সত্যকে জানা, কর্মে একনিষ্ঠতা, সুন্নাহ মুতাবেক আমল হওয়া এবং হালাল আহার করা। এর মধ্যে একটা অনুপস্থিত থাকলে আমল উপরে উঠবে না। আর যদি হালাল আহার ব্যতীত একসাথে অন্য চারটিও পাওয়া যায় তাতেও কোনো উপকারে আসবে না।

হে আল্লাহর বান্দাগণ! হারাম হতে অমুখাপেক্ষী হয়ে হালালেই সন্তুষ্ট থাকুন এবং অত্যাচার-যুলুম এবং পাপাচার হতে প্রত্যাবর্তন করুন। আর আপনাদের মালকে জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় বানিয়ে নিন এবং তা খরচ করুন আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে। বেশি বেশি দান-ছাদাক্বা করুন তাহলে উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছে যাবেন। হালাল রূযীর সন্ধান করুন আর সন্দেহজনক জিনিস থেকে দূরে থাকুন। বান্দার অধিকারসমূহ সংরক্ষণ করুন, নিজেদের কর্মসমূহ সম্পন্ন করুন, আপনাদের আমানতগুলো আদায় করুন এবং অঙ্গীকার ও চুক্তিগুলো কার্যকর করুন। প্রবঞ্চনা, ধোঁকা দেওয়া হতে দূরে থাকুন।

এরপর সম্মানিত খত্বীব কিছু দু‘আ এবং কুরআনের দু’টি আয়াত পাঠ করে প্রথম খুৎবা শেষ করেন।

দ্বিতীয় খুৎবা

দ্বিতীয় খুৎবায় সম্মানিত খত্বীব আল্লাহর প্রশংসা এবং রাসূল, তাঁর ছাহাবী, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈনের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করেন। এরপর বলেন, হে মুসলিম সম্প্রদায়! আল্লাহর অনুগ্রহ তাঁর বান্দার উপর যে, হারামের পরিধি সংকীর্ণ। মূলত খাদ্যসমূহ, লেনদেন, প্রত্যেক উপকারী জিনিস এবং উপার্জনের রাস্তাসমূহ হালাল ও বৈধ।

হে আল্লাহর বান্দা! জীবন সংকীর্ণ, সময় দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে। কাজেই আল্লাহর নাফরমানী হয় এমন পন্থায় রিযিক্ব তালাশ করবেন না। আর যা হারামের দিকে ধাবিত করে তা মূলত হারামই। হারাম আহার দ্বারা বরকত কমে যায়, রোগ ও বালা-মুছীবত বৃদ্ধি পায় এবং যুলুম-অত্যাচার ও কৃপণতার বিস্তার ঘটে।

হে মুসলিমগণ! যদি ওটা এরূপই হয় তাহলে হালাল-পবিত্র আহার এবং নিরাপত্তা ও উত্তম জীবনধারণের বাস্তবায়ন ও কার্যকরণের মাঝে সূক্ষ্ম সম্পর্ক সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা ও পর্যবেক্ষণ করুন। আল্লাহর বাণী নিয়ে চিন্তা করুন যেখানে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ এক জনবসতির দৃষ্টান্ত পেশ করছেন যা ছিল নিরাপদ, চিন্তা-ভাবনাহীন। সবখান থেকে আসত জীবনধারণের পর্যাপ্ত উপকরণ। অতঃপর সে জনপদ আল্লাহর নিয়ামতরাজির কুফরী করল, অতঃপর আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কারণে ক্ষুধা ও ভয়ভীতির মুছীবত তাদেরকে আস্বাদন করালেন। তাদের কাছে তাদের মধ্য হতেই রাসূল এসেছিল কিন্তু তারা তাকে মিথ্যা মনে করে প্রত্যাখ্যান করল, তখন শাস্তি তাদেরকে পাকড়াও করল যখন তারা ছিল সীমালঙ্ঘনে লিপ্ত। কাজেই আল্লাহ তোমাদের যে সকল বৈধ পবিত্র রিযিক্ব দিয়েছেন তা তোমরা খাও আর আল্লাহর অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো যদি তোমরা প্রকৃতই তাঁর ইবাদত করতে ইচ্ছুক হও। আল্লাহ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জীব, রক্ত, শূকরের মাংস আর যা যবেহ করার সময় আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্য না হয়ে ও সীমালঙ্ঘন না করে নিতান্ত নিরুপায় হলে আল্লাহ তো বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু’ (আন-নাহল, ১৬/১১২-১১৫)

