কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশক স্প্রে, অগ্নিনির্বাপণ, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রমে সফলতা বাড়াতে এবার ড্রোন যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। দেশীয় কোম্পানি স্কাই বিজ লিমিটেডের হাত ধরে এ যাত্রা শুরু হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েকটি মডেলের ড্রোন উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি করবে স্কাই বিজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজ। বেপজাকে দেওয়া স্কাই বিজের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারা অগ্নিনির্বাপণের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রোটারি উইং এবং সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং ও সার্ভিলেন্স উপযোগী ফিক্সড উইং বা ভিটল দিয়ে কমার্শিয়াল উৎপাদন করবে ২০২৫ সালের শুরুতে। পরবর্তীকালে তারা ফিক্সড ও রোটারি উইংয়ের আরও ১০টি মডেলের ড্রোনের উৎপাদনে যাবে; যেগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন পেলোড, এনডোরেন্স থাকছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মডেলের ৭৩১৪টি আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকলের (ইউএবি) বার্ষিক উত্পাদন ও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এজন্য স্কাই বিজ রপ্তানিমুখী হাইটেক শিল্প স্থাপন করছে চট্টগ্রামের মিরসরাই বেপজা ইকোনমিক জোনে। জানা যায়, স্কাই বিজের প্যারেন্ট কোম্পানি সুনামকো এটায়ার্স। উল্লেখ্য, ইউএবি বিশ্বজুড়ে ড্রোন নামে পরিচিত। ইউএবি কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশক স্প্রে, অগ্নিনির্বাপণ, ডেলিভারি, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে প্রভৃতি সেবামূলক কাজে ব্যবহার করা যায়। স্কাই বিজের প্রতিটি ইউএবি মূলত সিভিল ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা। স্কাই বিজের সব মডেলের ডিজাইন, সফটওয়্যার, ফ্লাইট কন্ট্রোল নিজেদের উদ্ভাবিত। যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আপাতত আমদানীনির্ভর হলেও পর্যায়ক্রমে স্থানীয়ভাবে উত্পাদনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।