করোনাকালে শহর ও গ্রাম মিলিয়ে ৪৮ শতাংশ পরিবার থেকে অন্তত একজন কাজ হারিয়েছেন বা কাজ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ৭৭ শতাংশ নারীপ্রধান পরিবার অর্থনৈতিক অনটনে পড়েছে। কাজ হারিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন শহরের ৭৩.৩ শতাংশ এবং গ্রামের ৯২.৫ শতাংশ মানুষ। শহরে অস্থায়ীভাবে বসবাসরত মানুষেরা গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। তাদের বেশির ভাগ গ্রামে গিয়েও কাজ পায়নি। একটি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ বলেছেন যে, মহামারির সময়ে তাদের পরিবারের আয় কমে গেছে। ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয়কারী ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৮ শতাংশের আয় কমেছে। এর মানে হচ্ছে এই মানুষগুলো দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছেন। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয়কারীদের ৭৩ শতাংশের আয়ও হ্রাস পেয়েছে। দেখা গেছে কৃষিনির্ভর পরিবারগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও যারা অকৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা বেশি খারাপ। নারীদের অনেকেই কাজ বা চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে অস্বাভাবিক মাত্রায় ঘরের কাজের চাপ। আশ্চর্যজনকভাবে শহরে নারীর কাজ ১২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই মহামারির সময়ে। উত্তরদাতাদের ৮২ শতাংশ মনে করেন মহামারি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে। করোনাকালে ঘুম কমে যাওয়া, ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া, শরীর ও মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে।