বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে দূষিত বাতাসের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’। গবেষণায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে আনুমানিক ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮১ জন নারীর গর্ভাবস্থার ক্ষতি হয়েছে। এর জন্য দায়ী বাতাসের পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বা অতি সূক্ষ বস্তুকণার উপস্থিতি। মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান এই পিএম ২.৫। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মান অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ১০ মাইক্রোগ্রাম পিএম ২.৫ থাকলে তাকে সহনীয় বলা যেতে পারে। সেখানে দেশে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫ আছে ৬১ মাইক্রোগ্রাম। এর ফলে ফুসফুসে ক্যানসার ও কিডনি বিকলের মতো রোগও ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। গর্ভাবস্থার ক্ষতিতে পৃথিবীতে দক্ষিণ এশিয়াই সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনছে। পৃথিবীতে এই অঞ্চলের বাতাসে সবচেয়ে বেশি পিএম২.৫ পাওয়া যায়। এই গবেষণার জন্য বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের ৩৪১৯৭ জন মায়ের মেডিকেল ডাটা সংগ্রহ করা হয়, যারা কমপক্ষে একবার গর্ভপাতের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হয় ৩৬৮৭ জনকে (১১ শতাংশ), ভারতের ২৬২৮২ জন (৭৭ শতাংশ) এবং পাকিস্তানের ৪২২৮ জন (১২.৪ শতাংশ)। গবেষকরা বলছেন, ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত ১৭৮ মিলিয়ন শিশুর জন্ম হয়েছে এই তিন দেশে। এর মধ্যে প্রায় ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ শিশু মৃত অবস্থায় পৃথিবীতে এসেছে।