কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

৩ দশক পড়াশোনা করে ইসলাম গ্রহণ করলেন জবি অধ্যাপক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিতু কুণ্ডু। তিনি ছাত্রজীবনে পুরোটা সময় আগ্রহ নিয়ে করেছেন ধর্মতত্ত্ব বিষয়ক পড়াশুনা। এসময় হিন্দু ধর্মসহ প্রধান সব ধর্মের গ্রন্থাবলি পাঠ করেন তিনি। জাপানে এ বিষয়ে পড়াশোনাও করেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, এগুলো মানুষের রচিত বই। এরপর পড়াশোনা ও জ্ঞান-বুদ্ধির আলোকে ইসলাম বিষয়ে এক মাসব্যাপী পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। ১৬ দিনের মধ্যেই তিনি সত্য উপলব্ধি করতে পারেন ও ইসলাম গ্রহণ করেন। অধ্যাপক রিতু কুণ্ডু এক ভিডিওতে বলেন, ‘দীর্ঘ ২৯ বছর পর্যন্ত আমি নিজের পরিবার, সমাজ ও মানুষের আচার-ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করি। এ দীর্ঘ সময় হিন্দু ধর্মসহ প্রধান সব ধর্মের গ্রন্থাবলি পাঠ করেছি। জাপানেও এ বিষয়ে পড়াশোনা করি। ২০১২ সালে এসে বুঝতে পারি, এগুলো মানুষের রচিত বই। দীর্ঘ ২৯ বছর পর আমি পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদ পাঠ করি। এর পাশাপাশি আমি হাদীছও পাঠ করি। সামনে কুরআনের যে সূরা আর হাদীছ পেয়েছি, তা-ই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। মহান আল্লাহর নির্দেশনার কারণ ও বিধিনিষেধ নিয়ে চিন্তাভাবনা করি। কখনও এ বিষয়ে স্বপ্নও দেখেছি। তা হয়তো অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। খুব ছোট থেকেই হয়তো আল্লাহ আমাকে ইসলাম কবুলের জন্য তৈরি করেছিলেন। ছোট থেকে আজ পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ঘটনা, শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা আর সমাজের অসংগতি আমাকে ধীরে ধীরে ইসলামের পথে পরিচালিত করেছে। আমি যখন বুঝতে পারলাম, আমাকে ছালাত আদায় করতে হবে, সেদিন থেকে টানা ১৪ মাস আমার ছালাত ক্বাযা হয়নি। এরপর চাকরির কারণে দু-একবার ক্বাযা হয়ে যায়। আমি যখন অনুভব করলাম, আমাকে পর্দা করতে হবে, সেদিন থেকে আমি হিজাব পরা শুরু করি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের বিরোধিতা সত্ত্বেও তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন বলেও জানান এ শিক্ষিকা। নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন আদ্রিতা জাহান রিতু। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সাল থেকে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।


Magazine