গত ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তীনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২ সদস্যই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেয়নি। ভেটো প্রদান করে ইসরাঈলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাশ হতে ৯ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন— এ স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কোনো একটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না। বর্তমানে ফিলিস্তীন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তীন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। অবশ্য সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতোমধ্যে ফিলিস্তীনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, ইসরাঈল ও ফিলিস্তীনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত, জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়। যদিও গত কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তীনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বন্ধ রেখেছে ইসরাঈল।