সম্মানিত খত্বীব বলেন, হে আল্লাহর বান্দা! উক্ত উদাহরণ পেশ করা হলো এই কথা স্মরণ করে দেওয়ার জন্য যে, হারামাইন শারীফাইনের দেশ ‘মামলাক্বা আরাবিয়্যা সঊদীয়্যা’ নিরাপত্তা, উত্তম জীবনযাপন, একই কালেমায় ঐক্য এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বে সমবেত হওয়ার মাধ্যমে যেভাবে বসবাস করছে। আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ায় আমাদের দেশ হলো তার পবিত্রতায় শক্তিশালী।

এমতাবস্থায় এই বরকতময় রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে ভ্রান্ত ও বিকৃত দলের উপর শারঈ বিধিবিধান প্রতিষ্ঠা করার যারা নিজেদের দেশের উপর আক্রমণ করেছে, তার অধিবাসীদের ও নিরাপত্তাবাহিনীকে হত্যা করেছে, শান্তিপ্রিয় মানুষদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করেছে। তারা সক্ষমতা প্রত্যাশীদের জন্য সহিংসতার কর্ম এবং সন্ত্রাসবাদ আচরণের দরজা খোলার ইচ্ছা করেছে। যেমন— বিস্ফোরণ ঘটানো, ধ্বংসকরণ, হামলা-আক্রমণ করা এবং রক্তপাত ঝরানো। তারা বাড়াবড়ি করেছে মুসলিমদের ইমাম বা নেতাদের উপর। এগুলো কর্মকাণ্ড অন্যায়, অপরাধ, নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যকাজ। এই অবস্থায় সঊদী রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ও শক্তিশালী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছ। আল্লাহরই জন্য প্রশংসা!

কাজেই আল্লাহ আপনাদের উপর রহম করুন! আপনারা আল্লাহকে ভয় করুন। আর তাঁর দেওয়া নেয়ামতের উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। তাঁর আরও শুকরিয়া আদায় করুন, একই কালেমায় ঐক্য থাকার, বিস্তৃত নিরাপত্তা এবং সম্মানজনক জীবনধারণের উপর। তাক্বওয়া ও সৎকাজে সহযোগিতা করুন।

এরপর সম্মানিত খত্বীব সূরা আল-আহযাবের নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করেন,إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতামণ্ডলী নবীর উপর দরূদ (রহমত) প্রেরণ করেন। (অতএব) হে মুমিনগণ তোমরাও তাঁর উপর দরূদ ও সালাম পেশ করো’ (আল-আহযাব, ৩৩/৫৬)। তারপর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবার, চার খালীফা ও ছাহাবীদের উপর দরূদ এবং সালাম পাঠের পর নিজেদের ও সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য দু‘আ করে খুৎবা শেষ করেন।


[1]. ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৫।

সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৪৭) : মূসা আলাইহিস সালাম একবার আল্লাহ তাআলাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! জান্নাতে আমার সাথে কে থাকবে? জবাবে আল্লাহ বললেন, একজন কসাই! কসাইয়ের নাম শুনে তিনি খুবই আশ্চর্য হলেন। অনেক খোঁজ করার পর বাজারে গিয়ে দেখলেন, কসাই গোশত বিক্রিতে ব্যস্ত! সবশেষে কসাই এক টুকরো গোশত একটি কাপড়ে মুড়িয়ে নিলেন।অতঃপর বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন। মূসা আলাইহিস সালাম তাঁর সম্পর্কে আরো জানার জন্য পিছুপিছু তাঁর বাড়ি গেলেন। কসাই বাড়ি পৌঁছে গোশত রান্না করলেন। অতঃপর রুটি বানিয়ে তা গোশতের ঝোলে মেখে নরম করলেন। তারপর ঘরের ভিতরের কামরায় প্রবেশ করে শয়নরত এক বৃদ্ধাকে উঠিয়ে বসালেন। তারপর তার মুখে টুকরো টুকরো রুটি পুরে দিতে লাগলেন। খাওয়ার পর বৃদ্ধা কি যেন কানেকানে বললেন। অমনি কসাই মুচকি হাসলেন। দূর থেকে মূসা আলাইহিস সালাম সবই দেখছিলেন। কিন্তু, কিছুই বুঝলেন না। মূসা আলাইহিস সালাম বৃদ্ধার পরিচয় এবং মুচকি হাসার বিষয়টি কসাইকে জিজ্ঞেস করলেন। কসাই বললেন, উনি আমার মা, আমি বাজার থেকে আসার পর সর্বপ্রথম আমার মাকে রান্না করে খাওয়াই। আরমা খাওয়ার পর খুশি হয়ে আমার কানের কাছে এসে আল্লাহ তাআলার কাছে এই বলে দু‘আ করেন, আল্লাহ তাআলা তোমাকে জান্নাত দান করুক এবং মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে রাখুক’ আমি এই দু‘আ শুনে এই ভেবে মুচকি হাসি যে, কোথায় মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর নবী, আর কোথায় আমি একজন কসাই!! তখন মূসা আলাইহিস সালাম ভাবলেন একারণেই তুমি আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। উক্ত ঘটনা কি সত্য?

