কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

তোমরা রেখো গো স্মরণ, একদিন হবে যে মরণ

post title will place here

[ক]

জন্মিলে মরিতে হবে,

অমর কে কোথা কবে

চিরস্থির কবে নীর, হায় রে, জীবন-নদে?

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর কবিতায় আমাদের জীবন মৃত্যুর অমোঘ সত্যতা তুলে ধরেছেন। মৃত্যু একটি অবধারিত সত্য। মৃত্যু একটি বাস্তবতা। জন্ম মাত্রই মৃত্যু হবে— এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। প্রথমে পবিত্র কুরআন থেকে মৃত্যুসংক্রান্ত কিছু আয়াত উল্লেখ করি—

আল্লাহ তাআলা বলেন,كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ ‘জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর ক্বিয়ামতের দিনই তোমাদের কর্মফল পূর্ণমাত্রায় প্রদান করা হবে। সুতরাং যাকে আগুন (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখা হবে এবং (যে) জান্নাত প্রবেশলাভ করবে, সেই হবে সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়’ (আলে ইমরান, ৩/১৮৫)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِكْكُمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنْتُمْ فِي بُرُوجٍ مُشَيَّدَةٍ ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদেরকে পেয়ে বসবেই, যদিও তোমরা সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গের মধ্যে অবস্থান কর’ (আন-নিসা, ৪/৭৮)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ‘বলো, তোমরা যে মৃত্যু হতে পলায়ন কর, সেই মৃত্যুর সাথে তোমাদের অবশ্যই সাক্ষাৎ হবে’ (আল-জুমআ, ৬২/৮)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,قُلْ لَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي ضَرًّا وَلَا نَفْعًا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ ‘বলুন, আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত আমি তো আমার নিজের জন্য কোনো অপকার ও উপকারের মালিক নই। প্রত্যেক উম্মতের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে; যখন তাদের সেই নির্দিষ্ট সময় এসে পৌঁছে যাবে, তখন তারা মুহূর্তকাল না বিলম্ব করতে পারবে, আর না ত্বরা করতে পারবে’ (ইউনুস, ১০/৪৯)

[খ]

মানব জীবনের সফরসূচি শুরু হয় প্রথমে আল্লাহর নিকট থেকে মায়ের গর্ভে। এটা হলো প্রথম মনযিল। এখানে সাধারণত ৯ মাস ১০ দিন থাকার পর ভূমিষ্ঠ হয়ে সে দুনিয়াতে আসে। এটা হলো দ্বিতীয় মনযিল বা ‘দারুদ দুনিয়া’। এখানে সে কমবেশি ৭০ বছর অবস্থান করে। যা চারটি স্তরে বিভক্ত : (ক) শৈশবের দুর্বলতা (১-১৬ বছর)। (খ) যৌবনের শক্তিমত্তা (১৬-৪০ বছর)। (গ) প্রৌঢ়ত্বের পূর্ণতা (৪০-৬০ বছর) এবং (ঘ) বার্ধক্যের দুর্বলতা (৬০-৭০ বছর)। অতঃপর নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মৃত্যু ও কবরে গমন। এটা হলো তৃতীয় মনযিল বা ‘দারুল বারযাখ’। এখান থেকে তার আখেরাতের সফর শুরু হয়। যা শেষ হবে ক্বিয়ামতের দিন। কবর তার জন্য জান্নাতের টুকরা হবে বা জাহান্নামের গর্ত হবে। অতঃপর ক্বিয়ামতের দিন পুনরুত্থান শেষে সেখানে মানুষের তিনটি সারি হবে। অগ্রগামী দল, ডাইনের সারি ও বামের সারি। প্রথম দু’টি দল জান্নাতী হবে ও বামের সারি জাহান্নামী হবে। এটি হলো চতুর্থ মনযিল বা ‘দারুল ক্বারার’। যা হলো চূড়ান্ত ঠিকানা।[1]

[গ]

মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই দুনিয়ায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করছেন। তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। একদিন এই ক্ষণস্থায়ী জীবন শেষ করে ফিরে যেতে হবে তাঁরই নিকটে। এই দুনিয়ার যিন্দেগী তো ক্ষণস্থায়ী। পক্ষান্তরে আখেরাতের জীবন চিরস্থায়ী। মহান আল্লাহ বলেন,وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَلَلدَّارُ الْآخِرَةُ خَيْرٌ لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ ‘দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য পরকালের জীবনই অতি কল্যাণময়, তবুও কি তোমাদের বোধোদয় হবে না?’ (আল-আন‘আম, ৬/৩২)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,إِنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَإِنْ تُؤْمِنُوا وَتَتَّقُوا يُؤْتِكُمْ أُجُورَكُمْ وَلَا يَسْأَلْكُمْ أَمْوَالَكُمْ ‘পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা মাত্র। যদি তোমরা বিশ্বাস কর ও আল্লাহভীরুতা অবলম্বন কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে পুরস্কার দেবেন। আর তিনি তোমাদের ধনসম্পদ চান না’ (মুহাম্মাদ, ৪৭/৩৬)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন,وَمَا هَذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَهْوٌ وَلَعِبٌ وَإِنَّ الدَّارَ الْآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ‘পার্থিব এ জীবন ক্রীড়াকৌতুক ছাড়া কিছুই নয়, আখেরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন, তারা যদি জানত! (আল-আনকাবূত, ২৯/৬৪)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,يَا قَوْمِ إِنَّمَا هَذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَإِنَّ الْآخِرَةَ هِيَ دَارُ الْقَرَارِ ‘হে আমার সম্প্রদায়! পার্থিব এ জীবন (অস্থায়ী) ভোগ্যবস্তু মাত্র, আর আখেরাতই হলো চিরকালীন আবাসস্থল’ (আল-মুমিন, ৪০/৩৯)

[ঘ]

বন্ধু আমার! মানুষ মাত্রই তো মরণ হবে। কিন্তু কে কোথায় মরবে, কখন মরবে, কীভাবে মরবে— তা কী আমাদের জানা আছে? —না, জানা নেই। কারণ এই জ্ঞান একমাত্র মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে আছে। মহান আল্লাহ বলেছেন,إِنَّ اللهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ ‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকটেই আছে ক্বিয়ামত (সংঘটিত হওয়ার) জ্ঞান, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন জরায়ুতে যা আছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন অঞ্চলে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত’ (লুক্বমান, ৩১/৩৪)

বন্ধু, মরতে তো হবেই একদিন। আজ অথবা কাল। কিন্তু আমরা কি মরণের কথা স্মরণ করব না?

—কেন করব না? 

—আমরা কি মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে সন্দিহান? 

—আমরা কি মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের অস্তিত্বকে অস্বীকারকারী?

—না, আমরা তো তা নই।

আমরা মুসলিম। আমরা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বিশ্বাস করি। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে স্বীকার করি। মৃত্যুর পরবর্তী জীবন যে সত্য, তা মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ বোধ করি না। তবু কেন আমরা উদাসীন? কেন আমরা মৃত্যুর কথা স্মরণ করি না? আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ يَعْنِى الْمَوْتَ ‘তোমরা বেশি পরিমাণে জীবনের স্বাদ হরণকারীর অর্থাৎ মৃত্যুর কথা স্মরণ করো’।[2]

বন্ধু, তুমি কি শোনোনি যারা মরণকে বেশি বেশি স্মরণ করে হাদীছে তাদেরকে বুদ্ধিমান বলা হয়েছে। যদি না শুনে থাক তবে হাদীছটি শোনো— ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। এমতাবস্থায় এক আনছারী নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাকে সালাম দিলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম কে? তিনি বললেন, স্বভাব-চরিত্রে তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অধিক উত্তম। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান কে? তিনি বললেন, তাদের মধ্যে যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তারাই সর্বাধিক বুদ্ধিমান।[3]

[ঙ]

যখন আমার মৃত্যুর ফয়সালা হয়ে যাবে, তখন আমি যদি মুমিন হই, আমার মৃত্যুর সময় আসমান হতে উজ্জ্বল চেহারাবিশিষ্ট একদল ফেরেশতা আসবেন। যাঁদের চেহারা যেন সূর্যস্বরূপ। তাঁদের সাথে জান্নাতের কাফনসমূহের একটি কাফন (কাপড়) থাকবে এবং জান্নাতের খোশবুসমূহের একরকম খোশবু থাকবে। তাঁরা আমার নিকট হতে দৃষ্টিসীমার দূরে বসবেন। অতঃপর মালাকুল মউত আমার নিকটে আসবেন এবং মাথার নিকটে বসে বলবেন, হে পবিত্র রূহ (আত্মা)! বের হয়ে এসো আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তোষের দিকে।

তখন আমার রূহ সেই রকম (সহজে) বের হয়ে আসবে, যে রকম (সহজে) মশক হতে পানি বের হয়ে আসে। তখন মালাকুল মউত তা গ্রহণ করবেন এবং এক মুহূর্তের জন্য নিজের হাতে না রেখে বরং ওই সকল অপেক্ষমাণ ফেরেশতাদের হাতে দিয়ে দেবেন। তাঁরা ওই কাফন ও ওই খোশবুতে রাখবেন। তখন তা হতে পৃথিবীতে প্রাপ্ত সমস্ত খোশবু অপেক্ষা উত্তম মিশকের খোশবু বের হতে থাকবে।