প্রশ্ন (৪৯) : দরিদ্র মুহাজিরগণ ধনীদের পাঁচশ বছর আগে জান্নাতে যাবে মর্মে বক্তব্য কি সঠিক?

প্রশ্ন (১৩) : একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় আমাকে অংশগ্রহণ করতে হয়। পরীক্ষার সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যে, দেড়টা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত পরীক্ষা চলে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আছরের ওয়াক্ত প্রায় ১৫-২০ মিনিটের মতো অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু বাসায় ফিরতে ফিরতেই মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে যায়। একারণে যোহর ও আছরের ছালাত জামাআতের সাথে আদায় করা সম্ভব হয় না।এক্ষেত্রে ওয়াক্ত আসার পূর্বেই আমি যোহর এবং আছরের ছালাত একত্রে অগ্রিম জমা করে পড়তে পারব কি?

প্রশ্ন (১৪) : আমাদের মসজিদে ইমাম আরবী দিয়ে খুৎবা দেয়, আমি তো আরবী বুঝি না এইজন্য খুৎবার সময় আমি মনে মনে তাসবীহ, তাহলীল, যিকির, দু‘আ পড়তে পারব কি? নাকি আরবী খুৎবাটাই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে?

প্রশ্ন (১৫) : আমাদের মেস থেকে মসজিদ ৫ মিনিটের পথ। দৈনিক ৫ বার মসজিদে ছালাত আদায় করতে যাওয়া একটু কষ্টকর। তাই আমরা মেসেই জামাআতে ছালাত আদায় করি। আমাদের ছালাত আদায় হবে কি?

প্রশ্ন (১৬) : আমি যোহরের ১ রাকাআত ছালাত পাইনি। এখন কথা হচ্ছে- ইমাম সালাম ফিরানোর আগে আমি কি শুধু তাশাহহুদ পড়বনা দরূদসহ সকল দু‘আ পড়ব?

প্রশ্ন (১৭) : আমরা জানি যে, জুমআর দিন যে ব্যক্তি মসজিদে প্রথমে প্রবেশ করে তাকে উট কুরবানীর ছওয়াব দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো সময়টা কখন থেকে শুরু হয়? জুমআর আযানের পর থেকে? নাকি জুমআর ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর থেকে?

প্রশ্ন (১৮) : যে ইমামের সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত শুদ্ধ নয়, তার পিছনে কি ছালাত শুদ্ধ হবে? যদি না হয় তাহলে কি মুক্তাদীদেরকে পুনরায় আবার ছালাত আদায় করতে হবে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু : উন্নতির আরো এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠত্ব

হারামাইন শারীফাইনের দেশে হালাল উপার্জন এবং নিরাপত্তার প্রাচুর্য

প্রশ্ন (৪৬): কোনো কোনো সরকারি চাকরিজীবী সরকারি মাল (তেল, ওষুধ, খনিজপদার্থ ইত্যাদি) লুকিয়ে বিক্রি করে। সরকারি মাল চুরি করে বিক্রি করা কি বৈধ? সেই মাল কিনে নেওয়া কি বৈধ?

প্রশ্ন (৪৭) : মূসা আলাইহিস সালাম একবার আল্লাহ তাআলাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! জান্নাতে আমার সাথে কে থাকবে? জবাবে আল্লাহ বললেন, একজন কসাই! কসাইয়ের নাম শুনে তিনি খুবই আশ্চর্য হলেন। অনেক খোঁজ করার পর বাজারে গিয়ে দেখলেন, কসাই গোশত বিক্রিতে ব্যস্ত! সবশেষে কসাই এক টুকরো গোশত একটি কাপড়ে মুড়িয়ে নিলেন।অতঃপর বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন। মূসা আলাইহিস সালাম তাঁর সম্পর্কে আরো জানার জন্য পিছুপিছু তাঁর বাড়ি গেলেন। কসাই বাড়ি পৌঁছে গোশত রান্না করলেন। অতঃপর রুটি বানিয়ে তা গোশতের ঝোলে মেখে নরম করলেন। তারপর ঘরের ভিতরের কামরায় প্রবেশ করে শয়নরত এক বৃদ্ধাকে উঠিয়ে বসালেন। তারপর তার মুখে টুকরো টুকরো রুটি পুরে দিতে লাগলেন। খাওয়ার পর বৃদ্ধা কি যেন কানেকানে বললেন। অমনি কসাই মুচকি হাসলেন। দূর থেকে মূসা আলাইহিস সালাম সবই দেখছিলেন। কিন্তু, কিছুই বুঝলেন না। মূসা আলাইহিস সালাম বৃদ্ধার পরিচয় এবং মুচকি হাসার বিষয়টি কসাইকে জিজ্ঞেস করলেন। কসাই বললেন, উনি আমার মা, আমি বাজার থেকে আসার পর সর্বপ্রথম আমার মাকে রান্না করে খাওয়াই। আরমা খাওয়ার পর খুশি হয়ে আমার কানের কাছে এসে আল্লাহ তাআলার কাছে এই বলে দু‘আ করেন, আল্লাহ তাআলা তোমাকে জান্নাত দান করুক এবং মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে রাখুক’ আমি এই দু‘আ শুনে এই ভেবে মুচকি হাসি যে, কোথায় মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর নবী, আর কোথায় আমি একজন কসাই!! তখন মূসা আলাইহিস সালাম ভাবলেন একারণেই তুমি আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। উক্ত ঘটনা কি সত্য?

প্রশ্ন (৫০) : সূরা ইউসুফ এর ১০৮ নং আয়াতের কোনো ফযীলত আছে কি?

প্রশ্ন (২২) : স্ত্রীর খালাকে বিবাহ করাতে কি শরীআতে বাধা আছে?

প্রশ্ন (২৩) : আমি অনেক বড় ভুল করেছি। ৫ বছর ধরে একটি মেয়ের সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক। আমি শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের বক্তব্য শুনে তওবা করে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করছি এবং মেয়েটির সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। কিন্তু বর্তমানে মেয়েটি আমাকে বিয়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে চাপ দিচ্ছে। অপর দিকে আমার অভিভাবকগণ ঐ মেয়ের সাথে কোনভাবেই বিয়ে দিতে রাজি নয়। কিন্তু মেয়েটি একটি বক্তব্যের কিছু অংশ আমার কাছে পাঠিয়েছে। যেখানে বলা আছে- যার সাথে যেনা হয়েছে সে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ছেলে-মেয়ে যেনায় লিপ্ত হওয়ার পর যদি দুইজনের একজন বিবাহ করতে সম্মত না হয় তাহলেও কি পরস্পর বিবাহ করতে বাধ্য?

প্রশ্ন (২৪) : একজন পুরুষ সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারবে এই কথাকি ঠিক? না-কি একই সঙ্গে সর্বোচ্চ চারটির বেশি স্ত্রী রাখতে পারবে না এ কথা ঠিক?

প্রশ্ন (২৫) : স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরে কতদিন তার খরচ দিতে হবে?

প্রশ্ন (২৬) :আমার বিয়ের ১ মাস পরে আমার সাথে আমার স্ত্রীর মনোমালিন্য হয় এবং সে রাগকরে আমার সাথে থাকবে না জানায়। তারপরে সালিসের মাধ্যমে সে আমাকেখোলা তালাক দেয় এবং সে এখন তার ভুল বুঝতে পেরে আসতে চায় এখন আমিকী করতে পারি?

প্রশ্ন (২৭) : আমার মা মারা যাওয়ার পর আমার বাবা আমার বোনেরশ্বাশুড়িকে বিবাহ করেন। বিবাহের সময় তার ছেলে উপস্থিত ছিলেন না কিন্তু পরে সে এই বিবাহেস্বীকৃতি দেয়। তাহলে তার এই বিবাহ ঠিক হয়েছে কি?

প্রশ্ন (২৮) : অমুসলিমদের প্রদত্ত ইফতার গ্রহণ করা যাবে কি?

ঈমান ভঙ্গের কারণ

প্রশ্ন (২) : হাদীছে আছে, এই উম্মতের সত্তর হাজার মানুষ বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো, যারা ঝাড়ফুঁক এর আশ্রয় গ্রহণ করে না। কিন্তু আমরা জানি, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই ঝাড়ফুঁক করেছেন। তাহলে এই হাদীছের ব্যাখ্যা কী?

প্রশ্ন (৩) : জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করার পরে যেসব তাওহীদপন্থী বান্দাগণ জান্নাতে যাবে তারা কি আল্লাহকে দেখতে পাবে?