তা নিয়ে ফেরেশতাগণ উপরে উঠতে থাকবেন এবং যখনই তাঁরা ফেরেশতাদের মধ্যে কোনো ফেরেশতা দলের নিকট পৌঁছবেন, তাঁরা জিজ্ঞেস করবেন, এই পবিত্র রূহ (আত্মা) কার? তখন তাঁরা দুনিয়াতে আমাকে লোকেরা যে সকল উপাধি দ্বারা ভূষিত করত, সে সকলের মধ্যে উত্তম উপাধি দ্বারা ভূষিত করে বলবেন, এটা অমুকের পুত্র অমুকের রূহ।

যতক্ষণ তাঁরা প্রথম আসমান পর্যন্ত পৌঁছবেন (এইরূপ প্রশ্নোত্তর চলতে থাকবে) অতঃপর তাঁরা আসমানের দরজা খুলতে চাইলে অমনি তাঁদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হবে। তখন প্রত্যেক আসমানের সম্মানিত ফেরেশতাগণ তাঁদের পশ্চাদগামী হবেন তার উপরের আসমান পর্যন্ত। এভাবে তাঁরা সপ্তম আসমান পর্যন্ত পৌঁছবেন। 

এ সময় আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দার ঠিকানা ‘ইল্লিঈন’-এ লিখো এবং তাঁকে (তাঁর কবরে) যমীনে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। কেননা, আমি তাদেরকে যমীন হতে সৃষ্টি করেছি এবং যমীনের দিকেই তাদেরকে প্রত্যাবর্তিত করব। অতঃপর যমীন হতে আমি তাদেরকে পুনরায় বের করব (হাশরের মাঠে)। সুতরাং আমার রূহ আমার শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

আর আমি যদি অবিশ্বাসী হই, তাহলে আসমান হতে একদল কালো চেহারাবিশিষ্ট ফেরেশতা অবতীর্ণ হবেন। যাদের সাথে শক্ত চট থাকে। তাঁরা আমার নিকট হতে দৃষ্টিসীমার দূরে বসবেন। অতঃপর মালাকুল মউত আসবেন এবং মাথার নিকটে বসবেন। তারপর বলবেন, হে খবীস রূহ (আত্মা)! বের হয়ে আয় আল্লাহর রোষের দিকে। 

এ সময় রূহ ভয়ে আমার শরীরে এদিক-সেদিক পালাতে থাকবে। তখন মালাকুল মউত তাকে এমনভাবে টেনে বের করবেন, যেমন লোহার গরম শলাকা ভিজে পশম হতে টেনে বের করা হয় (আর তাতে পশম লেগে থাকে)। তখন তিনি তা গ্রহণ করে মুহূর্তকালের জন্যও নিজের হাতে রাখবেন না। বরং তা অপেক্ষমাণ ফেরেশতাগণ তাড়াতাড়ি সেই আত্মাকে দুর্গন্ধময় চটে জড়িয়ে নেবেন। তখন তা হতে এমন দুর্গন্ধ বের হতে থাকবে, যা পৃথিবীতে প্রাপ্ত সমস্ত গলিত শবদেহের দুর্গন্ধ অপেক্ষা বেশি।

তা নিয়ে তাঁরা উপরে উঠতে থাকবেন। কিন্তু যখনই তাঁরা তা নিয়ে ফেরেশতাদের কোনো দলের নিকট পৌঁছবেন, তাঁরা জিজ্ঞেস করবেন, এই খবীস রূহ কার? তখন তাঁরা আমাকে দুনিয়াতে যে সকল মন্দ উপাধি দ্বারা ভূষিত করা হতো, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা মন্দ নামটি দ্বারা ভূষিত করে বলবেন, অমুকের পুত্র অমুকের।

এভাবে আমার রূহ প্রথম আসমান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। অতঃপর আমার জন্য আসমানের দরজা খুলে দিতে চাওয়া হবে, কিন্তু খুলে দেওয়া হবে না।

তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার ঠিকানা ‘সিজ্জীন’-এ লিখো, যমীনের সর্বনিম্ন স্তরে। সুতরাং আমার রূহকে যমীনে খুব জোরে নিক্ষেপ করা হবে।[4]

(ইনশা-আল্লাহ আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)

জাবির হোসেন

 এম. এ. (বাংলা), কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, মুর্শিদাবাদ, ভারত।


[1]. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, তাফসীরুল কুরআন [৩০তম পারা], (হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২য় সংস্করণ), পৃ. ৪৪০।

[2]. তিরমিযী, হা/২৩০৭, হাসান।

[3]. ইবনু মাজাহ, হা/৪২৫৯, হাসান।

[4]. আব্দুল হামীদ মাদানী, মরণকে স্মরণ (তাওহীদ প্রকাশনী- বর্ধমান), পৃ. ৮৯-৯৩।

Magazine