প্রশ্ন (৪) : অধিক সন্তান না নেওয়ার জন্য আযল করা অথবা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার করা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

প্রশ্ন (৬): ‘বন্দে মাতরম’ বলা বৈধ কি?

প্রশ্ন (৭): মুসলিম দেশে মানবরচিত আইন দ্বারা পরিচালিত মুসলিম শাসককে সরিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র কীভাবে ক্বায়েম হবে?

প্রশ্ন (৮) : আমি মাঝে মাঝে অনেক খারাপ চিন্তাভাবনা করি। এমনকি কখনো কখনো শয়তান আমার আক্বীদাতেও সন্দেহ ঢুকাতে চেষ্টা করে। আমার প্রশ্ন হলো, এগুলোরও কি হিসাব নেওয়া হবে?

প্রশ্ন (৯) : জনৈক বক্তা বলেন, ক্বদরের রাতে মানুষের বার্ষিক রিযিক, হায়াত, মউত ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?

প্রশ্ন (২৯) : কেউ যদি এমন পাপ করে যার কারণে ঐ ব্যক্তি সরাসরি হত্যার যোগ্য হয়। এমন ব্যক্তির তওবার সুযোগ আছে কি?

প্রশ্ন (৩১) : শুধু সার্টিফিকেট পাওয়া অথবা চাকরি করার উদ্দেশ্যে দ্বীনের জ্ঞানার্জন করা কতটুকু শরীআতসম্মত?

প্রশ্ন (৩২) : পুরুষের জন্য কোন রং এর পোশাক পরিধান করা হারাম ?

প্রশ্ন (৩৩) : বগলের লোম তুলে ফেলতে হয়।কেটে ফেললে কি গুনাহ হবে?

প্রশ্ন (৩৪) :আমরা দুই ভাই বিদেশ থাকি, দুই ভাই একসাথে বাসায় টাকা পাঠাই।এখন আমার বাবা এবং ভাই মিলে তারা জমি বন্ধক রাখে। আমি শুনেছি বন্ধক রাখা জায়েয নয়, আমি তাদের মানা করেছি কিন্তু তারা শোনে না। এখন আমি কি ঐ গুনাহের অংশীদার হব?

প্রশ্ন (৩৫) : পর্দা করে না, ছালাত আদায় করে না, এমন ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৬) : খেলার সামগ্রীর (ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি) দোকান দিয়ে ইনকাম করা কি হালাল হবে?

প্রশ্ন (৩৭) : কোনো মেয়ে কি তার দাদা, দাদি অথবা নানা, নানির ভাইদের সাথে দেখা করতে পারবে নাকি তাকে তাদের থেকে পর্দা করতে হবে?

প্রশ্ন (৩৮) : বিকাশ, রকেট এবং ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসা করা যাবে কি? কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জানাবেন।

প্রশ্ন (৩৯) : তাবীয ব্যবহার শিরকজানা সত্ত্বেও একজন অসুস্থ মহিলা জিনের আছর থেকে মুক্তির জন্য তাবীয ব্যবহার করেন। এমতাবস্থায় তিনি মারা গেলে পরিণাম কী হবে? উল্লেখ্য যে, তিনি তাবীয ব্যবহারকালীন সময়ে সুস্থ থাকেন কিন্তু যখনই তা খুলে রাখেন তার দু-একদিন পরেই জিনেরা তাকে আছর করে এবং চরমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

প্রশ্ন (৪০) : সহশিক্ষা আছে এমন কলেজে পর্দা করে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারবে কি? যেমন- মেডিকেল কলেজ। আবার নারী পুরুষ একসাথে চাকরি করে এমন স্থানে মেয়েরা পর্দা করে চাকরি করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (৪১) : আমার বাবা বিভিন্ন ধরনের বক পাখি শিকার করেএবং আমরা সবাই সেই পাখির গোশত খাই। আমি জানি যে, পাখি খাওয়া হালাল। কিন্তু কেউ কেউবলে যে, এখন পাখিদের বাচ্চা আছে সেই পাখির বাচ্চা নাকি অভিশাপ করবে তাই পাখি শিকার করা এবং খাওয়া হারাম হবে। দয়া করে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলবেন।

প্রশ্ন (৪২) : গরু/ছাগল দ্বারা শস্যের ক্ষতি করলে জরিমানা নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (৪৩) : শীতের দিনে আমরা শরীরে লোশন ব্যবহার করে থাকি। অনেকেই বলে থাকেন লোশনে শুকরের তেল ব্যবহার করা হয়। অযূ করে লোশন দেয়া অবস্থায় ছালাত হবে না। এমনকি শরীরে লোশন দিলে শরীর নাপাকি অবস্থায় থাকে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

Magazine